প্রধান মন্ত্রী মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাবেন।সুনে খুশি ই হলাম।কিন্তু এক্তা জিনিষ ভেবে পাচ্ছিনা হঠাৎ এই রকম ঘোষনা কেন দিলেন?এইটা কি নির্বাচনী ফায়দা লুটার একটা অপচেষ্টা মাত্র?নাকি হেফাজত কে ভয় পেয়ে হেফাজত কে হাতে রাখার জন্য এই ঘোষনা?
মদিনা সনদে কি কি আছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যানেন কি?নাকি না জেনেই এই ঘোযনা দিয়েছেন?আর একটা কথা প্রধান মন্ত্রী র এই ঘোষনায় কি হেফাজতে ইসলামীর কাছে শাহাবাগী দের পরাজয় হল না? এখন চলেন জেনে নেই মদিনা সনদে কি কি আছে।
ইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৬২২ খ্রীস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরতের করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে ছিল গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ। তাই কলহে লিপ্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হযরত মুহাম্মদ (সা
মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ একটি জাতি গঠন করবে।
২. যুদ্ধ বা হানাহানি শুরু হবার মতো তীব্র বিরোধ তৈরি হলে বিষয়টি আল্লাহ এবং হযরত মুহাম্মদ (স)-এর কাছে ন্যস্ত হবে।
৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।
৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।
৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।
৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।
১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।
১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
পুরো সনদ: ১. Click This Link ২. Click This Link
যুদ্ধ বা হানাহানি শুরু হবার মতো তীব্র বিরোধ তৈরি হলে বিষয়টি আল্লাহ এবং হযরত মুহাম্মদ (স)-এর কাছে ন্যস্ত হবে
এখন আমার প্রশ্ন প্রধান মন্ত্রী এরকম অবস্থায় কি করবেন?
আর ইসলামীক রাষ্ট্রে নারী নেতৃত্ব হারাম। এক্ষেত্রে প্রধান মন্ত্রি কি করবেন?তিনি নেতৃত্ব ছেড়ে দিবেন?
বাংলাদেশের সংবিধানে আছে সংবিধানের সাথে সাংঘরশিক আইন বাতিল বলে গণ্য হবে।ইসলামিক অনেক আইন আছে যা আমাদের সংবিধান র সাথে সাংঘরসিক।তখন প্রধান মন্ত্রী কি আবার সংবিধান পরিবর্তন করবেন?
নাকি প্রধান মন্ত্রী শুধু এই অংশ টি ই ব্যবহার করবেন?
১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




