তল্লাশির সময় শাহজাহান চৌধুরীর ভাগিনা মইনুদ্দিন হাসান মুন্না কে বাপক মারধরের পর ৪ তলা ভবন থেকে নীচে ফেলে দিয়ে হত্যা র চেষ্টা করে পুলিশ।তার অপরাধ সে জামাত নেতা সাহজাহান চৌধুরীর ভাগ্নে।
এতে মুন্নার কোমরের পাঁজর ভেঙ্গে গেছে।পরিবারের লোক রা মুন্না কে হাস্পাতালে নেওার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের সে সুযোগ না দিয়ে ঘটনার অনেক পর তাকে পুলিশ আটক করে চামেক হাস্পাতালে ভর্তি করায়
মিরপুরে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে ছোঁড়া পুলিশের পুলিশে একজন আহত হয়েছেন। সেখান থেকে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় মিরপুর থানার পেছনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হওয়া ব্যক্তির নাম মাহবুবু কবির (৩০)। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম আব্দুল মান্নান।
মিরপুর থানার ডিউটি অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, “একজনকে আটক করা হয়েছে।”
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সত্যতা স্বীকার তিনি জানান, কবিরকে থানায় না নিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/110954/small/?token_id=cffeeef133d3ac818344cf7990d0848b
[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/110964/small/?token_id=c79e405b2d52e41e1cafae0885972fd1
[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/111023/small/?token_id=9fd6e6975828c8eb69baf2a577091818
সাতক্ষীরায় সর্বশেষ সহিংস ঘটনা ঘটে গত ৪ মার্চ। সাতক্ষীরা শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে কলারোয়া উপজেলার ওফাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে ওফাপুর গ্রামের নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। খুব কাছ থেকে ছোড়া গুলি গ্রামবাসীর শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এতে ওই গ্রামের দুই সহোদরসহ তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। এখানেই শেষ নয়, নারী ও শিশুদের ধরে বেদম প্রহার করা হয়। গ্রামবাসীর ওপর ওই গুলি চালানোর ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত থেকে পুলিশ-বিজিবি সদস্যদের ইন্ধন জোগায়। গুলি চালানোর পর জনরোষ থেকে বাঁচাতে ওই নেতাকে বিজিবির গাড়িতে চড়িয়ে কলারোয়া শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই নেতার বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। একই ভাবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরে জামায়াত-শিবিরের মিছিলে গুলি-রাবার বুলেট চালানোর ঘটনার সময় সরকারদলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশ-বিজিবির সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন। তারা গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধুদ্ধ করে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
পুলিশ-বিজিবির গুলিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরে ৮ জন, গত ৩ মার্চ রইছপুর গ্রামে ২ জন ও ৪ মার্চ ওফাপুর গ্রামে ৩ জনের মৃত্যুতে গ্রামে গ্রামে শোকের মাতম চলছে। নিহতদের বেশিরভাগ কৃষক, দিনমজুর ও ছাত্র। তাদের মৃত্যুতে পরিবারের নেমে এসেছে হতাশা। নিহতদের শিশুসন্তানদের ভবিষ্যত্ কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবারগুলো। গ্রামবাসী এসব পরিবারকে সহায্য-সহযোগিতা করছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সাতক্ষীরার সব স্তরের মানুষ। তাদের দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বহু সংখ্যক হতাহত হয়। স্থাপনা ও গাছে এখনও বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সাতক্ষীরায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, খুব কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে বেশিরভাগ নিহতের শরীরের একপাশ থেকে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে গুলি বের হয়ে যায়। হাড় ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায় তাদের দেহে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত থাকায় লাশগুলো বীভত্স দেখাচ্ছিল। দাফনের সময়ে নিহতদের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। বিজিবির মারণাস্ত্রের গুলিতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। তারা আরও জানান, সাতক্ষীরার ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কখনও ঘটেনি; একসঙ্গে এত মানুষের প্রাণহানি হয়নি
hu, 07 Mar, 2013 03:21:47 PM
বিএনপির মিছিলে গুলি না করায়
২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে বিএনপির মিছিলে গুলি না করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। প্রত্যাহার করা পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তাদের একজন মতিঝিল জোনের এসি বলে জানা গেছে। তাদেরকে অন্য জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ করে হরতালের সমর্থনে নয়াপল্টনে বিএনপির পল্টন থানা শাখার ব্যানারে ৮-১০ জনের একটি মিছিল বের হয়। এসময় উপস্থিতি পুলিশ সদস্যদের ‘গুলি গুলি’ বলে সামনে আগানোর নির্দেশ দেন পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান। পুলিশ সদস্যরা অ্যাকশনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই মিছিলকারীরা আশপাশে অলি-গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
গুলি না করা এবং সেখান থেকে কাউকে আটক করতে না পারায় নিন্মপদস্থ দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেহেদী হাসান। জিজ্ঞেস করেন- তারা কে কোন ব্যাচ থেকে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে থাকতে হলে আমার মতো করে কাজ করতে হবে।”
তার কিছুক্ষণ পর দুই পুলিশ কর্মকর্তা একটি মাইক্রো করে নয়াপল্টনে দায়িত্বপালন থেকে চলে যান।
দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মেহেদী হাসান এক সিনিয়র সাংবাদিককে বলেন, “ভাই, প্লিজ আপনারা এমন সাংবাদিকতা করবেন না। এসব আমাদের ইনটারনাল ব্যাপার। এগুলো আপনারা দেখলেও না দেখার মতো করে অন্য দিকে চলে যাবেন।”
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫