somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাল ঘোড়ায় দোষ নাই!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে সারোয়ারের লেখা পড়ে সেই পুরানা কৌতুকটাই আবার মনে পরল।

এক গ্রামে বিশাল শালিস বসছে।
বিচার বসছে এক উঠতি যুবকরে নিয়া। তার অপরাধ সে ঘোড়ার সাথে একটা কু-কাজ করছে, সেইটা আবার কেউ একজন দেইখা ফেলছে।

তো বিচারে মাতব্বর সাহেব বললেন: অবশ্যই এইটা এক ঘৃন্য অপরাধ, আর মানব জাতির জন্য অকল্যানকর। তার কঠিন শাস্তি পাইতে হইব।

গ্রামের সব লোক একসাথে হৈ হৈ কইরা উঠল: ঠিকই বলছেন মাতবর সাব।

যাক, যুবকের ভাগ্যে জুটল ১০০ চাবুকের ঘা!!

কিছুদিন পরে এক ভোরবেলার মাতবরের বাড়ীর সামনে বিশাল হৈ চৈ। মাতবর বাইর হইয়া দেখে তার যুবক ছেলেরে লোকজন দড়ি দিয়া বাইন্ধা নিয়া আসছে। কি বিষয় জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, মাতবরের পোলাও ঘোড়ার সাথে একই কু-কাজ করছে। মাতবর কইল তাইলে ত বিচার করতেই হয়। তাইলে শালিস ডাকা হউক।

শালিসে সবাই আসছে। ঐখানে সেই যুবকও আছে যে কয়দিন আগে ১০০ চাবুক খাইছে। মনে মনে বেশ খুশি সে, এইবার বুঝব চাবুকের বারি কেমন লাগে।

ত শালিস শুরু হইল। সব বৃতান্ত শুনার পরে মাতবর সাব জিগাইল: ঘোড়ার রঙটা কি আছিল।

উত্তর আইল: লাল ঘোড়া!!

মাতবর কইল: ধুরু মিয়ারা আগে কইবা না এইটা, এতক্ষন হুদাই সময় নষ্ট হইল।

সবাই একসাথে গিজাইল কেন মাতবর সাব কি বিষয়??

মাতবর পিক কইরা পানের পিক ফেলাইয়া কইল: আরে মিয়ারা লাল ঘোড়ার সাথে ঐ কু-কাজ করলে দোষ নাই!!


এখন সারোয়ারের যা বক্তব্য তাতে যদি আমি ভুল না বুইঝা থাকি তাইলে সে বলছে, যেই পত্রিকার কম কাটতি আছে সেইটাতে এই কৌতুক ছাপলে দোষ নাই, যতটা না আছে কাটতি-আলা পত্রিকায়!!

ভাইরে, আমি তোমারে বলতে চাই, মতি-মিয়া একজন খাঁটি ব্যবসায়ী। তারে যদি আজকে এই পত্রিকা থেইক্কা বাইরও কইরা দেয় তার কিছুই হইব না। সে আবার অন্য কোথাও আস্তানা গাড়ব। তারে আমি তুলনা করি লালসালুর মজিদের লগে। তাই তার ক্ষমা চাওনে এত খুশি হওনের কিছু নাই।

যাই হোক আমার আসল বক্তব্য হইল: আমার মতে উপরের দুইটা ছবি দেইখা কোনটাটেই আমার কোন অনুভূতি আহত হয় নাই।

কেন হয় নাই সেইটা একটু বলি।

যদি জরিপ করা হয়, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের জন্ম-তারিখ কত। উত্তর হইব পহেলা জানুয়ারি। তাইলে কি দাড়াইল। বাংলাদেশে সব মানুষ জানুয়ারির এক তারিখেই জন্মাইছে!! সেইটা কি সম্ভব।

এই ছবির মাজেজাটা বুঝতে হইব। আমদের দেশে প্রায় সব ছেলের নামের সামনেই আমাদের পিতা-মাতা বা স্কুলের শিক্ষকরা "মুহাম্মদ" বা "মোহাম্মদ" বা "মো:" অদ্যাক্ষরটা লাগায়। কেন লাগায়? সেইটা আমাগ জাতির ট্রাডিশন হইয়া গেছে। ধর্মীয় বিষয়টা এইখানে মুখ্য না। সেইটাই এই ছবি দুইটার মাধ্যমে ফুটাইয়া তুলা হইছে। এইটার সাথে পহেলা জানুয়ারি জন্ম তারিখের পুরা মিল খুইজা পাওন যায়!! নাকি যায় না??

এখন আসি তোমার প্রতিবাদের বিষয়ে। আগের মেইলেও তুমি বলছ প্রত্যেক সত্যিকারের মুসলমানের এই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হইব। সেইটা সাধারণ পাবলিক মানুক আর না মানুক। আজকের লেখাটা একটু ভিন্ন। কোন কিছুরে জাস্টিফাইয়ের আভাস পাওন যায়।

আগের লেখা এবং আজকের লেখা দুইটা লেখারই আমি তীব্র দ্বিমত পোষন করতাছি তোমার সাথে। প্রথমত, তোমার ভাষ্যমতে আমি যদি প্রতিবাদ না করি তাইলে আমি সত্যিকারের মুসলমান না, যেইটা আমি মানতে পারলাম না কারণ তুমি এমন কেউ না যে ডিসিশন দিব কে সত্যিকারে মুসলিম আর কে না।

দ্বিতীয়ত, ছবির ইস্যুটা পুরা পলিটিকাল না হইলেও কিছুটা ব্যক্তি নাজেহাল। কারণ মতি মিয়ার উপরে যার-পর নাই অনেক পত্রিকাই ক্ষ্যাপা। আর এই ব্যক্তি নাজেহালরে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিনত করতে না পারার জন্য, আমাগ গনতান্ত্রিক বা অগনতান্ত্রিক রাজনীতিবিদদরা "অক্ষম" এইটা ভাবনের কোন কারণ নাই।

শেষমেষ, তোমারে স্বরণ করাইয়া দেই বর্তমান সরকারের সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। কারণ আমরা এখন জরুরী অবস্থার মধ্যে আছি আর বিধিমালা যা বলে সেইটা হইলো তুমি কোন প্লাটফর্মেই সরকার সম্পর্কে কিছু বলতে পার না।

ভাল থাইক।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×