বাঙ্গালী জাতির আজীবনের স্বপ্ন-স্বাধ পুরন হয়েছিল একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে।কিন্তু কাঙ্খিত এই স্বাধীনতার জন্যে এতো মৃত্যু, এতো রক্তক্ষয়, এতো দুঃখ-কষ্ট পৃথিবীর আর কোন জাতিকে করতে হয়নি, যদিও তখন এদেশের সবাই একক ভাবে একজাতী হিসেবে দেশে বসবাস করছিলেন। তবে এতো মৃত্যু ও এতো রক্তক্ষয় হতোনা, যদিনা বাঙ্গালী পরিচয় দানকারি পাকি-প্রেমীরা তখন স্বাধীনতার বিরোধীতা না করতো। এরআগে ১৯৪৭ সালে সাত হাজার মাইল দুরের বৃটিশরা শান্তিপুর্ন ভাবে দেশ ছেড়ে চলে গেলেও, একহাজার মাইল দুরের পাঞ্জাবীরা এত সহজে ছাড় দেয়নি আমাদের। তারা ঐ পাকি-প্রেমীদের সাথে নিয়ে এদেশে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, যা পৃধিবীর ইতিহাসে বিরল।
কিন্তু স্বাধীনতা পেয়ে আত্মহারা বাঙ্গালীরা কিছু রাঘব বোয়াল দালাল ধরে জেলে পুরে বাকিদের ব্যপারে উদাসিন হয়ে গিয়েছিল, ধারনা করেছিল ঐ পাকি-প্রেমী হায়েনার দল বুঝি তাদের এতদিনের স্বভাব বদলিয়ে মূল জাতীয় ধারায় ফিরে আসবে। কিন্তু “কয়লা ধুলেও ময়লা যায়না”।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা যে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এবং পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে শক্তি সঙ্চয় করছিল, আমরা ভেতো বাঙ্গালী বলেই তা এতোদিন গ্রাহ্য করিনি। জিয়াউর রহমান, এরশাদ নিজেদের স্বার্থে গনতন্ত্রের লেবাস গায়ে চড়িযে হায়েনাদের সুযোগ করে দিয়েছিল এদেশে রাজনীতি করার ।
ওদিকে বীর(?) মুক্তিযোদ্ধা সহ আমরা উপায়হীন জনগন তা হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলাম। আসলে আমরা জানতামইনা যে পরাজিত শক্তির আসলে কোন নৈতিক অধিকার থাকেনা দেশে আর রাজনীতি করার।ভিয়েতনামের দিকে তাকালেই আমরা তা বুঝতে পারবো, পরাজিতদের দেশছাড়া করেছিল বলেই এখন তারা সুখে-শান্তিতে আছে।আমাদের ভুলের সুযোগে আর হঠাৎ হয়ে যাওয়া রাজনীতিকদের আস্কারা পেয়ে, তারা আস্তে আস্তে দেশটাকে একটা মিনি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার দ্বরপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রায়। এখন মনেহচ্ছে তারা যেনো সেই রেসকোর্সের ময়দানে উল্টো আমাদের সারেন্ডার করিয়ে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়।
কিন্তু আমরাতো পাকি ভাবধারার রাজনীতিটিকে এদেশে আরো ৪১বৎসর পূর্বেই কবর দিয়ে ফেলেছিলাম। এখন তো পাঞ্জাবীরাও নেই, তাহলে তদের এতো দুর্দান্ত সাহস এলো কোথ্বেকে?আজ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারিও তদের স্বপক্ষের কয়েকটি দল ক্ষমতায় থাকলেও জামাত-শিবিরের ভয়ে আজ তারা কোনঠাসা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরি বাহিনী তাদের ঠেকাতে আজ ব্যর্থ।
তাহলে বাঙ্গালী জাতির করনিয় কি? বিপুল ভোটে বিজয়ী এ সরকারের এতো ভয় কিসের? বাঙ্গালীরা কি এখন আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী নয় ? তাহলে ওদেরকে আর ভয় কিসের ? সময় হয়েছে তাদেরকে এদেশে নিষিদ্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
সেদিন পাকিস্তানি সেনাদের গুলির ভয়ে পালিয়ে ৭১ সালে আমরা ভারতে শরনার্থী হিসেবে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন মরে গেলেও আমরা আর বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবনা। দৃঢ় মনোবল আর ঐক্যতা নিয়ে চুড়ান্ত বিজয় না হওয়া পরযন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব ইনশাল্লাহ।