বাল্য বিবাহ! কতটা ঝুঁকির মুখে নারী সমাজ?
বাল্যবিবাহ বলতে বুঝায় সন্তান উপযুক্ত হওয়ার আগেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশ সরকারের বাল্য বিবাহ আইনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮,ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১।
কিন্তু লোকচক্ষুর অন্তরালে আইনকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ই বাল্যবিবাহের অভিশাপে অভিশপ্ত করছে নারীদের!
কিন্তু কেনো সচেতনতা বাড়ছে না জনগনের মাঝে?
এক অনুসন্ধানে দেখা যায় বেশীরভাগ পরিবারের মেয়েরা অষ্টম শ্রেনীতে উঠার পরই বাল্যবিবাহের স্বীকার!
তখন তাদের বয়স সীমা ১৩ কি ১৪!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা, ও ইউনিসেফ এর বরাত দিয়ে জানা যায় একটি মেয়ে কখনোই ১৮ এর আগে বিয়ে নয়,২০ এর আগে সন্তান নয়।
যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয় তারা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, এমন কি অল্প বয়সে সন্তান প্রসব হলে, সেই সন্তান রিষ্ট,পুষ্ট হয় না!
জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশী।
অনুসন্ধানে ফুটে উঠেছে গ্রামের মেয়ারা ই অধিকাংশ বাল্যবিবাহের স্বীকার!
যে বয়সে হাতে বই থাকার কথা, সেই বয়সে সংসার নামক বিশ বৃক্ষের দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছে অল্প বয়সী নারীরা।
বিদেশ ফেরৎ প্রবাসী ছেলেদের প্রতি গ্রামের লোকদের দৃষ্টি,ছেলের বয়স যত ই হোক মেয়ে কোন রকম অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া হলেই উপযুক্তের তালিকায় নাম উঠে যায়।আর ছেলে ও সুযোগ বুঝে লোভে কচি মেয়েকে বিবাহ করে নেয়!
গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত,মূর্খরা ই মনে করেন মেয়েকে ঘরে রাখা বোঝা,যত তাড়াতাড়ি পারা যায় বিয়ে দিয়ে তারা বেঁচে যান।
এবার প্রশ্ন করেছিলাম এক অবিভাবক কে, আপনি কেনো মেয়েকে কম বয়সে বিয়ে দিতে চান?
তিনি সোজা সাপ্টা উত্তরে বললেন দেখুন আমার মেয়েকে ছেলেরা ডিস্ট্রাব করে,তাছাড়া ছেলে ভাল দেশে থাকে,টাকা ও অনেক,মেয়ে সুখে থাকবে!
কথাটা শুনে আমি থমকে গেলাম,আশ্চার্য এক তথ্য পেলাম আর তা হলো মেয়ে ডাঙ্গর হলেই উপযুক্ত,বয়স দিয়ে উপযুক্ততা বাছাই করা যায় না!
তারা প্রশাসনের কাছে ও তেমন কোন খবর পৌছান না,আবার এক শ্রেনীর যুবক উত্তাক্ত করে ই ক্ষ্রান্ত হন না,তারা না না ভয় দেখিয়ে ও জিম্মি করে রাখে পরিবারকে।
আসলে শিক্ষার আলো না পৌছালে যা হয়,আবার শিক্ষা গ্রহন করেছে তবে সেটা কুশিক্ষায় পরিনত হলে যা হয়!
এরা জানে ই না বাল্য বিবাহে নারী কতটা ঝুঁকিপূর্ণ!
নারী কতটা অসহায়।
নারীকে আজও একটা সম্প্রদায় ভোগপন্য হিসেবে ব্যাবহার করে।
নারীকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে বাঁচাতে হলে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে,এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাতে হবে মানুষকে।
এই ব্যাপারে প্রশাসন সর্বদা ই আপনাকে সহায়তা করবে।
আপনার দায়িত্ব প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা।
নারী বাঁচলে দেশ বাঁচবে,নারী বাঁচলে প্রজন্ম বাঁচবে।
এগিয়ে আসুন বাল্যবিবাহের হাত থেকে নারীকে বাঁচান।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪