অয়োময় নাটকের আমজাদ হোসেন, মদিনা ওরফে তারানা হালিমের স্বামী একটা রামদা নিয়ে ধাওয়া করতো গ্রামের লোকজনকে। কারন তার বাবাকে বস্তাবন্দী করে কুয়ায় ফেলে হত্যা করেছিল জমিদার কিন্তু গ্রামের কেউই কোন প্রতিবাদ করেনি। একারনে গ্রামের লোকদের প্রতি তার অসীম ঘৃনা। কিন্তু সমাজ তার এ স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি। হাতেপায়ে শিকল জড়িয়ে তাকে বেধে রাখা হতো। শেকলবন্দী ঘৃনা উগরে দিয়ে সে যে কথাটি বলতো তাই এ লেখার শিরোনাম।
কেস স্টাডি 1
ফজলে এলাহী একের পর এক পোস্ট দিচ্ছে। বিষয়, আহমদিয়া সম্প্রদায় অমুসলিম। তারা নাফরমান। তাদের কতল করা জায়েজ আছে। ইত্যাদি অমুক সমুক নানা ফতোয়া। রাসেল, কৌশিক, হাসান মোরশেদ, বাকীবিল্লাহ তার ব্লগে নিষিদ্ধ।
তার পরবতর্ী পোস্ট, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ইসলাম বিপন্ন। ইসলাম বাঁচাতে পাকিস্তানে ফেরত যেতে হবে। তার মনোনীত ব্লগাররা হুজুর হুজুর করবে। পাকিস্তানের পক্ষে জনমত সংগঠিত হবে। এরপর একদিন 14 ডিসেম্বর ধানসিড়ি এ ব্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট দেবেযে কেন 1971 সালের 14 ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি নামক ভারতীয় দালালদের হত্যা করা ফরজ ছিলো।
আর এ সময়ে রাইসু একটা শোকরানা পোস্ট দেবেন এ বলে যে ব্লগে গালাগালি বন্ধ হয়ে পবিত্র ভাব বিরাজ করছে। ব্লগ এডমিন শুকরিয়া, আসসালাম।
উপসংহার,
আমি কাউকে দা নিয়ে ধাওয়া করতে চাইনা। কিন্তু পূর্বপুরুষদের হত্যাকারীদের প্রেতাত্মাকে ঘৃনা করতে চাই। এ আমার স্বাধীনতা। এটুকু আমার চাই। ব্লগ কতৃপক্ষের জন্য একছত্র কাহলিল জিবরান,
একখন্ড তুষার ধবল সাদা কাগজ একবার প্রতিজ্ঞা করলো যে সে শুদ্ধ থাকতে চায় আজীবন। একথা শুনে কালির কলম, রঙীন পেনসিল সবাই ভড়কে গেল। কেউই আর ঐ সাদা কাগজের আশেপাশে ভিড়লো না।
সাদা কাগজ আজীবন তার শুদ্ধতা রক্ষা করলো। শুভ্র, নিস্কলঙ্ক কিন্তু ফাকা; একেবারেই ফাকা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



