somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" ফিলিস্তিন " - কেন মুসলমানদের কাছে এত পবিত্র, আবেগ এবং ভালবাসার নাম এবং ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিকট পবিত্র স্থান ?

৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি-banglatribune.com

ফিলিস্তিন ভূখণ্ড, গাজা ও ইসরায়েল গত ৭৩ বছর ধরে সর্বদা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শীর্ষ খবর এবং মুসলমানদের জন্য একটি আহত ও ক্ষতবিক্ষত আঙিনার নাম। লাখো শ্বাপদের দলের পাশবিকতা ও ইহুদিদের রক্ষচক্ষুর হিংস্রতায় মানবতা যেখানে আজ বাকরুদ্ধ। ইসরায়েলিদের দ্বারা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও নিপীড়নে চলছে অনবরত। মজলুম মুসলিমদের হাহাকারে প্রকম্পিত হচ্ছে - ফিলিস্তিন ও আল-কুদসের আকাশ-বাতাস ও সারাবিশ্ব।এর সাথে প্রতিনিয়ত দুনিয়ার সকল মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচছে নিরবে নিভৃতে ।কিছু দিন পর পর রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং পরে কারো কারো মধ্যস্থতায় সাময়িক অস্ত্রবিরতি হলেও মূল সংকট কাটছে না কখনোই। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে মনে হয় না সহসা সেখানে সহসা শান্তি আসবে। সর্বশেষ গত ২১ মে ২০২১ ভোররাতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি বলবত হয়েছে তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি সংঘাত।

মুসলমানদের সব দল, উপদল, মাজহাব - এ ব্যাপারে একমত যে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ।এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয় বরং দুনিয়ার সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পূর্ব জেরুসালেমের মসজিদুল আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদীনার মসজিদে নববীর পরই এই মসজিদকে মুসলমানরা মর্যাদা দেন।তাই ফিলিস্তিন তথা ফিলিস্তিনিদের প্রতি দুনিয়ার সকল মুসলমানদের রয়েছে সীমাহীন আবেগ ও ভালবাসা।আসুন দেখি, ফিলিস্তিনের প্রতি মুসলমান ছাড়াও অন্যসব ধর্মাবলম্বীদের কাছে কেন এই স্থান এত পবিত্র,আবেগ ও ভালবাসার ।


ছবি -dhakapost.com

১। মসজিদুল আকসা / হারাম আল শরিফ, ইসরায়েলিরা যাকে বলে টেম্পল মাউন্ট -

আল-কুদস, মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মাকদিস কিংবা বাইতুল মুকাদ্দাস। পৃথিবীর বরকতময় ও স্মৃতিবিজড়িত ফিলিস্তিনের সুন্দর সুশোভিত প্রাচীনতম জেরুজালেম শহরে অবস্থিত মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। মুসলিম জাতির প্রথম কিবলা ও পৃথিবীর বুকে অবস্থিত - সব জাতি-বর্ণের মুসলমানদের প্রাণস্পন্দন।এ ছাড়া ফিলিস্তিন প্রাকৃতিক নদ-নদী, ফল-ফসলের প্রাচুর্যতা এবং নবী-রাসুলের বাসস্থান ও কবরস্থান হওয়ার কারণে পৃথক বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে।

আল আকসা মসজিদ ও পাথরের গম্বুজের (ডোম অব দ্য রক) সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে হারাম আল শরিফ।মক্কা ও মদিনার পর এটি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইসলাম ধর্মের শুরুতে মহানবী (সাঃ) আল আকসা মসজিদকে কেবলা ধরে নামাজ আদায় করতে বলেছিলেন। পরে তা কেবলা মক্কামুখী করা হয়।এখানে প্রথম ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রাঃ), পরে ৭০৫ সালে এখানে প্রথম বড় আকারে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। দু'দফা ভুমিকম্পে দুবার ধ্বংস হয়ে গেলে তা পরে পুনঃনির্মাণ করা হয়। এখন যে মসজিদটি আছে তা নির্মিত হয় ১০৩৫ সালে।

মসজিদের পাশেই রয়েছে সোনালী গম্বুজবিশিষ্ট "ডোম অব দি রক" বা "কুব্বাত আল-শাখরা"। ইহুদিদের মন্দির ধ্বংস করে রোমানরা এখানে দেবতা জুপিটারের একটি মন্দির তৈরি করেছিল। পরে ৬৮১ সালে উমাইয়া খলিফা আবদ-আল মালিকের সময় নির্মাণ করা হয় এই "ডোম অব দি রক"। ১০৯৯ সালে ক্রুসেডাররা এ জায়গাটি দখল করে নিলে তারা "ডোম অব দি রক"কে একটি গির্জা হিসেবে এবং আল-আকসাকে রাজপ্রাসাদ ও নাইট টেম্পলারদের দফতর হিসেবে ব্যবহার করে।আটকোণা এই গম্বুজের ভেতরেই রয়েছে সেই পাথরের ভিত্তি - যেখান থেকে ইসলামের নবী মুহাম্মদ(সঃ) মিরাজে গিয়েছিলেন বোরাক চড়ে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, বোরাকের পায়ের ছাপ এখনও পাথরে দেখা যায়।

২। ইসরা ও মিরাজের ভূমি

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন, "পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, যাতে আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি, নিশ্চয়ই তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা"। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)

জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহর (সাঃ) রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীদের সাথে নামাজের ইমামতি করেন। তার পর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন।
এর দ্বারা আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্ব ইহুদীদের কাছ থেকে নতুন রাসুল, নতুন কিতাব ও নতুন উম্মতের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখানে যদি ফিলিস্তিনিদের গুরুত্ব না থাকত, তা হলে আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন।

৩। মুসলমানদের প্রথম কিবলা

ইসলামের কিবলা ও কিবলা পরিবর্তনের ইতিহাস একটি বহুল আলোচিত ও পর্যালোচিত বিষয়। ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় মহানবী (সাঃ) তার সহচরদের নিয়ে বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করতেন।ফিলিস্তিন, মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মাকদিস হলো - আমাদের প্রথম কিবলা। মুসলমানদের প্রথম ভালবাসা। যার দিকে মুখ করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবিরা ১০ বছর নামাজ আদায় করেছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, " আর তুমি যেখান হতেই বের হও না কেন, মাসজিদুল হারামের (কা'বা শরীফের) দিকে মুখ ফেরাও এবং যেখানেই থাক না কেন, সেই (কা'বার) দিকেই মুখ ফেরাও। যাতে করে মানুষের জন্য তোমাদের সাথে ঝগড়া করার অবকাশ না থাকে। অবশ্য যারা অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা। কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো না। আমাকেই ভয় কর। যাতে আমি তোমাদের জন্যে আমার অনুগ্রহ সমূহ পূর্ণ করে দেই এবং তাতে যেন তোমরা সরলপথ প্রাপ্ত হও।( সুরা বাকারা, আয়াত-১৫০) ।

৪। নবুয়ত ও বরকতময় ভূখণ্ড

আল-কোরআনের ৫ স্থানে মহান আল্লাহ ফিলিস্তিনকে বরকতময়, পুণ্যময় ভূখণ্ড বলেছেন।

A. সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে -

আল্লাহ বলেন,"পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, যাতে আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি, নিশ্চয়ই তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা"। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)।

B. সাইয়িদুনা ইবরাহিম (আঃ)-এর ঘটনা বর্ণনার সময় -

আল্লাহ বলেন, "আর আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই ভূখণ্ডে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য"।( সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৭১)।

C. মুসা (আঃ)-এর ঘটনা বর্ণনায়, যখন ফিরাউনের কবল থেকে মুসা (আঃ) ও বনী ইসরাইলকে উদ্ধার করে আনা হয় এবং ফেরাউন ও তার সৈন্যদলকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়।

আল্লাহ বলেন, "যে সম্প্রদায়কে দুর্বল মনে করা হতো, তাদের আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি; এবং বনি ইসরাইল সমন্ধে আপনার প্রতিপালকের শুভ বাণী সত্যে পরিণত হলো, যেহেতু তারা ধৈর্যধারণ করেছিল।আর ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের নির্মিত শিল্প এবং যে সব প্রাসাদ তারা নির্মাণ করেছিল, তা ধ্বংস করে দিলাম"। (সুরা আ'রাফ,আয়াত - ১৩৭)

D. হজরত সুলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়। মহান আল্লাহ তাকে রাজ্য দান করেছিলেন এবং সব কিছুকে তার অধীনস্থ করে দিয়েছিলেন।

আল্লাহ বলেন, " আর সুলায়মানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম উদ্দাম বায়ুকে; সে তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হতো সেই ভূখণ্ডের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি,প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমিই সম্যক অবগত "।(সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৮১)।

E. সাবা-এর ঘটনায় আল্লাহ তাদের কীভাবে সুখ-শান্তিতে রেখেছিলেন।

আল্লাহ বলেন, " আর তাদের ও যেসব জনপদের মধ্যে আমরা বরকত দিয়েছিলাম, সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে আমরা দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং ঐ সব জনপদে ভ্রমনের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম। বলেছিলাম, তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ কর দিনে ও রাতে। ( সুরা সাবা,আয়াত-১৮) ।

আল্লামা মাহমুদ আলুসী তাফসিরে রুহুল মাআনীতে উল্লেখ করেছেন, "এই জনপদ বলতে শামদেশকে বুঝানো হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস বলেন, এ জনপদ হলো,বায়তুল মুকাদ্দাস। (রুহুল মা'আনী, ২২/১২৯)।প্রাচীন শামদেশ (Levant) হলো— বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন।

৫। তৃতীয় সম্মানিত শহর

ইসালামের ইতিহাসে এবং হাদিসের আলোকে প্রমাণিত যে তিনটি শহর সম্মানিত - সেগুলো হল - মক্কা, মদিনা ও ফিলিস্তিন বা বায়তুল মুকাদ্দাস।

হজরত আবু সাইদ খুদুরি (রাঃ) হতে বর্ণিত, " রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো (জায়গা ইবাদাতের) উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হওয়া যাবে না- মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা এবং আমার এই মসজিদ। (সহিহ বুখারি,হাদিস, ৭০৭)।

অন্য হাদিসে এসেছে, "মসজিদুল আকসায় ১ রাকাত নামাজ আদায় অন্যান্য মসজিদের তুলনায় ৫০০ গুণ , মসজিদুল হারাম এবং মসজিদুন নববী ব্যতীত"। (বুখারি, মুসলিম)

এসব কারণে ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা, তাদের পাশে থাকা ঈমানের দাবি।

** ইহুদিদের কাছেও পবিত্র স্থান **

"টেম্পল মাউন্ট" হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র স্থান। এই স্থানে ইহুদিরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উপসনালয় থাকার দাবি করেন। জেরুজালেমের পুরনো শহরে ইসলাম, খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের অনুসারীরা প্রতিদিনই প্রদক্ষিণ করেন। জেরুজালেমের ধর্মীয় তাৎপর্য তাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই শহরের ধর্মীয় তাৎপর্য তিন হাজারের বেশি বছরের। প্রধান তিন ধর্মের কাছেই শহরটির তিনটি স্থাপনা পবিত্র বলে স্বীকৃত।


ছবি-banglatribune.com

আল বুরাক দেওয়াল

জেরুজালেমে সর্বশেষ ইহুদি মন্টির স্থাপন করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ২০ সালে। যা পশ্চিম দেওয়াল বা কটেল নামে ইহুদিদের কাছে পরিচিত। ৭০ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি ধ্বংস করে রোমনরা। এই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি বড় পাথর এখনও দৃশ্যমান আছে। ইহুদিদের কাছে তা এখনও পবিত্র স্থান।

১৯৬৭ সালে ইসরায়েল জেরুজালেমের পুরনো শহর দখল করলে বুলডোজার দিয়ে পুরনো বাড়িঘর ধ্বংস করে আল বুরাক দেওয়ালের সামনের অংশে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে। হারাম শরিফ সরাসরি আল বুরাক দেওয়ালের উপরে অবস্থিত। চরমপন্থী ইহুদিরা মনে করেন, হারাম শরিফে তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে।


ছবি-banglatribune.com


** খ্রিস্টানদের কাছেও পবিত্র স্থান **

পবিত্র সমাধির গির্জা

দখলকৃত জেরুজালেমেই খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টকে রোমানরা বিচার ও ক্রুশবিদ্ধ করে। যে পথ দিয়ে যিশুকে হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছিল সেই পথটি এখনও বিদ্যমান। এই পথেই যাওয়া যায় যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্থান ও সমাধিতে।

পবিত্র সমাধির গির্জা (দ্য চার্চ অব দ্য হলি সেপালচার) ১ হাজার ৭০০ বছর আগে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্ঞী হেলেনা নির্মাণ করেন। ৩২৬ ও ৩২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই স্থানটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।


ছবি-gulfnews.com


তীর্থযাত্রী

জেরুজালেমের পুরনো শহরে প্রতিদিন তিন ধর্মের (মুসলমান, ইহুদি,খ্রিস্টান) বিপুল সংখ্যক অনুসারী ভ্রমণ করেন। ইহুদিরা ডেভিড স্ট্রিটসহ আল বুরাক দেওয়াল থেকে আল খলিল গেট পর্যন্ত বা তারিক আল ওয়াদ থেকে আল আমুদ গেট (দামেস্ক গেট) পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন। এদের সঙ্গে যোগ দেয় খ্রিস্টানরা । তারাও যিশু খ্রিস্টের শেষ দিনের পথ দিয়ে মুসলিম কোয়ার্টার হয়ে হারাম শরিফে পৌঁছায়।আর এতসব কারনেই সকল ধর্মের মানুষের নিকট ফিলিস্তিন তথা জেরুজালেম পবিত্র স্থান এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আবেগ এবং ভালবাসার জায়গা।


সূত্র - গালফ নিউজ এবং আল কোরআন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×