somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্রষ্টার স্রস্টা কে?উত্তর জানতে চান?খুব সহজ কথায় উত্তর দিয়েছি!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিগব্যাং থিওরীর প্রাথমিক কথা এখন শিিক্ষত প্রায় সবাই জানেন!থিওরীর মূল কথাটি হলো একটি আদিম পরমাণুর প্রচন্ড বিষ্ফোরনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে মহাবিশ্ব।কিন্তু এই আদিম পরমাণু কিভাবে শূন্য থেকে সৃষ্টি হলো?নিজে নিজেই সৃষ্টি হলো?নাকি কেউ সৃষ্টি করেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও বিজ্ঞানীদের জানা নেই।আর কখনোই জোতির্বিজ্ঞান,গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের সাহায্যে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবেনা!পৃথিবীর সব প্রশ্নোত্তর যদি বিজ্ঞান দিতে পারতো তবে ইতিহাস,ভূগোল,সাহিত্য,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,দর্শন ইত্যাদি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার কি প্রয়োজন ছিলো?আসলে সেই আদিম পরমাণু পর্যন্তই বিজ্ঞানের শেষ সীমা!আর ঐ শেষ সীমা থেকেই দর্শন বা ফিলোসফির যাত্রা শুরু।কাজেই বলা যায়,বিজ্ঞানের যেখানে শেষ,দর্শনের সেখানে শুরু!তাই সেই আদিম পরমানু কোথায় থেকে আসলো এর উত্তর খুঁজতে হবে দর্শন শাস্ত্রে,বিজ্ঞানে নয়!
ইসলামের দর্শন পৃথিবীর সকল দর্শন থেকে স্বতন্ত্র।আল্লাহ সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন এই মহাবিশ্বের সবকিছু তার হুকুমেই সৃষ্টি হয়েছে।কুরআনে তিনি বলেছেন সৃষ্টির শুরুতে সবকিছুই কুন্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত ছিলো।তিনিই সৃষ্টি করেছেন এই সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব।সেই ১৪০০ বছর আগে কিভাবে এসব বলা সম্ভব হলো কুরআনে?
তবে আল্লাহর অস্তিত্বের কথা বললেই স্থূলবুদ্ধির বস্তুবাদীরা প্রশ্ন করে বসবে তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করলো কে?
এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বুঝি,এই প্রশ্নটি শুধুমাত্র দৃশ্যমান সৃষ্টিজগতের জন্যই প্রযোজ্য,সৃষ্টিকর্তার জন্য নয়।আরো পরিস্কার বুঝতে হলে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা বুঝতে হবে। আল্লাহ কুরআনে বহুবার বলেছেন যে তিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
সার্বভৌম ক্ষমতা বলতে কি বোঝায়?
আমাদের জাতীয় সংসদ সার্বভৌম!এর অর্থ কি?জাতীয় সংসদ যতবার খুশি সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে।নতুন আইন তৈরি করতে পারে,পুরাতন আইন বাতিল করতে পারে।তবে সংসদ সদস্যগণ যেহেতু নিজেরাও দেশের নাগরিক এবং দায়িত্বের মেয়াদ শেষে আমাদের মতই সাধারণ নাগরিকে পরিণত হন কাজেই তাদের তৈরি আইন তারা নিজেরাও মানতে বাধ্য!
কিন্তু আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা এত সীমিত নয়!প্রকৃতপক্ষে একমাত্র আল্লাহই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী!তিনি মহাবিশ্ব শুধু সৃষ্টিই করেননি এর নিয়ন্ত্রণ,পরিচালনা,শৃঙ্খলার ব্যাবস্থাও করেছেন বিভিন্ন নিয়মের মাধ্যমে! যেমনঃমহাকর্ষ,অভিকর্ষ,আলোর গতি,গতিসূত্র,শক্তি,তাপ,আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি ইত্যাদির মাধ্যমে!বিজ্ঞানের যত সূত্র আবিস্কার হয়েছে কোনোটাই বিজ্ঞানীরা সৃষ্টি করেননি। এসব সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিলো কিন্তুু মানুষ জানতোনা!আল্লাহ এমন সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী যে তিনি ইচ্ছে করলেই এসব নিয়মের পরিবর্তে অন্য কোনো নিয়মেও চালাতে পারতেন!তিনি তার কাজের জন্য কারো কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য নন!যেমনঃযদি আমরা জন্মের পর দেখতাম যে মানুষ জলের উপর দিয়ে হাঁটতে পারে তখন সেটাই আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হতো আর তার পিছনেও কোনো সূত্র থাকতো!তখন আমরাই সে সূত্রের সাহায্যে প্রমাণ করতাম, কেনো মানুষ জলের উপর দিয়ে হাঁটতে সক্ষম!
আল্লাহ একক এবং অদ্বিতীয়।তিনি সার্বভৌম। তিনি সৃষ্টি করেন এবং সৃষ্টিজগত পরিচালনার জন্য যে কোনো নিয়মও সৃষ্টি করেন এবং তা পরিবর্তনের ক্ষমতাও রাখেন।তিনি তার কাজের জন্য কারো নিকট দায়বদ্ধ নন।কাজেই সৃষ্টিজগতের জন্য তিনি যে সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন তা তার নিজের জন্য প্রযোজ্য নয়।সৃষ্টিজগত তার মুখাপেক্ষি কিন্তুু তিনি সৃষ্টিজগতের মুখাপেক্ষি নন!সংসদকে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের একমত হতে হয়!আবার সংসদ সদস্য হতে হলেও জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে হয় এবং সর্বপরি সংসদকে জনগণের নিকট দায়ী থাকতে হয়!কিন্তুু আল্লাহ সর্বশক্তিমান।তিনি এসব দুর্বলতা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।
কাজেই স্রষ্টার স্রস্টা কে?যুক্তিবিদ্যার এ সাধারণ যুক্তি শুধুমাত্র সৃষ্টিজগতের জন্যই প্রযোজ্য!সকলকিছুর স্রষ্টা আল্লাহ এপর্যন্ত পৌঁছেই যুক্তিবিদ্যার এ যুক্তির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়। আল্লাহ বলেছেন তিনি মানুষকে অত্যন্ত দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন! তিনি আরো বলেন,আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে যে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তার বাইরে মানুষের জানার কোনো ক্ষমতা নেই!
অবশেষে মানুষের ভাবা উচিত মাত্র দেড় কেজি ওজনের একটি পঁচনশীল মস্তিস্ক নিয়ে আমরা কিভাবে গর্ব করতে পারি যে আমাদের জ্ঞানের বাইরে কোনো কিছুই থাকতে পারেনা?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
১৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×