
ইমাম শাফী’ই রহীমাহুল্লাহ বলেছেন,
“যখন কেউ কিছু বলার ইচ্ছা করে, তার উচিত বলার পূর্বে তা নিয়ে চিন্তা করা। সে যা বলতে চাচ্ছে তাতে যদি কোন উপকার থাকে, তাহলে সে তা বলতে পারে। আর যদি এতে কোনো উপকার আছে কি না এই বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে, তবে অবশ্যই তা বলা থেকে বিরত থাকা উচিত, যতক্ষন পর্যন্ত না তার সন্দেহ দূর হয়।”
আল-ফুদাইল ইবন আইয়্যাদ বলেছেন,
“যে তার কথাকে আমল অনুপাতে নিয়ন্ত্রন করে, সে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত তাকতে পারে।”
ইমাম শাফী’ই রহীমাহুল্লাহ তার একজন শিষ্য কে উপদেশ দিতে যেয়ে বলেছেন,
“যে বিষয় তোমার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তা নিয়ে কথা বলনা। প্রকৃত পক্ষে, যখনই তুমি একটি কথা বল, তা তোমার উপর নিয়ন্ত্রন গ্রহণ করে এবং এটিকে নিয়ন্ত্রন করার কোন ক্ষমতাই তোমার থাকে না।”
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন,
“বন্দী করে রাখার জন্য জিহবার চেয়ে উপযুক্ত আর কিছুই নেই।”
আবুল কাসিম আল কুসাইরি বলেছেন,
“চুপ থাকাতেই মুক্তি এবং এটিই মূল ভিত্তি। সঠিক সময়ে চুপ থাকা হল চরিত্রের পূর্ণতার পরিচয়। আর শুধুমাত্র উপযুক্ত সময়ে কথা বলা হল উন্নত চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।”
আবুল কাসিম আল কুসাইরি আরো বলেছেন,
“যে সত্য বলার ক্ষেত্রে চুপ থাকে, সে নীরব শাইত্বান।”
(নাওয়ায়ী’র কিতাব আল আযকার)

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




