বিশ্বে যত মানুষ আছে তাদের সকলের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট খাদ্য এই পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় । অথচ খাদ্য বন্টনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন এর নিয়ন্ত্রণ থাকার জন্য পৃথিবীর ৮০০ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে । বিশ্ব বানিজ্য সংস্থা "Agreement on Agriculture" এর মাধ্যমে এসব কর্পোরেশন কে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার দেয় ।
ক্ষুধার্ত থাকা মানুষের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। বিশ্বের ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিরাতে ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমাতে যান। মানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষই ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর খাবার পান না।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষুধার্ত থাকা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে।ক্ষুধার্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। আর ৮০ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন-প্রবণ এলাকাগুলোতে বাস করেন।
এফপিআই বিশ্বব্যাপী চিনি, মাংস, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভোজ্যতেলসহ অন্যান খাবারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টির হিসাব রাখে।জাতিসংঘের বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সংস্থা (এসওএফআই) খুঁজে পেয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অপুষ্ট মানুষ বসবাস করেন এশিয়ায়। ২০২১ সালে এই মহাদেশে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিনযাপন করেছেন। যদিও ক্ষুধার্ত থাকার ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে আফ্রিকায়। সে বছর এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আফ্রিকার ২৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংস্থা ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস’ সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে টানা চতুর্থবারের মতো চরম ক্ষুধার্ত থাকার সংখ্যা বেড়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভোগেন।
এদিকে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। বিশ্বের মোট খাদ্য শস্যের বড় একটি অংশ আসত এ দুটি দেশ থেকে। আর এ যুদ্ধের কারণে খাদ্য সরবরাহে বড় বিঘ্ন ঘটে। যার কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশে বেড়ে যায় খাদ্যের দাম।
লাল রঙ চিহ্নিত অঞ্চলগুলোতে খালি পেটে ঘুমাতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি
সূত্র: আল জাজিরা
ছবিঃ নেট দুনিয়া