somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ব-১ ঃ একজন রিসিপশনিস্ট

২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাস্তবতা নাকি বড় কঠিন যা এড়ানোর জো নেই! যদিও আমি আবেগ মিশ্রিত বাস্তবতা ছাড়া কাঠখট্টা বাস্তবতায় বিশ্বাসী নই। যা হোক মূল ঘটনায় চলে যাওয়া যাক, তবে হ্যা গল্পটা কিন্তু বাস্তব মেকি নয় মোটেও।

জুনের আট তারিখ, সোমবার, সন-২০১৫। ৭ম সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ মনে মনে ভাবলাম যাক এবার একটু অবসর পাওয়া যাবে, কতদিন হল মজা করে নজরুল, শরৎ, রবিন্দ্র পড়ি না। কিন্ত ওই যে! আপনারা যেটাকে বলেন বাস্তবতা, তারই মুখোমুখি দাড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হলো।

খবরটা আগেই জানা ছিল, দুপুর ২টা নাগাদ হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট পদে চাকরির জন্য ভইভা দিতে হবে । আমি কিছুটা দোটানায় ভুগছিলাম কারণ একদিন আগে ডপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রকাশনায় কাজ করার অফার পেয়েছিলাম, পরে ভাবলাম যাক চাকরি তো আর সারা জীবনের জন্য না, একবার ঘুরেই আসা যাক!

স্যুটেড-বুটেড হয়ে যখন ভাইভার জন্য বের হচ্ছি তখন বাজে প্রায় তিনটা, যা হোক বের হলাম ভাইভা দেওয়ার জন্য কিন্তু বিধি বাম! জায়গা মতো পৌছে পড়লাম এক মহা ফ্যাকড়ায়, চক্ষু হসপাতাল খুজে না পেয়ে গ্রামের মানুষের মতো মাঝে মাঝে হাতে ঠিকানার কাগজটা নিয়ে রোড ও বাড়ির ঠিকানা মিলানোর জন্য এদিক ওদিক চাওয়া-চাওয়ি, হাটা-হাটি শুরু করলাম। প্রায় আধ ঘন্টা খোজার পরও যখন খুঁজে পেলাম না তখন মাথার চাদি গরম হওয়া শুরু করল, এদিকে গরমে ঘেমে-নেয়ে মনে হচ্ছিল কেউ যেন এক মগ পানি দিয়ে শার্টের পিছনটা ভিজিয়ে দিয়েছে!

অবশেষে যখন খুঁজে পেলাম তখন তো একেবারে আক্কেল গুড়ুম! বাস থেকে যেখানে নেমেছিলাম হাসপাতালটা সেখান থেকে সামনেই, যা হোক দুর্ভোগ কপালে থাকলে তা তো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
হাসপাতালে পৌছে আবার এক ঝামেলায় পড়লাম। ডা: মনিরুজ্জামান নাকি এখন সময় দিতে পারবেন না, তিনি রুগি দেখায় ব্যস্ত আছেন, দেখা করতে হলে বসতে হবে।

যা হোক অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে রাত আটটা বাজল কিন্তু ডাক্তারের আর দেখা মেলে না। একটু পরে রিসিপসনিস্টদের মধ্য থেকে একজন এসে আমার (CV) টা নিয়ে ডাক্তার সিদ্দিককে দেখাল, একটু পর আমাকে জানানো হলো আগামীকাল আসতে হবে।
যা হোক চাকরি তো আর মামির হাতের মোয়া নয়! কি আর করা আজকের মতো ফিরতে হলো , অপেক্ষা এবার আগামীকালের......



সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×