আমি দেশকে ভালবাসি। আমার কাছে যেকোন দল থেকে দেশের স্বার্থ অনেক বড়। যুক্তির খাতিরে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। আপনাদের মতামত
দেবেন আশাকরি।
যুক্তি -১: রাজনৈতিক কারণে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতাকে ( যিনি ঢাবির অধ্যাপক) প্রতিবেশী একটা দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পর পত্রিকায় প্রকাশ, তিনি অন্য প্রতিবেশী আর একটা দেশের তাবেদারী শুরু করেন, দূর্নীতি করেন। তিনি যদি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক কারণে ক্লিন চিট পান, তাহলে যুক্তির খাতিরে ২০০১ সালের নির্বাচোত্তর সহিংসতাও শুধুই বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতা--- এটাকে অন্য কোন ট্যাগিং এর অবকাশ নেই
যুক্তি -২: পত্রিকায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের ছাত্র/ছাত্রী নির্যাতনের কোন ঘটনা হলে শুরু হয় মাদ্রাসার হুজুরদের নিয়ে বিদ্রুপ। কিন্তু ইদানিং কালে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের শিক্ষকরাও ঘটাচ্ছে ঐ একই ঘটনা। তার মানে কি প্রমাণ হয় না যে, সুযোগের অভাবে সৎ-সুযোগ পেলে বদ। দোষ শুধু মাদ্রাসার শিক্ষকদের হবে কেন ?
যুক্তি -৩: অনেকেরই হয়ত সহানুভূতি আছে ঐ বিশেষ সম্প্রদায়ের ওপর, হয়ত ওদের বেশীরভাগই নীরিহ বলে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঐ বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু উগ্র ব্লগার ব্লগে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তাদের তৈরী সাইটেও যেতে বলছেন। মজা হল দেশের স্বার্থে কোন ইস্যুতে তাদের দেখা পড়ে না। তার মানে কি প্রমাণ হয় না যে এসব উগ্র ব্লগার সুযোগের অভাবে সৎ? তাহলে কেন শুধু একদলকে ছাগু বলে গালাগালি করা হবে ?
যুক্তি -৪: অনেকেই ধর্মনিরপেক্ষতা চাই বলে চেচান। এটা চাওয়ার আগে নিজেদের সিভিক সেন্স ঠিক করুন। ব্লগে ধর্মীয় উৎসবের ব্যনারে মূর্তির ছবি ৭ দিন না ঝুলিয়েও কথায় শুভেচ্ছা জানানো যায়। কারণ এক ধর্মে যা অনুষঙ্গ, আরেক ধর্মে তা শিরক্। ধর্মনিরপেক্ষতা দেখাতে চাইলে বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমাতেও ব্যনার টাঙ্গান।
আমি বিশ্বাস করি ভাল-খারাপ সবকিছুতেই আছে। কিছু খারাপ এর জন্য আমরা ভালদেরকে ত্যাগ করতে পারি না।
নানা জনের নানা মত থাকবে। শালীনভাবে প্রকাশ করবেন আশাকরি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




