আজকে সারোয়ারের লেখা পড়ে সেই পুরানা কৌতুকটাই আবার মনে পরল।
এক গ্রামে বিশাল শালিস বসছে।
বিচার বসছে এক উঠতি যুবকরে নিয়া। তার অপরাধ সে ঘোড়ার সাথে একটা কু-কাজ করছে, সেইটা আবার কেউ একজন দেইখা ফেলছে।
তো বিচারে মাতব্বর সাহেব বললেন: অবশ্যই এইটা এক ঘৃন্য অপরাধ, আর মানব জাতির জন্য অকল্যানকর। তার কঠিন শাস্তি পাইতে হইব।
গ্রামের সব লোক একসাথে হৈ হৈ কইরা উঠল: ঠিকই বলছেন মাতবর সাব।
যাক, যুবকের ভাগ্যে জুটল ১০০ চাবুকের ঘা!!
কিছুদিন পরে এক ভোরবেলার মাতবরের বাড়ীর সামনে বিশাল হৈ চৈ। মাতবর বাইর হইয়া দেখে তার যুবক ছেলেরে লোকজন দড়ি দিয়া বাইন্ধা নিয়া আসছে। কি বিষয় জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, মাতবরের পোলাও ঘোড়ার সাথে একই কু-কাজ করছে। মাতবর কইল তাইলে ত বিচার করতেই হয়। তাইলে শালিস ডাকা হউক।
শালিসে সবাই আসছে। ঐখানে সেই যুবকও আছে যে কয়দিন আগে ১০০ চাবুক খাইছে। মনে মনে বেশ খুশি সে, এইবার বুঝব চাবুকের বারি কেমন লাগে।
ত শালিস শুরু হইল। সব বৃতান্ত শুনার পরে মাতবর সাব জিগাইল: ঘোড়ার রঙটা কি আছিল।
উত্তর আইল: লাল ঘোড়া!!
মাতবর কইল: ধুরু মিয়ারা আগে কইবা না এইটা, এতক্ষন হুদাই সময় নষ্ট হইল।
সবাই একসাথে গিজাইল কেন মাতবর সাব কি বিষয়??
মাতবর পিক কইরা পানের পিক ফেলাইয়া কইল: আরে মিয়ারা লাল ঘোড়ার সাথে ঐ কু-কাজ করলে দোষ নাই!!
এখন সারোয়ারের যা বক্তব্য তাতে যদি আমি ভুল না বুইঝা থাকি তাইলে সে বলছে, যেই পত্রিকার কম কাটতি আছে সেইটাতে এই কৌতুক ছাপলে দোষ নাই, যতটা না আছে কাটতি-আলা পত্রিকায়!!
ভাইরে, আমি তোমারে বলতে চাই, মতি-মিয়া একজন খাঁটি ব্যবসায়ী। তারে যদি আজকে এই পত্রিকা থেইক্কা বাইরও কইরা দেয় তার কিছুই হইব না। সে আবার অন্য কোথাও আস্তানা গাড়ব। তারে আমি তুলনা করি লালসালুর মজিদের লগে। তাই তার ক্ষমা চাওনে এত খুশি হওনের কিছু নাই।
যাই হোক আমার আসল বক্তব্য হইল: আমার মতে উপরের দুইটা ছবি দেইখা কোনটাটেই আমার কোন অনুভূতি আহত হয় নাই।
কেন হয় নাই সেইটা একটু বলি।
যদি জরিপ করা হয়, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের জন্ম-তারিখ কত। উত্তর হইব পহেলা জানুয়ারি। তাইলে কি দাড়াইল। বাংলাদেশে সব মানুষ জানুয়ারির এক তারিখেই জন্মাইছে!! সেইটা কি সম্ভব।
এই ছবির মাজেজাটা বুঝতে হইব। আমদের দেশে প্রায় সব ছেলের নামের সামনেই আমাদের পিতা-মাতা বা স্কুলের শিক্ষকরা "মুহাম্মদ" বা "মোহাম্মদ" বা "মো:" অদ্যাক্ষরটা লাগায়। কেন লাগায়? সেইটা আমাগ জাতির ট্রাডিশন হইয়া গেছে। ধর্মীয় বিষয়টা এইখানে মুখ্য না। সেইটাই এই ছবি দুইটার মাধ্যমে ফুটাইয়া তুলা হইছে। এইটার সাথে পহেলা জানুয়ারি জন্ম তারিখের পুরা মিল খুইজা পাওন যায়!! নাকি যায় না??
এখন আসি তোমার প্রতিবাদের বিষয়ে। আগের মেইলেও তুমি বলছ প্রত্যেক সত্যিকারের মুসলমানের এই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হইব। সেইটা সাধারণ পাবলিক মানুক আর না মানুক। আজকের লেখাটা একটু ভিন্ন। কোন কিছুরে জাস্টিফাইয়ের আভাস পাওন যায়।
আগের লেখা এবং আজকের লেখা দুইটা লেখারই আমি তীব্র দ্বিমত পোষন করতাছি তোমার সাথে। প্রথমত, তোমার ভাষ্যমতে আমি যদি প্রতিবাদ না করি তাইলে আমি সত্যিকারের মুসলমান না, যেইটা আমি মানতে পারলাম না কারণ তুমি এমন কেউ না যে ডিসিশন দিব কে সত্যিকারে মুসলিম আর কে না।
দ্বিতীয়ত, ছবির ইস্যুটা পুরা পলিটিকাল না হইলেও কিছুটা ব্যক্তি নাজেহাল। কারণ মতি মিয়ার উপরে যার-পর নাই অনেক পত্রিকাই ক্ষ্যাপা। আর এই ব্যক্তি নাজেহালরে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিনত করতে না পারার জন্য, আমাগ গনতান্ত্রিক বা অগনতান্ত্রিক রাজনীতিবিদদরা "অক্ষম" এইটা ভাবনের কোন কারণ নাই।
শেষমেষ, তোমারে স্বরণ করাইয়া দেই বর্তমান সরকারের সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। কারণ আমরা এখন জরুরী অবস্থার মধ্যে আছি আর বিধিমালা যা বলে সেইটা হইলো তুমি কোন প্লাটফর্মেই সরকার সম্পর্কে কিছু বলতে পার না।
ভাল থাইক।
আলোচিত ব্লগ
হাদিকে গুলি করলো কে?
হাদিকে গুলি করলো কে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইতিহাসের সেরা ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি আর এমন কে

যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।