somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“সুন্দরবন” ও “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র”

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুদূর অতীতকাল থেকেই বাংলাদেশ একটি ঘন অরণ্যের দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন থেকেই এ দেশে শুরু হয় বন বা অরণ্য নিধনযঞ্জ। যা আজ পর্যন্ত মহা সমারহে চলছে। যদিও এ ধ্বংস বিপুল জনগোষ্ঠীর মানবিক প্রয়োজনে, তবুও নির্বিচারে গাছপালা কাটার ফলে উজাড় হতে থাকে এদেশের বনজ সম্পদ।
## সাধারণ কিছু তথ্য: কোন দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য মোট ভূমির ২৫% বনভূমির প্রয়োজন থাকলেও বাংলাদেশে আছে জনপ্রতি মাত্র ০.০২% হেক্টর বা দেশের মোট ভূভাগের মাত্র ১৭%।
বাংলাদেশের মোট বনভূমির একটি বিরাট অংশ হল দেশের দক্ষিণ জেলার ( খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, সাতক্ষিরা) উপকূলীয় এলাকা সমূহের সমুদ্রের লোনা পানির প্রভাবে যে ম্যানগ্রোভ বা টাইডাল জাতীয় বন গড়ে উঠেছে তাঁকে সুন্দরবন বলে।
>>যে সুন্দরবন আমাদের গ্রিন হাউস ইফেক্ট থেকে রক্ষা ( আমাদের দেশের বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড , co2 এর পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুন্দরবন )করছে সুন্দরবন।
>> যে সুন্দরবন আমাদের দেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা প্লাবন, জলোচ্ছ্বাস থেকে আমাদের মমতাময়ী মায়ের মত প্রতিনিয়ত রক্ষা করছে।
(একটা বিষয় লক্ষ্য করুন " মহাসেন " প্রথম আঘাত হেনেছিলে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা অঞ্চলে আর সেখান থেকেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সীতাকুণ্ড, ফেনী হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। আর যেই অঞ্চলগুলোতে প্রথম আঘাত হানে সেই অঞ্চলগুলো সুন্দরবনের কাছাকাছি অঞ্চল হওয়ার ফলেই কিন্তু মহাসেন এর গতি কমে যায় এবং বৃষ্টির ফলে পরবর্তীতে দুর্বল হয়ে পরে। আর ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হাত থেকে আমরা বেঁচে যাই।এ ভাবে সিডর এর ক্ষত আজও এখনও উপকূলীয় মানুষ বহন করে চলছে।২০০৭ সালের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনা সিডর এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০-২৪০ কিমি। সিডর এর এই গতিতে বাধা প্রদান করে আরও ভয়াভয় ক্ষতির কমিয়ে দিয়েছে আমাদের সুন্দরবন ও উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী।
>> সুন্দরবন আমাদের দেশের বায়ুমণ্ডলয় তাপমাত্রার সমতা রক্ষা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধিতে ( বনের গাছপালা সূর্যরশ্মি কে মাটিতে পড়তে বাধা দেয়, ফলে বনের মাটি গরম হয় না, তাই বনের বাতাস মাটির সংস্পর্শে এসে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এছাড়া গাছ প্রস্বেদনের মাধ্যমে বাতাসে জলীয়বাষ্প ছড়িয়ে দেয়। ফলে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যায় এবং বাতাসের তাপমাত্রা কমে যায়। যা বীজের অঙ্কুরোদ্গম এবং বৃষ্টিপাতে সহায়তা করে ) সহায়তা করে।
>> সুন্দরবন আমাদের ভূমির ক্ষয়রোধে ( গাছপালার শিকড় মাটিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখে, গাছপালা বা ঘাস বিহীন মাটি বৃষ্টির তোড়ে বা বন্যার স্রোতে ধুয়ে যায়, এর সাথে ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস পানিতে ধুয়ে সাগরের পানিতে মিশে যায়। এক হিসেবে দেখা যায় প্রতিবছর পৃথিবী থেকে ৪ বিলিয়ন টন অজৈব এবং ৪০০ মিলিয়ন টন জৈব পদার্থ মাটির গা ধুয়ে সাগরে চলে যায়) ভূমিকা পালন করে।
>> সুন্দরবন ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ( উপকূলীয় এলাকার বনের গাছের পাতা, ডালপালা, বাকল, শিকড়, পশু ও পাখির মলমুত্র ও দেহাবশেষ মাটিতে মিশে খনিজ ও জৈব সারে পরিণত হয়। এই হিউমাস জাতিও জৈব সার মাটিতে পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস সরবরাহ করে। উপকূলীয় এলাকার মাটিতে হিউমাস যুক্ত জৈব সার মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে পানি লবণাক্ত হওয়ার ফলেও ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়) সহায়তা করে।
>> সুন্দরবন বায়ু বিশুদ্ধ করতে ( সুন্দরবন ও এর গাছপালা বায়ু থেকে ক্ষতিকারক গ্যাস যেমন-কার্বন ডাই-অক্সাইড -co2, কার্বন মনো-অক্সাইড-CO, ও ধূলি বালি অপসারণ করে নেয় এবং বাতাসে পর্যাপ্ত পরিমাণের অক্সিজেন-O2 সরবরাহ করে) সহায়তা করে।
>> আমাদের দেশের ভূভাগকে মরু অঞ্চলে পরিণত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার পিছনে সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার সবুজ বেষ্টনীর অবদান অনেক বেশি।
>> সুন্দরবন ধূলি বালি ও দুর্গন্ধ দূরীকরণে ( গবেষণায় জানা যায় যে, একটি বড় গাছ কেবল গ্রীষ্মেই ১০ পাঊণ্ড বা ৪.৫ কেজি ধূলি আটকিয়ে রাখে। এ ছাড়াও প্রতিটি গাছ এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি করে এবং তা বাতাসে ছেড়ে দেয়। কোন কোন গাছের ফুল এবং রাসায়নিক দ্রব্য খুব সুগন্ধি হয়। সুন্দরবন সহ উপকূলীয় বন আমাদের তাদের ফুলের মাধ্যমে দুর্গন্ধ শুষে নেয় এবং আমাদের সুন্দর ভাবে বাঁচতে সহায়তা করে) কাজ করে।
>> সুন্দরবন পশু পাখির ( UNDP ও FAO এর জরিপে দেখা গেছে শুধু সুন্দরবনে বাস করে ৪২০ টি বাঘ, ১লাখ ২০ হাজার হরিণ, ৪০ হাজার বানর, ৪৩ হাজার বন্য শুকুর, ৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ ছাড়া ভাল্লুক, সাপ , কুমির, কাঠবিড়াল, বিলুপ্ত প্রায় গুই সাপ ও হাজার রকমের কীটপতঙ্গের বসবাস এই সুন্দরবনে। এ ছাড়া মিঠে পানির ডলফিন এর অভ্যরন্য সুন্দরবনের বেশ কয়টি নদী।) আশ্রয়স্থল।
>> আমাদের এই সুন্দরবন জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের বড় একটি জায়গা। লক্ষ লক্ষ উদ্ভিদ ও প্রাণী অণুজীব ও এদের দেহের জিন সমষ্টি এবং জটিল পরিবেশ জীব-বৈচিত্র্য গড়ে তোলে। আর যে কোন এলাকার জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে বনভূমির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বন ধ্বংস করার ফলে নানা ধরনের উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যায়। ফলে বস্তুতান্ত্রিক খাদ্যশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে জীবের বা প্রাণীর বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দেয়।
>> বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ । তেল, গ্যাস, কয়লা যে কোন সময় শেষ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু বনজ সম্পদ কোন কালেয় ফুরাবেনা যদি এর সুরক্ষা ও পরিচর্যা বিঙ্গান সম্মত হয়। আর এই জন্যই বনকে বলা হয় নবায়ন যোগ্য সম্পদের অফুরন্ত উৎস।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদের গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হল:
১। জ্বালানি কাঠ সরবরাহ।
২। গৃহনির্মাণ ও আসবাবপত্রের উপকরণ সরবরাহ।
৩। মানুষের খাদ্য সরবরাহ।
৪। শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ: দিয়াশলাই, প্লাইউড, কাগজ, ইট, নৌকা ও জলযান, শীতলপাটি, বাঁশ জাত সামগ্রী, বেতজাত সামগ্রী, রেশম ও তামাক, বনজ উদ্ভিদ বীজ হতে তৈল ইত্যাদি।
>> সুন্দরবন ভেষজ ঔষধের বড় একটি যোগান দাতা। আয়ুর্বেদী, ইউনানি , হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি চকিৎসা শাস্ত্রে ঔষধ উৎপাদনের মুখ্য উপকরণ হল ভেষজ মুল, পাতা, বাকল, শিকড়, ফুল, বীজ। আর এ কাজে প্রায় ৭০০ উদ্ভিদ ব্যবহার হচ্ছে। আর এই সব উদ্ভিদের অন্যতম যোগান আসে সুন্দরবন থেকে।
সুতরাং দেখছেনই তো সুন্দরবন কত ভাবে কত সুন্দর করে আমাদের প্রয়োজনে কাজে লাগছে। তাই এই সুন্দরীকে রক্ষা করা আমাদের জন্য আমাদের প্রয়োজনেই দরকার। অথচ আমাদের এই সরকার সুন্দরবনের নিরাপত্তা কে পাত্তা না দিয়ে সুন্দর বনের বুকের ভিতরেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। দরকার হলে রাস্তায় নামতেও কুণ্ঠাবোধ করব না। তাই আসুন প্রতিবাদ করি ... সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না চাই না।
##ও এক নজরে ওমিয় হাসান ভাই এর লিখিত সুন্দরবনের ক্ষতি শীর্ষক লিখাটি পড়ুন। আর দেখুন কিকি হারাচ্ছেন আপনারা: আসুন একটু চোখ বুলাই অধিগ্রহণ করা ১৮৩৪ একর জমি থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে আমরা বছরে কি কি হারাচ্ছি।
• বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়।
• ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়।
• প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩৪টি গরু, ২৩ টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাঁস, ৬-৭ টি করে মুরগী পালন করা হয়।ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে৫২১৮৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১৮৩৪ একর জমিতে (৫৬৯৪১ মেট্রিক টন) মাছ উৎপাদিত হয়।
EIA রিপোর্টে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ধান, মাছ, গৃহপালিত পশুপাখি ইত্যাদির উৎপাদন ধ্বংস হবে স্বীকার করে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সঠিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা হলে এর বাইরের ১০ কিমি এলাকার মধ্যে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না(!)। যদিও বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ, ড্রেসিং, বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ও তৈল নি:সরণ ইত্যাদির ফলে পশুর ও মাইদ্বারা নদী, সংযোগ খাল, জোয়ার-ভাটার প্লাবন ভূমি ইত্যাদি এলাকার মৎস্য আবাস, মৎস্য চলাচল ও বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

কৃতজ্ঞতাঃ ফেসবুক বন্ধু Golam Maula Akas

## সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনকে বেগবান করতে আপনিও এগিয়ে আসুন। সকল সহযাত্রী বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্ধের দাবীতে সারা দেশ ব্যাপী একজোটে আন্দোলন পরিচালনার জন্য জেলা ভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে সবাই নিজ নিজ জেলায় জনমত তৈরিতে এগিয়ে আসুন। বিভিন্ন জেলায় অবস্থানকারী সহযাত্রী বন্ধুরা সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে আপনার অবস্থান জানিয়ে আমাদের করতে পারেন। এই নাম্বারে 01912471433 অথবা 01719151072 অথবা 01676788153
আপনার ছোট্ট একটি আওয়াজ বন্ধ করে দিতে পারে দেশ বিরোধী এই চুক্তি, যোগ করবে নতুন মাত্রা। আমাদের দেশ রক্ষা, আমাদের বন রক্ষার এই আন্দোলনে বসে না থেকে আপনার ফেসবুকে মাত্র ১০ জন বন্ধুকে এই আন্দোলনের পক্ষে বলুন। তাদের শেয়ার করুন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভয়াভয়তা।

রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রের লাভ ক্ষতি নিয়ে পূর্বের একটি লেখার লিংক। Click This Link
রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবীতে ফেসবুক ইভেন্ট এখানে। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৬
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×