এক চলচ্চিত্র দেখা যাবে একই সময়ে দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে! ভালোবাসার রঙ চলচ্চিত্রটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে একই সময়ে চলার কথা।
নির্দিষ্ট একটি সার্ভার থেকে চলবে চলচ্চিত্র আর তা দেখা যাবে বিভিন্ন স্থানের আলাদা আলাদা প্রেক্ষাগৃহে! বিষয়টি আমাদের দেশে নতুন হলেও ভারত, নেপাল, হংকং, মালয়েশিয়া, বেলজিয়ামসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই চলছে। আর এ ই-সিনেমা আজ থেকে দেখবে বাংলাদেশ। এই প্রযুক্তিতে ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করছেজাজ মাল্টিমিডিয়া।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী শীষ মনোয়ার বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্র দেখার এ প্রযুক্তি চালু করেছি, যা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখা দর্শকদের নতুন এক আনন্দ দেবে।’ তিনি জানান, এ জন্য প্রেক্ষাগৃহের প্রক্ষেপণ (প্রজেকশন) কক্ষকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে আর ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক বারকো প্রজেক্টর। প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের এ প্রজেক্টরের মাধ্যমে ছবি দেখা যাবে দারুণভাবে। আর ছবি দেখানো হবে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ থেকে এবং ব্যবহার করা হবে বিশেষ সফটওয়্যার। তবে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে ভিডিও নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে মাস্টারিং প্যানেলের।যে সার্ভারে চলচ্চিত্রটি চলবে, ভিডিওকে তার উপযোগী করা হবে এই প্যানেলের মাধ্যমে। এতে নির্মাতাদের অনেক টাকা খরচ করে যেমন নেগেটিভ কিনতে হবে না, তেমনি দর্শকেরা নিখুঁত ও সুন্দর ছবি দেখতে পারবেন।’
৩৫ মিলিমিটার ক্যামেরায় চিত্রধারণ করা ছবিগুলোকেও এই প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা যাবে।চিত্র ধারণের পর সেটি রূপান্তর করে নিতে ডিজিটাল ফরম্যাটে। এ মাধ্যমে ছবি পাইরেসির হাত থেকেও মুক্তি পাবে বলে জানান শীষ মনোয়ার। তিনি বলেন, ‘নির্মাতাদের ছবি আমরা ডিজিটাল ফরম্যাটে করে দেব, যা নির্মাতারা হার্ডড্রাইভে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে চালাতে পারবেন। এ হার্ডড্রাইভ থেকে কোনো কিছু কপি করা যাবে না আর প্রতিটি প্রজেকশনেই থাকবে বিশেষ কিছু চিহ্ন। এ ছাড়া চলচ্চিত্রটি থাকবে বিশেষ ফরম্যাটে, যা যেকোনো প্লেয়ারে চলবে না। আর এ ফরম্যাটে চলে, এমন প্লে-ব্যাক সফটওয়্যার আমরা আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান ইনফোনেট বিডির তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দিয়ে করিয়েছি।’
ছবি চলার পদ্ধতি বিষয়ে শীষ মনোয়ার বলেন, ‘পদ্ধতিটি সহজ। মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সার্ভার থেকে এটি চালানো হবে। আর একই সময়ে সারা দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে এটি চলবে। এ জন্য প্রেক্ষাগৃহগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে। এটা এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হলেও আমরা পরবর্তী সময়ে এটাকে ইন্ট্রানেট-পদ্ধতিতে করে নেব। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে আমরা লোক পাঠিয়েছি, যা পরবর্তী সময়ে আর লাগবে না। আর শুরুতে ৫০টি প্রেক্ষাগৃহ দিয়ে শুরু হলেও সারা দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ এ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার কাজও চলছে। আর বিদ্যুৎ চলে গেলে হয়তো প্রেক্ষাগৃহের ফ্যান বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু ছবি চলবে।’ এভাবেই চলবে ছবি আর একই সময়ে তা দেখতে পাবে সারা দেশের দর্শক এবং তা আজ থেকেই।
এক চলচ্চিত্র দেখা যাবে একই সময়ে দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে! এ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে আজ থেকে। ভালোবাসার রঙ চলচ্চিত্রটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে একই সময়ে চলার কথা।
নির্দিষ্ট একটি সার্ভার থেকে চলবে চলচ্চিত্র আর তা দেখা যাবে বিভিন্ন স্থানের আলাদা আলাদা প্রেক্ষাগৃহে! বিষয়টি আমাদের দেশে নতুন হলেও ভারত, নেপাল, হংকং, মালয়েশিয়া, বেলজিয়ামসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই চলছে। আর এ ই-সিনেমা আজ থেকে দেখবে বাংলাদেশ। এই প্রযুক্তিতে ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করছেজাজ মাল্টিমিডিয়া।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী শীষ মনোয়ার বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্র দেখার এ প্রযুক্তি চালু করেছি, যা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখা দর্শকদের নতুন এক আনন্দ দেবে।’ তিনি জানান, এ জন্য প্রেক্ষাগৃহের প্রক্ষেপণ (প্রজেকশন) কক্ষকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে আর ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক বারকো প্রজেক্টর। প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের এ প্রজেক্টরের মাধ্যমে ছবি দেখা যাবে দারুণভাবে। আর ছবি দেখানো হবে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ থেকে এবং ব্যবহার করা হবে বিশেষ সফটওয়্যার। তবে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে ভিডিও নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে মাস্টারিং প্যানেলের।যে সার্ভারে চলচ্চিত্রটি চলবে, ভিডিওকে তার উপযোগী করা হবে এই প্যানেলের মাধ্যমে। এতে নির্মাতাদের অনেক টাকা খরচ করে যেমন নেগেটিভ কিনতে হবে না, তেমনি দর্শকেরা নিখুঁত ও সুন্দর ছবি দেখতে পারবেন।’
৩৫ মিলিমিটার ক্যামেরায় চিত্রধারণ করা ছবিগুলোকেও এই প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা যাবে।চিত্র ধারণের পর সেটি রূপান্তর করে নিতে ডিজিটাল ফরম্যাটে। এ মাধ্যমে ছবি পাইরেসির হাত থেকেও মুক্তি পাবে বলে জানান শীষ মনোয়ার। তিনি বলেন, ‘নির্মাতাদের ছবি আমরা ডিজিটাল ফরম্যাটে করে দেব, যা নির্মাতারা হার্ডড্রাইভে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে চালাতে পারবেন। এ হার্ডড্রাইভ থেকে কোনো কিছু কপি করা যাবে না আর প্রতিটি প্রজেকশনেই থাকবে বিশেষ কিছু চিহ্ন। এ ছাড়া চলচ্চিত্রটি থাকবে বিশেষ ফরম্যাটে, যা যেকোনো প্লেয়ারে চলবে না। আর এ ফরম্যাটে চলে, এমন প্লে-ব্যাক সফটওয়্যার আমরা আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান ইনফোনেট বিডির তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দিয়ে করিয়েছি।’
ছবি চলার পদ্ধতি বিষয়ে শীষ মনোয়ার বলেন, ‘পদ্ধতিটি সহজ। মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সার্ভার থেকে এটি চালানো হবে। আর একই সময়ে সারা দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে এটি চলবে। এ জন্য প্রেক্ষাগৃহগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে। এটা এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হলেও আমরা পরবর্তী সময়ে এটাকে ইন্ট্রানেট-পদ্ধতিতে করে নেব। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে আমরা লোক পাঠিয়েছি, যা পরবর্তী সময়ে আর লাগবে না। আর শুরুতে ৫০টি প্রেক্ষাগৃহ দিয়ে শুরু হলেও সারা দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ এ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার কাজও চলছে। আর বিদ্যুৎ চলে গেলে হয়তো প্রেক্ষাগৃহের ফ্যান বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু ছবি চলবে।’ এভাবেই চলবে ছবি আর একই সময়ে তা দেখতে পাবে সারা দেশের দর্শক এবং তা আজ থেকেই।
তারিখ: ০৫-১০-২০১২
প্রথম আলো