আজ ও কি সেই অহংকারের মোহে তুমি আবদ্ধ! হে নীলপরী নীলাঞ্জনা।
আজ ও সেই আগের মত ই সকালে সূর্যটা পূর্ব কোনে উঁকি মারে।
কৃষকেরা মাঠে চলে যায়।বাঁচার তাগিদে সকলেই ছোটে নিজ গন্তব্যে।
যে যার মত ছুটে চলেছে।কারো ভাগ্য ফিরেছে আবার কেউ ভাগ্য বদলের আসায় নিরলস ছুটে চলেছে।
অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে।প্যান্টের ভাজটা ও খুলে ফেলেছে কেউ।
কারো অপেক্ষায় কেউ একজন আর দাড়িয়ে থাকেনা ঘন্টার পর ঘন্টা।
অনেক বদলে গেছে কেউ একজন।শুধু বদলাওনি তুমি।
আজ ও দাম্ভিকতার বেড়াজালে তুমি আটকে আছো।
নিজের অহংকারের মোহে নিজেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ মনে করছো।
অর্থ আর বিত্তের মোহে মানুষকে মানুষ মনে করোনি।
এই কেউ একজন আজো পথ চেয়ে আছে তুমি আসবে বলে।
আজ ও যখন পূর্নিমার চাঁদ উঠে তখন অবাক হয়ে চেয়ে থাকে তোমাকে উপলদ্ধি করে বলে।
শুনেছি ভাল মানুষ নয়, ভাল টাকাওয়ালা মানুষ খুঁজছো তোমরা।
খুঁজছো ফার্স্ট ওয়াল্ড কান্ট্রির কোন বিত্তবান।
কিন্তু সেই মানুষটিকে গ্রাহ্য করোনি।যে মানুষটিকে দিনের পর দিন অবহেলার চোখে দেখেছো।যে মানুষটি রৌদ্র,বৃষ্টি,ঝড়কে উপেক্ষা করে শুধু তোমাকে একটি পলক দেখতে অপেক্ষার প্রহর করেছে দীর্ঘায়িত।
হে নীলপরি তুমি আসবে বলে সেই দুরন্ত ছেলেটার দুরন্তপনা আজ থেমে গিয়েছে।
তোমাকে একটি পলক দেখার জন্য আজ ও মনটা তাহার ছটপট করিতেছে।
যে তোমার ঐ সুন্দর মুখখানা হৃদয়ের ক্যানভাসে যন্ত করে এঁকেছে।
হে নীলপরি তুমি আসবে কবে? ভালবাসবে তো তাকে?
আঁধারে নিমর্জিত রাত,ঘন কুয়াশার মত ধোয়াশা মাখা জীবন।
নিস্তব্দ রাতের মহিমা।অনাকাঙ্ক্ষিত সুখ খুঁজতে গিয়ে তুমি ডুবিয়া গিয়াছো তোমার ই অতূল অহংকারে।
ভেবেছিনো এ সবই তোমার ক্ষনিকের অভিমান।তবে কি তাহা ভূল বুঝিয়াছিলাম তাই আজ দূরে সরে নিজেকে ভাবিছো মহিয়ান।
চন্দ্রকে দেখেছো আমবশ্যায় অন্ধকারে নিমর্জিত তবু তাহা ভেদ করিয়া আবার আলোকিত করিছে নিশিকে।
তুমি কি অমবশ্যা নও! যে এক পক্ষ পর আবার আকাশে গিয়াছো মিশে।
হে নীলাঞ্জনা কেনো মিছে স্বপ্নের পিছে ছুটি মরিছো?কেনো আত্ম-অহংকারের মোহে নিজেকে ভূলিয়া রাখিছো?
তুমি কি জানো পতন অনিবার্য---আজ নয়তো কাল!
হবে অম্লান,হবে তোমার আত্মশুদ্ধি।
তখন না হয় আসিয়ো ফিরে,এই অভাগার নিড়ে!ঘাটে তরী ভিরায়ে মাঝি রয়িছে চেয়ে। তুমি আসবে বলে, হে নীলপরী নীলাঞ্জনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৭