বর্তমানে রাজনীতিতে আলোচিত ঘটনা খালেদার মঈনুল রোডের বাড়ীর বরাদ্দ বাতিল। এবং মজার ঘটনা হচ্ছে, এই বরাদ্দ বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়েছে। অর্থাৎ খালেদার ব্যাক্তিগত স্বার্থে বিএনপি কর্মসূচী দিয়েছে।
অনেকে বলছেন এই বরাদ্দ বাতিল প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে, অনেকে বলছেন ঠিক আছে (আমিও মনে করি ঠিকই আছে)
মইনুল রোডের এই বাড়ীটি বরাদ্দ দেওয়া হয়, কোন রকম আইন কানুন না মেনেই। তারপরেও সেটা মেনে নেওয়া যায়। কেননা একজন রাষ্ট্রপতির বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানরা সরকারের তরফ থেকে একটি বাড়ী পেতেই পারেন বলে মনে হয়। কিন্তু তাকে গুলশানে আরেকটি বাড়ী দেওয়া হয়, এবং এটা মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
কথা হচ্ছে একজনকে দু’টি বাড়ী কেনো দিতে হবে? আর একজনের নামে দু’টি সরকারী জমি/বাড়ী ইজারা/বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই এই বরাদ্দ বাতিল যৌক্তিক।
একেবারে নামমাত্র মূল্যে মঈনুল রোডের বাড়ীটি খালেদাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়, নয় বিঘা আয়তনের এই বাড়ীর বিঘা প্রতি খাজনা ধার্য্য করা হয় এক টাকা, অথচ সেই এক টাকা করে প্রদেয় খাজনাও খালেদা জিয়া দেননি!(২০০১ পর্যন্ত) আহা! কি অসহায় তিনি ও তার পরিবার! বছরে বিঘা প্রতি একটাকা খাজনাও দিতে পারেন না! এতবছর ধরে খাজনা পরিশোধ না করায় তার নামে বরাদ্দ বাতিল যৌক্তিক হয়েছে।
খালেদাকে তার অসহায়ত্বের জন্য সেই সময় এই বাড়ীটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এখন কি খালেদা ও তার পরিবার সেইরকম অসহায় ও বিত্তহীন? তার দিন বদলাইছে, তার এখন আর এই বাড়ীর প্রয়োজন নেই। তাই বরাদ্দ বাতিল যৌক্তিক হয়েছে।
তাকে মঈনুল রোডের বাড়ীটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো বসবাসের জন্য, এবং ইজারা/বরাদ্দকৃত বাড়ীর বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়না। তার সেই বাড়ীর বিপরীতে ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। এমনকি মার্শাল ডিষ্ট্রিলারিজ(মদ প্রস্তুতকারী) ও খাম্বা লিমিটেড (বিখ্যাত খাম্বা লিমিটেড, নামেই যার পরিচয়!) নামক দু’টি কোম্পানীর ঠিকানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ঐ বাড়ীর ঠিকানা। তাই তার নামে বরাদ্দ বাতিল যৌক্তিক হয়েছে।
খালেদা ক্যান্টনমেন্টে বাড়ীতে বসে রাজনীতি করেন, যা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। খালেদার রাজনীতি বন্ধ করা যাবেনা, কাজেই বরাদ্দ বাতিলই যৌক্তিক হয়েছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা থাকা অবস্থায় আহত হুমায়ুন আজাদকে সিএমএইচ এ দেখতে যেতে চাইলে সেখানে তাকে বাধা দেওয়া হয়, এবং তিনি গাড়ী ছেড়ে হেঁটে সিএমএইচ এ গেলে, তার নামে মামলা দেওয়া হয়। আর খালেদা জিয়া বছরের পর বছর ক্যান্টনমেন্টে থাকবেন!(তিনি এখন বিরোধী দলীয় নেতা) এক দেশে দুই আইন মেনে নেওয়া যায়না। তাই তার নামে বরাদ্দ বাতিল যৌক্তিক হয়েছে। (প্রতিহিংসা হলেও ঠিক আছে)
অনেকেই এই কথার ভিন্নমত পোষন করতে পারেন। তাদের কাছে অনুরোধ, কেনো খালেদার ঐ বাড়ীর বরাদ্দ বহাল থাকা উচিত সে বিষয়ে আলোকপাত করবেন।