শুধু কি রাজন, পর্দার অন্তরালে এমন হাজারো রাজন প্রতিদিন নির্যাতিত!
দেশের আইনে শিশুশ্রম বন্ধের কথা থাকলে ও অনেকে ই মানছে না এই আইন!
পর্দার অন্তরালে প্রতিদিন ই রাজনরা নির্যাতিত,হয়তো সেই খবর পৌছায় না আমাদের কানে।
পৌছায় না তাদের আর্তনাদ,পৌছায় না তাদের আকুলতা,ব্যাকুলতা।
দারিদ্রতার পোর্ষাঘাতে যখন দুঃখে মরছে ঐ শিশু, ঠিক তখন কিছু বর্বর এর অমানুষিকতায় নির্যাতিত এক তৃতীয়াংশ দারিদ্র শিশু।
হয়তো যেই বয়সে হাতে বই থাকার কথা, সেই বয়সে সংসারের ঘানি টানতে বেঁছে নেন কর্ম!
তা ও আবার যেই সেই কর্ম না,ঝুঁকির কাজ গুলো ই প্রতিনিয়ত করছে শিশুরা।
আর করবে ই না কেনো দারিদ্রতা যে তাকে ঘিরে ধরেছে।
ভিবিন্ন রেস্টুরেন্ট, পাইলিং,স্টীল ওয়ার্কশপ,বড় বড় কলকারখানার ঝুঁকির কাজ করছে শিশুরা।
এসব কাজ করে ই তারা প্রতিদিনের জীবিকা নির্বাহ করে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো এত ঝুঁকির কাজ করার পর ও মনুষত্যের দৃষ্টিকোন থেকে যে ভাল ব্যাবহার বলে একটা কথা আছে, সেটা কি পাচ্ছে তারা?
ওই শিশুদের সাথে মাঝে মাঝে আমাদের সচেতন ব্যাক্তিরা এতটা ই ভাল আচরন করেন যে রাজনের মত একজন ডাব বিক্রেতা শিশুও তুচ্ছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা করতে ও ধিধা করেন না!
ওইসব শিশুদের স্বপ্নের হয়তো সমাপ্তিটা রাজনের মত ই হয়,নয়তো ঐ সব শিশুদের পুঁজি করে কিছু লোক নিজের স্বার্থ হাছিল করে নেয়।
এর বিরুদ্ধে হয়তো কারো ই কোন ভ্রুরুক্ষেপ নেই!
প্রতিটি শিশুর ই সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার আছে,আছে মৌলিক অধিকার গুলো পূরনের স্বাধীনতা।
দারিদ্রতার ভয়াল ঘ্রাসে হয়তো মৌলিক অধিকার গুলো থেকে বঞ্চিত শিশুরা।
আর দশটা শিশু যখন স্কুলের বই নিয়ে প্রতিযোগিতায় ব্যাস্থ,ঠিক তখন ঐ সুবিধা বঞ্চিত শিশুর কর্মের সন্ধানে এদিক,সেদিক ছুটতে গিয়ে রাজনের মত ই প্রতিহিংসার স্বীকার হয়!
বিত্তবান শিশুরা যখন বায়না ধরে দামী কিছু কিনে দেওয়ার জন্য,ঠিক তখন ঐ শিশুগুলো পেট বাঁচাতে মরিয়া হয়ে সর্বচ্চ ঝুঁকি নিতে ও প্রস্তুত থাকে।
অনুসন্ধান বলছে বেশীরভাগ কর্মক্ষেত্রে ই লাঞ্চিত,বঞ্চিত শিশুরা।
এক পর্যায়ে ঘৃনা আর ধিক্কার জীবন সঙ্গী করে বেঁচে থাকার নিমিত্তে এরা জড়িয়ে পড়ছে বেআইনি কাজে।
এর থেকে প্রতিকার পেতে হলে শিশু আইনে আরো কঠিন করে দোষীদের সর্বচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে।
আর ঐ নিস্পাপ শিশুগুলোকে যারা জন্ম দিয়ে পথে এনে দাড় করিয়েছে তাদের ও বিচারের আওতায় আনা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩২