BAL=বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
বছর খানেক আগের কথা।ব্লগে একটা পোষ্ট দিছিলাম বালের দেশের বালের আদালতগুলোকে পাবলিক টয়লেট বানানো হউক।যে ঘটনার পর সেই পোষ্টটা দিয়েছিলাম সেই ঘটনাটি দুটো হচ্ছে
ছবিতে বাঁধনের শাড়ির আঁচল ধরে টানটানিরত ফজলুল হক রাসেল ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ছাত্রলীগ শহীদুল্লাহ হল শাখার সহ-সভাপতি ফজলুল হক রাসেলের বাবার নাম তোজাম্মেল হক মণ্ডল।দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওই মামলা থেকে ঘটনার মূল হোতাসহ ৩ জনই খালাস পেয়ে গিয়েছিল শুধু রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার বিবেচনায়।
উপ্রের ছবিটি বহুল আলোচিত মালিবাগের মিছিলে গুলি ছোড়াঁর ছবি।মালিবাগেরর সেই মিছিল থেকে প্রকাশ্যে গুলি করার ছবি অধিকাংশ জাতীয় দৈনিকে ছাপা হওয়ার পরও শুধু মাত্র ..শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানি মোড়কে ঢেকে দিয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দুলাল কে অব্যহতি দেন।
এই দুই ঘটনার পর বালের দেশের বালের আদালতগুলোকে পাবলিক টয়লেট বানানো হউক শিরোনামের পোষ্টটি দেওয়ার পর ব্যাপক ভাবে আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল কিছু সুশীল ব্লগার এবং আওয়ামীলীগের ব্লগাররা।শেষে পোষ্টটা মডুরা হাপিস করে দেয়। অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে সাধরণ ব্লগারদের মধ্যে যারা সেদিন বালের দেশ বালের আদালত এই লাইনটির বিরোধীতা করেছিলো তাদের অনেকেই এখন লাইনটি বিভিন্ন পোষ্টে বলে।
এই দেশের আদালতের উপর আমার বিন্দুমাত্র আস্থা নেই বর্তমান সরকারের আমলে।আদালত ইসুৎতে বড় বড় খবর চোখে পড়লেই যে বিচারকের নামটি ৯৯ভাগ ক্ষেত্রে পড়ে সে নামটি হচ্ছে গোবিন্দ চন্দ্র।গতকাল গোবিন্দ্রচন্দ্রের আদালতে আমিনীর মামলায় অহেতুক ভাবে খালেদাকে জড়ানো হয় ।এই ইসুৎতে যেখানে সিনিয়র অনেক আইনজীবি খালেদা এবং আমিনী ইসুৎ দুটি সম্পন্ন আলাদা এবং এই দুটি ব্যাপারকে একসাথে জড়ালে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে এমনটি বলার পরামর্শের পরও বিচারকরা হাসিনাকে খুশি করতে বিরতি এবং বিরতির পর আবারও একইরকম বক্তব্য দেয় এবং এতে আওয়ামী এবং বিএনপির হাতাহাতি এবং বিচারকদের দিকে স্প্রিন্টারের পেছনের প্লাস্টিকের এটি পাত ছুড়ে মারা হয় এবং সেই নিয়ে আদালত আজ স্বপ্রনোদিত ভাবে ১৩ আইনজীবির আদালতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সারকারী চামচামী করার জন্য আদালতের ব্যবহার দরকার কি?দয়ালু রাষ্ট্রপতির দরবার আছে এই জন্য।এর চাইতে বিকল্প একটা প্রস্তাব দিচ্ছি।কখনো বিধবার জমি দখল করে কখনো পোষ্ট অফিস দখল করে আওয়ামীলীগ অফিস বানাচ্ছে বাকশালীরা।এদের কারণে পাবলিক আওয়ামীলীগের উপর ত্যাক্ত বিরক্ত হচ্ছে।এর চাইতে আদালতগুলোকে আওয়ামী অফিস বানানো যেতে পারে।কি বলেন ভাইয়েরা ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯