মুখবন্ধ : সামুতে এসেছি মুলত: পড়তে।পড়া একরকম নেশা । আর যাদের লেখা পড়তে পড়তে কিছু লিখতে বা লেখার চেষ্টা করার দুঃসাহস - নতুন নকিব,রিম সাবরিনা জাহান,বিপ্লব০৬,কামরুন নাহার কলি,নান্দনিক নন্দিনী,ভূয়া মফিজ,,রাজিব নূর,শ্রাবণ আহমেদ,গেছো দাদা,চাঁদ গাজী,নুর মোহাম্মদ নুরু,আবু হেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম। আর এই চেষ্টার পরিণতিই ব্লগে জীবনের প্রথম এই লেখা।
উৎসর্গ - মহিরুহ (ব্লগার) চাঁদ গাজী কে । যাকে অনুসরন করে ব্লগে ব্লগার হিসেবে নিজেকে নিবন্ধন।
ক্ষণস্থায়ী মানব জীবন শেষে আখিরাতের পথে আমাদের প্রথম মনজিল বা গন্তব্য হল কবর।
আমরা অধিকাংশ মানুষই জীবনভর কবরের কথা একদমই স্মরন করিনা।কবরের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে আমরা সবাই ব্যাপকভাবে উদাসীন।
কিন্তু কবর যে এক চিরন্তন সত্য।কিংবা বলা যায় এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। প্রত্যেকে মানুষ কেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।আর মৃত্যুর পর প্রত্যেককে কবরে যেতে হবে ।আজ নয়ত কাল,আমাদের সবাইকে কবরের সাথে মোলাকাত করতে হবে ।তাকে এড়ানোর সাধ্য আমাদের কারোরই নেই।
এই দুনিয়াতে ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্যএকটা ঘর সাজাতে মানুষ কত রকমের ,কত বিরাট আয়োজন করে।সারাজীবনের টাকা-পয়সা, সম্পদ, মেধা সবকিছু খরছ করে ঘর বানায়।অথচ কয়দিনই বা সেই ঘরে থাকতে পারে?অথচ চিরস্থায়ী ঘর কবর সাজানোর ব্যাপারে আমরা ততটাই উদাসীন যতটা এ দুনিয়ার ঘর সাজাতে উদগ্রীব।শেষমেষ ত কবরের ভেতরেই আমাদের ফিরে যেতে হবে।আর শত শত গরীবের (আমলের )কান্নায় ভারী হয়ে উঠবে কবরের বুক।
তারপরেও আমরা কেন কবরের জীবন নিয়ে চিন্তা করিনা বা সাবধান হইনা ? মৃত্যুর পর থেকে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত আমাদের কত দীর্ঘ সময় এই অন্ধকার ঘর কবরে থাকতে হবে।অথচ এই ঘরটাকেই আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে নোংরা ,বিদঘুটে ও বিপদসংকুল করে তৈরী করছি।অথচ একটু সচেতন হলেই আমরা কবরকে শান্তির নিবাস হিসাবে গড়ে তুলতে পারি।কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা বড়ই উদাসীন।
সত্যিই,কতনা হতভাগা আমরা।
দুনিয়াতে বুদ হয়ে আমরা কবরের সাথে যে সাক্ষাত করেতে হবে এই বোধটাই হারিয়ে ফেলি।
যে টাকা, সম্পদ উপার্জনের জন্য আমরা জীবনপাত করি,জীবনকে অবহেলায় বিলিয়ে দেই, সেই আমরাই একদিন জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে সবকিছু ছেড়ে রেখে খালি হাতে এ দুনিয়া থেকে চলে যাব কবরে।আর সেই কবরে আমরা অধিকাংশই যথেষ্ট ঈমান-আমল না নিয়ে চলে যাব।অথচ এই ঈমান-আমলই বেশী দরকার ছিল আমাদের অন্ধকার কবরের বুকে সুন্দর এবং সম্মানজনক আবাসের জন্য।
ঈমান-আমলের মাপকাঠির ভিওিতেই আল্লাহ কবরকে আদেশ করবেন আমাদের লাশের সাথে কেমন আচরন করতে হবে।তার আগে মুনকার-নাকীর নামের দু জন ফেরেশতা এসে আমাদের তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন। আর এই প্রশ্নগুলি দুনিয়ার বুকে মহান আল্লাহ পাক রাববুল আল-আমিন ফাস করে দিয়েছেন অনেক অনেক কাল আগেই।
এই তিনটি প্রশ্ন হল :-
১।আমাদের রব কে ?
২।আমাদের ধর্ম কি ?
৩।আমাদের নবী কে ?
খুবই মৌলিক ও সহজ প্রশ্ন।তবুও কত মানুষ উত্তর দিতে পারবেনা।আর এই সকল প্রশ্নের সঠক জবাব দিতে না পারলে কবর কিভাবে আমাদের আপ্যায়ন করবে তা সহজেই অনুমেয়।
মহান আল্লাহ পাক রাববুল আল-আমিন ক্ষমাশীল ও দয়াময়।কিন্তু ৬০/৭০/৮০ বছরের জীবন পেয়ে আমরা যারা এই সহজ প্রশ্নের সঠক জবাব দিতে পারবনা তারা সবাই হতভাগা।আর এই হতভাগাদের সাথে কবর কিভাবে আপ্যায়ন করবে তা সহজেই অনুমেয়।
আমরা যখন ঈমান-আমলের শূণ্য খাতা নিয়ে কবরে যাব,কি আশা করতে পারব আমরা মহান রবের নিকট?
যদিও আমাদের আওলাদ ,আত্মীয়-পরিজন অনেক আয়োজন করে কবরে নামানোর সময় " বিসমিল্লাহে আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহি ওয়া আলা তাওয়াকলতু" বলবে কিন্তু তা আমাদের জন্য কতটাই বা সহায়ক হবে? যে আমরা সারা জীবন মিল্লাতে রাসুলকে বৃদ্যাংগুলি দেখিয়ে এসেছি,ঈমান-আমলের এ বেহাল দশান নিয়ে আমরা কবরের কাছে কিইবা আশা করতে পারব।
কবরের কারো জন্য কিছুই করার নেই।কারন ,কবর কেবল রবের হুকুমের দাস।আর রবের আদেশে নাফরমান বান্দাদের উপর নেমে আসবে ভয়াবহ আযাব।যার শুরুটা হবে কবর থেকেই।
আল্লাহর হুকুম পাওয়া মাত্র কবর এমন ভাবে সংকীর্ণ হবে যে,কবর বাসীর এক পাজরের হাড় অপড় পাজড়ে গিয়ে ঠেকবে।এ এমন এক চাপ!!যার বেদনায় আমাদের সকলকে দুনিয়ার সুন্দরতম আলিংগনের মুহূর্তগুলোকেও ভূলিয়ে দিতে বাধ্য।
আল্লাহর জমিনে থেকে,আল্লাহর দেওয়া রিজিক খেয়ে,আল্লাহর সকল নেয়ামত ভোগ করে অথচ তারই অবাধ্যতা করি সারাজীবন।তওবা করারও প্রয়োজন মনে করিনা।আহারে!! - কবর তখন বলবে ,কোথায় তোমাদের অহংকার??
বাকি শাস্তিগুলোরও নীরব প্রত্যক্ষদর্শী কবর।একে একে মাইয়্যেতের পরিয়ে দেয়া হবে জাহান্নামের পোশাক ও বিছিয়ে দেয়া হবে জাহান্নামের বিছানা।তারপর জাহান্নামের দিক থেকে খুলে দেওয়া হবে দরজা।সবশেষে দুই ফেরেশতার পক্ষ থেকে এমন এক হাতুড়ি
দ্বারা অনবরত আঘাত করা হবে,যেই হাতুড়ির এক আঘাতে বিশাল পাথরের পাহাড়ও চূর্ণ বিচূর্ণ করে ধুলায় পরিণত করতে পারে।এভাবে
মুহূর্তেই মাইয়্যেতের জীবনটা হয়ে উঠবে এক পশলা জাহান্নাম।আর পূনরায় জেগে উঠার আগ মুহূর্ত বা কেয়ামতের দিনতক পাপচারীরা কবরে শুয়ে বহুমুখী শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
কবরের আযাব ভোগকারীদের চিৎকার মানুষ এবং জীন একদমই শুনতে পায়না ।যদি শুনতে পেতাম তাহলে আমরা হ্য়ত এতটা
অপ্রস্তুত হয়ে কবরে যেতাম না ।
**এবার আমরা দেখি কবরে সফলদের অবস্থা**
এতসব কিছুর মাঝেও কিছু কিছু মানুষ যথেষ্ট ঈমান ও আমল নিয়ে কবরে যাবে।এদের প্রশান্ত ও নূরানী চেহারা দেখেই মনে হবে এরা ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারবে।সুন্দরভাবে উত্তর দেয়ার পরে ওই দুই ফেরশতা সফলতার নেপথ্য কারন জানতে চাইবে।জবাব শুনে চিন্তা ছাড়াই বলে দেয়া যায়,এরা আখিরাতের সিলেবাস দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় বেশ ভাল ভাবেই সম্পূর্ণ করেছে।মহান আল্লাহপাক এমন ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করবেন।
যথারীতি তাদের পুরস্কারের শুরুও কবর থেকেই হবে।এরকম সম্মানী বান্দাদের থাকার জন্য কবরকে বহুদুর পর্যন্ত বিসতৃত হওয়ার আদেশ দেওয়া হবে এবং কবর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।এর পর অন্ধকার কবর আল্লাহর আদেশে আলোকিত হয়ে উঠবে।আলোকিত বান্দা,আলোকিত কবর।সত্যিই আল্লাহর বিচার সর্বোৎকৃষ্ট ।
এর পর বান্দাকে জান্নাতের পোশাকে সাজিয়ে তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দেওয়া হবে আর জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেওয়া হবে।মোটকথা ,জান্নাত না হলেও কবরে জান্নাতের আগে এক পশলা জান্নাতের অনুভূতি বললে খুব একটা ভূল হবেনা। এভাবে শেষ বিচারের আগ দিবস পর্যন্ত কবরের বুকে শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকবে আল্লাহর নেককার বান্দাগন।আর এই নেককার বান্দাদের পেলে কবরও খুশি হয়।
তাই আমরা এখনও জীবিত আছি,এই দুনিয়ায় বিচরন করছি,সবারই স্মরণ রাখা উচিত - আজ নয়ত কাল আমাদের কবরে যেতেই হবে।এই দুই শ্রেণীর বান্দার ঈমান বিশ্লেষণ করে আমরা যা বুঝতে পারি,কবরের এই জীবনটাকে এক টুকরা জান্নাতের বাগানে পরিণত করতে আমাদের কিছউ করণীয় কাজ রয়েছে।আমরা যদি একটু চেষ্টা করি তাহলে আমরা সকলেই কামিয়াব হব বলেই বিশ্বাস।আল্লাহ আমাদের সকলকে কামিয়াব হবার তওফিক দান করুন।
কবরে কামিয়াবের জন্য করণীয় বিষয় সমুহ :-
১।সবার আগে বিশুদ্ধ ঈমানদার হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।পাহাড় সমান আমলও বৃথা হয়ে যাবে যদি আমরা বিশুদ্ধ ঈমানদার না হতে পারি।আর ঈমানের অভাবে কবরের আযাব ভোগ করতে হবে।আর তাই আমাদের সবাইকে ধর্মের বিধিবিধান সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
২।প্রতি রাতে "সুরা মুলক" পাঠ করতে হবে।এ সুরা কবরের আযাব মাপের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে।
৩।নিয়মিত কবরের আযাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে।
৪।সহিহ শুদ্ধ ভাবে প্রতিনিয়ত যিকির দিয়ে মন ও মুখকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
৫।বেশী বেশী দান সদকা করতে হবে।বিশেষ করে সাদকায়ে জারিয়া অনেক বড় পাথেয় হতে পারে কবর বাসীর জন্য।
৬। এ ছাড়াও প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ,যথাসময়ে বিশুদ্ধ ভাবে সালাত আদায়,অযুর পরে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ,আযানের জবাব ইত্যাদি আমলগুলো জান্নাতের কাছাকাছি পৌছাতে এবং কবরের আযাব হতে রক্ষায় শায়ক হতে পারে।
কবরে কামিয়াবের জন্য বর্জনীয় বিষয় সমুহ :-
১।কোন শিরকযুক্ত ও অপূর্ণ ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়া যাবেনা ।যে ব্যক্তি ঈমানটা ঠিকমত বিশুদ্ধ না করে কবরে যাবে তার সব শেষ হয়ে যাবে।ঈমান ঠিক না করে কবরে গেলে চিরস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
২।কবিরা গুনাহ করার পর তওবা বিহীন মারা গেলে কবরে কঠিন আযাব ভোগ করতে হবে।মানুষ গুনাহ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে যখন গুনাহর পর তওবার ব্যাপারে উদাসীন থাকে তখন এটা তাদের জন্য ভয়াবহ বিপদের কারন হয়ে দাড়ায়।আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল।আমরা যতই গুনাহ করে থাকিনা কেন,আল্লাহর নিকট মাপ চাইব,তওবা করব।আল্লাহ আমদের ক্ষমা করবেন।কিন্তু অহংকার করে যদি আমরা মাপই না চাই,গুনাহকে গুনাহ মনে না করি -তবে আমদেরকে কবরের ভয়াবহ আযাব ভোগ করতে হবে।
৩।গীবত,চোগলখুরী,মিথ্যা কথা এই সব খারাপ অভ্যাসের কারনে অনেক আমলওয়ালা মানুষ ও কবরের আযাব ভোগ করবে।অবশ্য এই বদ অভ্যাস ছাড়া ও মানুষের জন্য অনেকটা কঠিন।কিন্তু কবরের আযাব ভোগ করার চেয়ে এসব বদঅভ্যাস এড়িয়ে চলাই আমাদের জন্য মনে হয় ভাল হবে।
৪।পেশাব-পায়খানা করে প্রথমে ঢিলাকুলুখ ব্যবহার করে পবিত্র হয়ে পরে পানি ব্যবহার করে ভাল ভাবে পরিষ্কার হতে হবে।পেশাবের ছিটাফোটা বা অপবিত্রতা থেকে রক্ষায় অনেকেই গাফেল।এই কাজটা ছোট মনে হলেও তা মেনে চলার মাঝে রয়েছে কবরের আযাব থেকে মুক্তির পথ।তাই আমাদের পাক-পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।কারন, ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হলো পবিত্রতা।
৫।অন্যের হক নষ্ট করা যাবেনা।তা যতই সামান্য বা ছোট হোকনা কেন।অংশীদারদের অংশ যথাযথ ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
৬।কবরে যখন বান্দাকে প্রশ্নোওরের জন্য জাগিয়ে তোলা হবে,তখন কবরের ভিতরের পরিবেশটা এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে যেন আসরের নামাজের সময় প্রায় হয়ে এসেছে।এটা কবরে বান্দা জন্য মানসিক পরীক্ষা ।যারা সত্যিকারের সালাত আদায়কারী বান্দা ,জেগে উঠার পর তাদের মনে হবে - একটু ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম আর এর ফাকে আসরের সালতের সময় প্রায় শেষ।সব কিছু ভূলে তারা আসরের সালাত আদায়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠবে।কিন্তু সাথে সাথে ফেরেশতারা তাদের এই মানষিক পরীক্ষার সফলতার সুসংবাদ জানিয়ে দিবেন এবং বলবেন যে কবর জীবনে আর সালাত আদায়ের প্রয়োজন নেই।এই তৈরী কারা সিচুয়েশনআসলে তাদের জন্য একটা পরীক্ষা ছিল কেবল।
কিন্তু সালাতের সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই তারা এ পরীক্ষায় পাস ত দূরের কথা এটা যে একটা পরীক্ষা তাও ধরতে পারবেনা তারা। সালাত এভাবে ঈমান ও কুফরের পার্থক্য করে দিবে। সুতরাং আমরা যারা কবরের প্রশ্নের সেশন পাশ করতে চাই তাদের কারোরই কোনভাবে সালাতের ব্যাপারে গাফিলতি করা চলবেনা।
কবর জীবনের সাফল্যের জন্য এই মোটামুটি সিলেবাস।
আমাদের প্রত্যেকের সাথে কবরের দেখা হবে।কবরের পরে আরো গন্তব্য আছে।এটা কেবল ক্ষণস্থায়ী মানব জীবন শেষের পরের গন্তব্য মাত্র।তবে কবরের ধাপটা আমরা যারা সফলভাবে উতরে যেতে পারব,বাকী ধাপগুলি তাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস।
কবর আল্লাহর হুকুমের দাস।আল্লাহ যদি কবরকে ভয়ানক চাপ দিয়ে গুড়া গুড়া কারার আদেশ দেন তাহলে কবরের সই আদেশ মেনে না চলার কোনই উপায় থাকবেনা।তাই এটা বলা যায় যে,যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ না করে আমাদের কারোরই ভয়ানক কবরের অধিবাসী হওয়া উচিত নয়।বিশ্বাস করো,কবরের চাপ এমন ভয়াবহ এক যন্ত্রণাদায়ক তা কেউ সহ্য করতে পারবেনা।
তাই আমাদের সকলেরই আজ থেকে কবরের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা উচিত। যেন পুনর্জন্ম (কেয়ামতের দিন) অবদি কবরের বুকে ফুলের বাগান বানিয়ে আরামে ঘুমাতে পারি এক টুকরা স্বর্গের আবহে।
কবর অপেক্ষায় ঈমানদারদের কে সুন্দরভাবে বরনের জন্য আর কাফিরদের আযাব-গজব প্রদানের জন্য।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে মাপ করুন,হেদায়াত নসিব করুন। আমাদের প্রতি রহমত ও বরকত নাযিল করুন।আর এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া থেকে চিরস্থায়ী জীবনের জন্য যথেষ্ট পাথেয় অর্জন করার তওফিক ও ব্যবস্থা করে দিন।মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কবরের আযাব-গজব থেকে হেফাজত করুন আর কবরে সফলতা অর্জনের তওফিক দান করুন। - আমিন।
----- সংগহীত ও সংক্ষেপিত।( এ বিষয়ে অনেকেরই হ্য়ত পূর্বের লেখা আছে বা থাকতে পারে।আমি আসলে বিভিন্ন উৎস থেকে মিলিয়ে সহজ ভাবে লিখতে চেয়েছি।যদিও এ বিষয়ে নিজের মত করে লেখার কিছুই নেই।তাই আমার এই লেখা যদি কারোর লেখার সাথে মিলে যায় ,তাহলে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ রইলো)।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫