সম্প্রতি দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রীদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নিয়ে আন্দোলনের ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ধরণের ঘটনার অবসানে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। কিন্তু শুধু নীতিমালা করলেই কি এসব ঘটনা বন্ধ হবে?
প্রথমেই জানা যাক, এ ধরণের ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে হয়? আমার জানামতে, একজন ছাত্রী যখন পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার আশায় শিক্ষকের আশেপাশে নিয়মিত ঘুরঘুর করে তখনই কিছু রুচিহীন শিক্ষক এধরণের ঘটনা ঘটাতে সুযোগ পায়।অনেক সময় নম্বর বেশি পাওয়ার আশায় কিছু শিক্ষকের এধরণের অনৈতিক আচরণ সংশ্লিষ্ট ছাত্রী সহ্যও করে। কিন্তু যখন শিক্ষক ঐ ছাত্রীকে বেশি নম্বর দেন না কিংবা শিক্ষকের সাথে অন্য কোন ইসু্যতে মতবিরোধ ঘটে তখনই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ব্যতিক্রম কিছু থাকতে পারে।
এবার আসি ঘটনার অন্য দিকে। নারী-পুরুষের আকর্ষণ মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই।লাক্স সাবানের মত বলতে হয় এ আকর্ষণ এড়ানো দায়। স্বাভাবিকভাবেই একজন পুরুষ যখন কোন নারীর দুর্বল দিক খুঁজে পায় তখন এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে।এক্ষেত্রে নৈতিকতা হয়ত অনেক সময় তাকে বাধা দেয়। কিন্তু তার ভেতরে যদি নৈতিকতা না থাকে তবে তাকে বাধা দেবে কোন বস্তু?
আমাদের সমাজ বাস্তবতা এবং দেশীয় আইনেও এধরণের নির্যাতনের শাস্তি বিধান করা আছে। কিন্তু শুধু আইন ও নীতিমালা দিয়ে এসকল ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব নয় তা ইতোমধ্যেই প্রমানিত হয়েছে। এ ঘটনা বন্ধে চাই এমন এক ব্যবস্থা যাতে করে এসব ঘটনা ঘটার সুয়োগই তৈরি না হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




