বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীরা এখন সকল দিক থেকেই ধ্বংসের মুখে!এক সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া,অনলাইন মিডিয়া উন্নত না থাকায় এক শ্রেণীর বিকৃতরুচীর উন্মাদ ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে নির্বিঘ্নে কটুক্তি করার সুযোগ পেতো!কিন্তুু এখন অবস্থা পাল্টেছে!অনলাইন সোস্যাল মিডিয়ার প্রসারের কারণে মানুষ সহজেই যে কোনো বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে!ফলে তারা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তিকারীদের ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেছে!এমনকি সরকারও এখন এসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে!নিচের সংবাদটি বিশ্লেষণ করলেই বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা আঁচ করা যাবে!
" বাগেরহাটের চিতলমারীতে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার
অভিযোগে দুই শিক্ষকের
কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ
আদালত। সোমবার দুপুরে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার
পারভেজ এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হিজলা
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক কৃষ্ণপদ মহলী (৪৬) ও
বিএসসি শিক্ষক অশোক কুমার
ঘোষাল (৫৫)।
চিতলমারী থানা পুলিশের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত)
রবিউল ইসলাম জানান, রোববার
দুপুরে হিজলা মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক
অশোক কুমার ঘোষাল ১০ম
শ্রেণিতে বিজ্ঞান ক্লাস
চলাকালে হযরত মুহাম্মদকে (স.)
নিয়ে কটূক্তি করেন। এ ঘটনা
নিয়ে শিক্ষার্থী ও
অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আর এই
ঘটনার জের ধরে সোমবার
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে
কয়েকশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক
স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।
পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক
কৃষ্ণপদ মহলীকে জানালে তিনি
ওই বিএসসি শিক্ষকের পক্ষ
নিয়ে পুনরায় কটূক্তি করেন।
এতে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ
হয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে মারধর
করে লাইব্রেরিতে আটকে
রাখেন।
খবর পেয়ে চিতলমারী থানা
পুলিশ ওই দুই শিক্ষককে উদ্ধার
করে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার দফতরে নিয়ে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার
পারভেজ সাত শিক্ষার্থীর
সাক্ষ্যগ্রহণের পর প্রধান শিক্ষক
কৃষ্ণপদ মহলী ও বিএসসি শিক্ষক
অশোক কুমার ঘোষালকে ছয়
মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড
দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
আনোয়ার পারভেজ জানান,
শিক্ষকদের স্বীকারোক্তি ও
সাক্ষ্যগ্রহণের পর দণ্ডবিধি ১৮৬০
এর ২৯৮ ধারা অনুযায়ী তাদের
ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া
হয়েছে।"(দৈনিক শিক্ষা )