গত কালকের জামাতের মিছিলের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী পদলেহী পত্রিকাগুলোর ভারসাম্যহীন নিউজগুলো হয়ত অনেকেরই চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। এভাবে কত শত সত্য ঘটনাগুলো যে মিথ্যা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে আওয়ামী পদলেহী মিডিয়া তার হয়ত অন্ত নেই। সংগ্রাম, নয়াদিগন্ত, কিংবা আমারদেশ নয় বরং আওয়ামী পা চাটা পত্রিকাগুলোর দুই একটা পত্রিকা ঘেটে যা পাওয়া গেল তা আসুন দেখি---
[img|]
প্রথমেই আসা যাক জনকন্ঠের মিথ্যাচার সম্পর্কে--- জনকন্ঠের ভাষায়--- জামাত মিছিল শুরু করলে কোন কারণ ছাড়াই তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। অথচ প্রথম আলো ও যুগান্তরের ভাষায় বুঝা যায় পুলিশ জামাতের মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাদের সাথে সংঘর্ষ বাধে এবং তার পরে ভাঙচুর শুরু হয়।
এখানে এই দ্বিমূখী নিউকে বিশেষজ্ঞরা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন জানিনা।
এবার আসা যাক গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনায়-
গাড়ী ভাঙচুর নিয়ে জনকন্ঠের ভাষায়- তাদের একটি গাড়ী ভেঙে দিয়েছে জামাত কর্মীরা যেখানে তাদের গাড়ীর নম্বরটি উল্লেখ করা আছে অথচ অন্যান্যা কোন পত্রিকায়ই গাড়ী ভাঙচুরের লিস্টে এই গাড়ীর নম্বর খুজে পাওয়া যায়নি... এ দ্বারা কি প্রমানিত হয় বিধাতাই ভাল জানেন...
এবার আসা যাক ঘটনাটা পরিকল্পিত ছিল কিনা এবং এর খবর গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল কি না.....?
ইত্তেফাকের নিউজের ভাষায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে- এই হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং যার নিউজ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল। অথচ অপরদিকে আমাদের সময়ের নিউজে স্পষ্ট বিদ্যমান যে এই আক্রমনের কোন তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিলনা। এখানে কি বলবেন বলুন.... আসল নিউজ যে কোনটা..? তা হয়ত গোয়েন্দা সংস্থাও জানেনা
এভাবে একটু পর্যবেক্ষনশীল দৃষ্টিতে যদি নিউজ গুলো বিশ্লেষন করা যায় তাহলে অধিকাংশ ঘটনাগুলোর মধ্যেই প্রায় আকাশ পাতাল সমতুল্য ফারাক খুজে পাওয়া সম্ভব...যা প্রমান করে আওয়ামী পাচাটা মিডিয়াগুলো নিজের দলের পা চাটতে গিয়ে বিশেষ কিছু চাটাচাটি করতেও দ্বিধা বোধ করেনা..... যার কারনে হারিয়ে যায়, চাপা পড়ে যায় আসল ঘটনাগুলো... আবাল জনগনের ভুগোল বুঝতে বাধ্য হয়....