আমি বিতর্ক অপছন্দ করি। আর প্রযুক্তিও কম বুঝি। ভাষার মাস বলেই বিষয়টির অবতারণা করতে হচ্ছে।
আমাদের ডিজিটাল বিপ্লবের অংশীদার ফোনেটিক। অনেকে বলেন অভ্র কি-বোর্ড। কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ইউনিকোডে লেখার জন্য এই প্রক্রিয়া সর্বাধিক ব্যবহৃত।
প্রচলিত বাংলা কি-বোর্ডে ব্যাকরণ মেনে লিখতে হয়। অর্থাৎ বাংলা বানানের সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন মেনে চলে বিজয় কি-বোর্ড। কিন্তু আজকাল তরুণ প্রজন্ম যে হারে অভ্র তথা ফোনেটিক কি বোর্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে তাতে খুব বেশিদিন হয় তো লাগবে না বাংলা বানান ভুলতে।
সত্যি বলতে অভ্র কি-বোর্ড সম্পর্কে আমার ধারণা খুব কম। আমি যতদূর জানি নির্বিঘ্নে বাংলা লিখতে নতুন প্রজন্ম এই কি-বোর্ড ব্যবহার করে। এবং সেটা সোশ্যাল সাইট কিংবা ওয়েব পেইজে ইউনিকোডে লেখার জন্য। ব্লগাররা ব্লগে এই ফন্টেই লেখে। ফোনেটিকে ইনপুট দেয়া হয় ইংরেজিতে আর আউটপুট আসে বাংলায়। কিন্তু বিজয় বায়ান্ন ব্যবহার করেও ইউনিকোডে লেখা সম্ভব।
গণমাধ্যমে কাজ করার কারণে কি-বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয়। আমাদের পত্রিকা অফিসগুলোতে সাধারণত বিজয় কি-বোর্ডেই লিখতে হয়। অনেকে চাকুরীর জন্য অফিসে আসে। সবদিক থেকে যোগ্য হলেও শুধু টাইপিংয়ের জন্য আটকে যায়। বেশিরভাগ অভ্র কি-বোর্ডে অভ্যস্ত।
ফোনেটিকে বাংলা লিখতে গিয়ে যে বিড়ম্বনা আছে সেটা সবাই স্বীকার করতে বাধ্য। তাই বাংলাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হলেও ফোনেটিক পরিহার করা প্রয়োজন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




