ডে-লাইট সেভিংস নিয়ে রিসেন্ট সময়ে কম তোলপাড় হয়নি। সরকারের পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা শোনা গেছে। শেষে সরকার এটাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। এর বিপক্ষে যারা বলতেন তাদের যুক্তি ছিলো এর দ্বারা বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে না, শুধু শুধু জনজীবনে ভোগান্তি হয়। সরকার বাদ দিয়েছে ভালো কথা। কিন্তু ডে-লাইট সেভিংসের থেকেও ভালো সহজ একটি পদ্ধতি আছে যা অনেকেরই অজানা বা জানা থাকলেও খেয়াল করেননি। এই পদ্ধতিটি ইসলামে বলা আছে।
ইসলামে দিনকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দিনের শুরুতে সূর্য ওঠার আগে নামাজ দিয়ে শুরু হয় দিনে কার্যক্রম। হাদীসে আছে, ফজরের নামাজ পড়লে মুখের উজ্জ্বলতা (নূর) বাড়ে।
হাদীসে আরো আছে, নাসীমুস সবাহি দাওয়াউ আলফি মারাদিন। অর্থাৎ সকালের হাওয়া হাজার রোগের ঔষধ।
ডাক্তাররাও সকালে ওঠার ব্যাপারে সবাইকে জোর দেন।
যদি আমরা হাদীসের উপর আমল করে সকালে ঘুম থেকে উঠি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য, তাহলে আমরা দিন শুরু করবো সাধারণ সময়ের চাইতে ২-৩ ঘন্টা আগে। ফজরের নামাজের একটু পরই চারদিক আলো হয়ে যায় বলে বেশিক্ষণ বাতি জ্বালিয়ে রাখার দরকার পড়ে না।
যেহেতু সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে, তাই রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাতে এশার নামাজের পরপরই শুয়ে পড়া যায়। হাদীসে আছে, এশার নামাজের পর কথাবার্তা বলা অনুত্তম। সুতরাং ৮-৯ টায় এশার নামাজ পড়ে শুয়ে পড়লে হাদীসের উপর আমল করা হবে তদুপরি পরদিন ফজরের সময় উঠতে সুবিধা হবে।
আমরা সাধারণত: ১২টা - ১টায় ঘুমাই। যার ফলে আমাদের বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশি। টিভি দেখে সময় কাটানোর চাইতে ঘুমিয়ে শরীরের যত্ন নেয়া অনেক জরুরি।
এভাবে যদি আমরা আমল করতে পারি, তাহলে ডে-লাইটের মতো পশ্চিমা রীতি আমদানি করতে হবে না। মানুষ সকাল সকাল ওঠার কারণে সুস্থও থাকবে, কর্মদক্ষতাও বাড়বে।