সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফিরোজ।পেয়ে ও ফিরিয়ে দিলেন নগদ অর্থ,দামী মোবাইল।
রিফাত কান্তি সেন।
নাম ফিরোজুল ইসলাম, তবে গ্রামের লোক (ফিরো) বলে ই ডাকে তাকে।
থাকেন চাঁদপুর জেলার,ফরিদগঞ্জ থানার, কড়ৈতলী নামক গ্রামে।
বাবার নাম :- ছত্তর।
তিন কি চার ফুট উচ্চতার ফিরো ১৬-১১-২০১৫ তারিখ, দূপুরে করলেন নতুন এক কীর্তি।
যেই কীর্তি তাকে পৌছে দিয়েছে সাদা মনের মানুষের তালিকায়।
কর্ম বলতে রিস্কা চালান ফিরো। সারাদিন খাটা, খাটনির পর যা পান তা দিয়ে ই সংসার চালান ফিরো।
জে,এস,সি পরীক্ষার ভাড়া নিয়ে যখন ফিরো রুপসা কেন্দ্র থেকে রিস্কাযোগে আসছিলো।ঠিক তখন এক পথচারীর একটি ব্যাগ পরে থাকতে দেখেন ফিরোজ।
ব্যাগ খুলে দেখেন অনেকগুলো টাকা আর মোবাইল ফোন।
হারানো ব্যাক্তি মোবাইলে ফোন দিতে ই, ফিরোজ তাদের বলেন কড়ৈতলী বাজারে এসে তাদের ব্যাগ আর মোবাইল নিয়ে যেতে।
সেই ব্যাগে ছিলো (৩০)ত্রিশ হাজার নগদ অর্থ,দামী স্মার্ট ফোন।
অভাব অনটনের সংসারে এতটুকু লোভ আসলো না ফিরোর মনে।
দারিদ্রতার পোর্ষঘাতে ধুঁকে ধুঁকে মরলে ও, তার সততাকে বিক্রি করেন নি।
এতগুলো টাকা আর দামী মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন ফিরোজ।
আজ যখন টাকার জন্য মানুষে, মানুষে রাহাজারি,যখন টাকার জন্য বন্ধু হয়ে যায় শত্রু,ঠিক তখন ফিরোজের সততায় মুগ্ধ কড়ৈতলীবাসী।
এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন এই ফিরোর মত প্রতিটি মানুষ যদি এমন সৎ কাজ করেন, তবে সমাজে আরো বেশী ভাল কাজের প্রতি মানুষের মনবল বাড়বে।
ফিরোর সাথে কথা বলেছিলো আমাদের প্রতিবেদক,তিনি জানান,এটা (পথচারী) তার হক,আমি কেনো তার হকে হাত বসাবো।
লোভ আমি করি না,অল্পতে ই আমি খুশি।
সারাজীবন সৎ ভাবে ই জীবন -যাপন করে যেতে চাই।
ফিরোজের সততায় খুশি তার পরিবার ও।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩