
মুসলিম এবং আল ইয়াহুদের মধ্যে যুদ্ধ। ইস্রাইল রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সংঘর্ষের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপিত হয়েছে। সাহাবাদের এই ব্যাপারটা বুঝতে কষ্ট হয়েছিলো। কারন তখন ইহুদি রাষ্ট্র ছিল না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন [আল হায়তামী, মাজমা আল যাওয়াইদভুল এবং ইবনে হাজর আল আসকালানী] “আল ইয়াহুদের সাথে তোমাদের একটি যুদ্ধ হবে, তোমরা জর্ডান নদীর পশ্চিম পাড়ে থাকবে আর ইয়াহুদরা থাকবে নদীর পূর্ব পাশে”। সাহাবাদের এই হাদিসটি বুঝতে সমস্যা হচ্ছিলো, কারণ সেই সময় ইহুদীরা শক্তিশালী ছিলো না আর তখন মুসলিমরা জর্ডান পর্যন্ত পৌঁছেনি। তাই জর্ডানে তখন কোন মুসলিম ছিল না। হাদিসটির বর্ণনাকারী বলেছেন, জর্ডান নদী কোথায় আমি তাই জানতাম না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম], এমন ঘটনার কথা বলছিলেন যেই ঘটনার সংঘটনের জায়গার নামই আমরা জানতাম না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- এই জায়গায় [জর্ডান নদী] তোমরা যুদ্ধ করবে। ইন শা আল্লাহ্, ইস্রাইল, “বৃহত্তর ইস্রাইল” গঠনে ব্যর্থ হবে।আজ তাঁদের যে সীমান্ত আছে তাঁরা এর চাইতে বেশি আর অগ্রসর হতে পারবে না। কারণ বর্তমানে তাঁদের সীমান্ত একেবারে জর্ডান নদীর তীরে এবং এখানেই যুদ্ধ সংঘটিত হবে এবং এই যুদ্ধের ফল হবে আন নাসর লিল মুমীনীন মুমিনরা বিজয় লাভ করবে। এই হাদীসে আরো একটি ব্যাপার উল্লেখিত আছে যা বেশ কৌতুহলউদ্দীপক। এটা হবে এমন এক যুদ্ধ যা সাক্ষ্য দেবে শুধু যারা যুদ্ধ করছে তারাই না, এমনকি প্রকৃতিও এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। গাছ ও পাথর মুসলিমকে ডেকে বলবে “আমার পেছনে এক ইহুদী লুকিয়ে আছে…”। এই গাছ ও পাথরগুলো যখন মুসলিমদের ডাকবে তখন তাঁরা আমাদের কি বলে সম্বোধন করবে? তাঁরা কি বলবে – “হে ফিলিস্তিনি’? অথবা “হে মিশরী”? বা “হে পাকিস্তানী ? – তাঁরা কি বলবে? তাঁরা বলবে “হে মুসলিম!” পাথরও জানবে আপনি মুসলিম কিন্তু আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন সেটা সে জানবে না। কারণ সে শুধু ঈমানকেই চিনতে পারবে।
মার্কিন-ইসরাইল গোষ্ঠির “পবিত্র বেথেলহাম ও বায়তুল মুকাদ্দাস” এলাকায় মানবতা বিবর্জিত নারী-শিশু হত্যাযজ্ঞ এই প্রেক্ষাপট তৈরী করে ফেলেছে।সুতরাং যে যুদ্ধ “লা ইলাহা ইল্লাললাহ-র পতাকার নিচে হয় না, সেই যুদ্ধ ব্যর্থ। বিজয় তখনই আসবে যখন এটা পরিষ্কার হবে যে আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং পরিষ্কার হবে যে আপনার একমাত্র পরিচয় হল, আপনি একজন মুসলিম, একমাত্র তখনই মুসলিমরা বিজয় অর্জন করবে।
(আলকাউসার-এ প্রকাশিত)
মন্তব্যঃ হাদিসটি সহিহ প্রমানিত হতে শুরু করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯