ভালবাসার মানুষটার খোঁজে ২৪ টা বসন্ত কেটে গেছে বিউটির। প্রায় প্রতিদিনই কেও না কেও প্রপোজ করলেও কাওকেই মনে ধরেনি তার। বিউটির গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেছে। বাসায় বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু ছেলে পছন্দ হয়না বিউটির। সে খুব বেশি কিছু চায়না তার জীবন সঙ্গীর মাঝে। চায় সুন্দর একটা মন ।
একদিন বিকেলে বেরিয়েছে ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে। হঠাৎ একটা ছেলেকে দেখল অনেকগুলো গোলাপ কিনতে। এতগুলো গোলাপ কিনতে কৌতুহলের বশেই তাকে ডাক দিল বিউটি।
এক্সকিউজ মি মিস্টার।
আমাকে বলছেন?
এখানে আপনি ছাড়া মনে হয় আর কেও নেই।
ওহ! আচ্ছা বলুন?
এতগুলো ফুল কী করবেন?
ভালবাসার মানুষকে দিব।
ওয়াও ভীষণ লাকী সেই মানুষটা।
মোটেও না।
মানে বুঝলাম না।
মানে বুঝতে চান। তাহলে চলুন আমার সাথে।
বিউটি বাঁধা দিল না। লোকটাকে কেমন যেন ইন্টারেস্টিং লাগছে তার কাছে। ১০ মিনিট পর রিকশা থামল। আকাশ বলল এখানেই থাকে আমার ভালবাসার মানুষ। সে দেখতে পেল অসংখ্য প্রতিবন্ধী আকাশকে দেখেই আনন্দে মেতে উঠল। আকাশ সবাইকে একটা করে গোলাপ দিল।
বিউটি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল। এমন সুন্দর একটা মনের খোজই সে আজীবন করেছে। আকাশ বলতে শুরু করল, "আপনার আর আমার কাছে ভালবাসার সংজ্ঞাটা ভিন্ন। এই প্রতিবন্ধী শিশুরাই আমার ভালবাসা। আমার সব। আমি প্রতিদিন ওদের দেখতে আসি। ভালবাসা সেটাই যেখানে কোন প্রপ্তির আশা থাকেনা। আপনাদের ভালবাসা স্বার্থের মোহে বন্ধী।"
বিউটি বলল, "আপনার কিছুটা ভালবাসার অংশীদার কী আমি হতে পারি? "
পাগল হয়ে গেছেন আপনি। আপনার গায়ের ড্রেসটার দাম যত ততটা আমি পুরো মাসেও কামাই না। আমাকে বিয়ে করলে জীবনেও সুখের মুখ দেখবেন না।
যে মানুষটা এতগুলো অপরিচিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে সে নিশ্চয় নিজের বউকে কষ্টে রাখবে না।
অতঃপর শুরু হল একটি কাছে আসার গল্প। যেই গল্পের শুরু কোন লিটনের ফ্ল্যাটে নয় বরং কাজী অফিসে।