মনা নামের মেয়েটি খুবই চন্চল প্রকৃতির, সবে ব্যাচেলর ডিগ্রী শেষ করেছে। ওদের বাসায় আজ অনেক মেহমান, ওর বাবাও খুব আমুদে লোক, কারনে-অকারনে বন্ধুবান্ধব, আত্নীয়স্বজনকে বাসায় ডেকে খাওয়াতে পছন্দ করেন।
আমেরিকা প্রবাসী এক ছেলের সাথে মনার পরচয় হয় সেই অনুষ্ঠানে, আলাপের কিছুক্ষনের মধ্যেই দুইজনের মধ্যে বেশ খাতির হয়ে যায়। এক ঘন্টার পরিচয়ে দুইজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মনার আমেরিকার প্রতি বিশেষ দূর্বলতা আজীবনের, স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমানোর সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করতে চায়না। ছেলেটি ডায়মন্ড কোম্পানীতে ইন্জিনিয়ার হিসেবে আছে।
মনার বড় বোনের স্বামী সরকারী বড় অফিসার, প্রবাসী ছেলের সাথে কথা বলে ভালো লাগেনি তার। তাই মনার বাবার কাছে কিছু সময় চাইলো ছেলেটি সম্পর্কে খোজ খবর নেয়ার জন্য। বাবাসহ সবাই মনে করলো প্রবাসী ইন্জিনিয়ার পাত্র দেখে বড় জামাই বেকে বসেছে, হীনমন্যতা পেয়ে বসেছে তাকে, ছোট জামাইকে সে হিংসা করছে। নিজের বউও তাই ভাবলো।
চুপ করে গেলেন বড় জামাই। তিনদিনের মধ্যে বিরাট আয়োজন করে বিবাহ হয়ে গেল। মাস খানের মধ্য বউ নিয়ে আমেরিকা ফেরত চলে গেলো।
নিউইয়র্কে একটা ভাড়া বাসায় থাকে তারা। মেয়েটি তার আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে এসে কান্নায় ভেংগে পড়লো, আবার পড়াশুনায় নিয়মিত হতে চায়। কিন্তু ছেলেটি একপ্রকার জোর করে তাকে থামিয়ে দেয়, রাতের বেলা একটা পার্টিতে নিয়ে যায়।
পরেরদিন পুলিশের ফোন পেয়ে সেই আত্নীয়ের ঘুম ভাংগে, মারাত্নক এক্সিডেন্ট করে মনা মারা যায়। সারারাত ড্রিংক করে ড্রাইভ করতে গিয়ে সরাসরি রাস্তার পাশের গাছে গিয়ে আঘাত করে, মনার সিটবেল্ট বাধা ছিলোনা, তাই সে ছিটকে পড়ে যায় গাড়ি থেকে।
ছেলেটিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, কোর্টে মনার বাবা-মা ছেলেটির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনেনি, কিছুদিন পর ছেলেটি ছাড়া পায়।
কয়েকমাস পর আবার বিয়ে করে ছেলেটি, একইরকম ভাবে এই স্ত্রীটিও মারা যায়। এবার আর কোন মাফ নয়, লাইফ টাইম ড্রাইভিং লাইসেন্স ক্যানসেলসহ কারাদন্ড হয় তার। দুইটি তাজা প্রান কেড়ে নেয় একজন কথিত ইন্জিনিয়ার যে কিনা একটা গ্যাস স্টেশনে জব করে।
প্রবাসীদের নিকট বিয়ে দেয়ার সময় কাইন্ডলি একটু ভালো করে খোজ খবর নিবেন, নতুবা এমন ভয়াবহ এক্সপেরিয়েন্স আপনাদেরও হতে পারে।