somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" বিশ্বে সন্ত্রাসী ঘটনার ৯৪ শতাংশের সংগে জড়িত অমুসলিমরা " - রয়টার্স এবং ইসলামফোবিয়া প্রচারণার বাস্তবতা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি - aa.com.tr

ইসলামফোবিয়া ( ইসলামভীতি বা ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব) হল নিন্দার্থে বা ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক শব্দ যার অর্থ হল ইসলামকে ভয় করা এবং মুসলমান ও ইসলামকে খারাপভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা। এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাকেও বোঝানো হয়। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশ এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি খারাপ মনোভাব উল্লেখ করতে ইসলাম বিরোধীরা এই শব্দের বহুল ব্যবহার করে থাকে ।

বর্তমানে, বিশ্বজুড়ে যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য যেভাবে মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয় , রয়টার্সের এক প্রতিবেদন সে ব্যাপারে নতুন করে ভাবার অবকাশ এনে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আমেরিকার টেরোরিষ্ঠ রিসার্চ সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , " বিশ্বে যত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে তার ৯৪ শতাংশের সংগে জড়িত অমুসলিমরা "।ওয়েব সাইটের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী,আমেরিকায় সংঘটিত সন্ত্রাসী কাজের মধ্যে ৪২ শতাংশ লাতিন,২৪ শতাংশ বামমনা চরমপন্থী,৭ শতাংশ চরমপন্থী ইহুদি, ৬ শতাংশ মুসলিম, ৫ শতাংশ সমাজততন্ত্রী এবং বাকী ১৬ শতাংশ অন্যান্য গ্রুপের লোকদের দ্বারা সংঘটিত হয়।

তাছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা বিশ্লেষণ করেও প্রায় একই রকম তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপোল।২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছরে ইউরোপের মাটিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানটি একটি তালিকা প্রণয়ন ও গবেষনার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচছে ইউরোপের মাটিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার মাত্র ০.৬ শতাংশ ঘটনার সাথে জড়িত মুসলিম সন্ত্রাসীরা ।

অথচ বাস্তবতা অস্বীকার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্বের দেশে দেশে অধিকাংশ জঙ্গি হামলার সঙ্গে মুসলমানরা জড়িত বলে অভিযোগ করে এবং সিএনএন, বিবিসি, স্কাইনিউজসহ বিশ্বের ইহুদি মালিকানাধীন প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত মুসলমানদের ওপর "জঙ্গি তকমা" দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে বিরামহীন ভাবে। তাদের টার্গেট যেন শুধু মুসলমান ও ইসলাম ধর্ম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা সন্ত্রাস বন্ধের নামে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে এবং একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রে চাপিয়ে দিয়েছে যুদ্ধ । সে কারনেই ইরাক, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী আক্রমণ করে কল্পিত সন্ত্রাস বন্ধের চেষ্টা করে তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মুসলমানরা নয়, বরং সাদা বর্ণের খ্রিস্টান-ইহুদিরাই বিশ্বে বেশি সন্ত্রাস করছে। তারাই মানুষ হত্যা করে বর্বরোতার প্রমাণ দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা সংস্থার জরিপে সেই চিত্রই উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায় গত ১০ বছরে আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যে হামলা হয়েছে তার শতকরা ৭১ ভাগ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা (সাদা চামড়া)। এরা খ্রিস্টান, ইহুদি এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। আর ওই হামলাগুলোর ২৬ শতাংশের সঙ্গে মুসলমানরা জড়িত বলে বলা হচ্ছে।

" অ্যান্টি-ডিফেম্যাশন লিগ " নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংস্থা কাজ করে ইহুদিবিরোধী ও বিভিন্ন জাতিগত বিদ্বেষমূলক ঘটনা নিয়ে। সংস্থাটির গবেষণায় এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যতগুলো সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মধ্যে ৭১ শতাংশ চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যবাদীরা। সেই দেশে মুসলিম চরমপন্থীদের হামলা হয়েছে ২৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের তুলনায় গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

এদিকে দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস অব অস্ট্রেলিয়া নামের স্বনামধন্য গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে যে "এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে"। সিডনিভিত্তিক সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে (সারাবিশ্বে) উগ্র-ডানপন্থী দল ও ব্যক্তিরা ১১৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।এতে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়- শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই হামলা হয়েছে ৫৯টি। আর সে বছর মারা গিয়েছেন ১৭ জন। ২০১৭ সালে ১২টি হামলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে, ৬টি, সুইডেনে, গ্রিস ও ফ্রান্সে দুটি করে হামলা চালানো হয়েছে। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হয়েছে ৩০টি। তাতে নিহত হয়েছেন ১৬ জন। সংস্থাটির হিসাব মতে নারকীয় এই সব হামলার অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে
"মুসলিমবিরোধী (ইসলামফোবিয়া) ভাবাবেগে আক্রান্ত উগ্র-ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা"।



ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের ছবি

ছবি - বিবিসি

তাছাড়া, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ জন বাংলাদেশীসহ অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাও হয়েছে অমুসলিম শ্বেতাঙ্গ দ্বারা।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর যারা শিকার হচ্ছেন তাদের ৯৫ শতাংশই মুসলিম।বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে ৯৫% এর এ সংখ্যাটি মূলত মার্কিন সরকারের একটি ডকুমেন্ট থেকে এসেছে, যেটি ছিল তাদের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার ২০১১ সালের রিপোর্ট।এতে বলা হয়েছে, "যেখানে ধর্ম সংক্রান্ত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা গেছে সেখানে গত পাঁচ বছরে ৮২%-৯৭% সন্ত্রাস সংক্রান্ত মৃত্যুগুলোর মধ্যে মুসলিমরাই ভুক্তভোগী হয়েছে"। ৯৫ শতাংশ মুসলমানদের আক্রমণের শিকার হওয়া প্রসংগে এরিন মিলার বলছেন," সব রকম তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলা যায় ৯৫% সংখ্যাটি কিছুটা বেশি কিন্তু আনুমানিক সঠিক"।

ইসলামের নাম করে চালানো সন্ত্রাসবাদই বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলেও পরিসংখ্যান ভিন্ন তথ্য দেয়। এফবিআই ডেটাবেইস থেকে বের হওয়া একটা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৮০-২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ঘটা মাত্র ৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনায় মুসলিম সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল। যুদ্ধাক্রান্ত সিরিয়াকে বাদ দিলে ২০১৬-১৭ সালেও বিশ্বের মোট সন্ত্রাসী ঘটনার বেশির ভাগই ঘটেছে অমুসলিমদের দ্বারা (গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০১৮) কিন্তু সন্ত্রাসের প্রধান শিকার আবার মুসলিমরাই।

তাছাড়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ কিছু গণহত্যার দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব , এগুলোর কোনটার সাথেই মুসলমানদের দুরতম কোন সম্পর্ক ছিলনা বরং অনেক জায়গায় মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশী ভূক্তভোগী ছিল -

১। আর্মেনীয় গণহত্যা (১৯১৫-১৯২৩) - ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯১৫-১৯১৬) তুরস্কে আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের জাতিগত পরিশুদ্ধি অভিযান ও গণহত্যার শিকার হওয়াকে বুঝানো হয়।

২। কাতিন গণহত্যা(১৯৪০) - সোভিয়েত স্বৈরশাসক জোসেফ স্তালিনের নির্দেশে সোভিয়েত গুপ্ত পুলিশ দ্বারা চালিত গণহত্যা। প্রায় ২২ হাজার সেনাকে হত্যা করা হয়েছিল।

৩। ইহুদি গণহত্যা (১৯৪১-১৯৪৫) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নির্দেশে হিটলারের নাৎসি পার্টির পরিচালনায় জার্মান নাৎসি সামরিক বাহিনী দ্বারা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপর চালানো গণহত্যা।

৪। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে গণহত্যা (১৯৪৫) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের ৬ এবং ৯ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক দুটি দিন।যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক আক্রমনে যখন জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহর দুটি সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান। নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন।

৫। নানচিং গণহত্যা (১৯৩৭-১৯৩৮) - নানচিং গণহত্যা, যা ইতিহাসে নানচিং ধর্ষণ নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৩৭–৩৮ সালে জাপানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত একটি গণহত্যা। এই গণহত্যা পরিচালনা করা হয়েছিল তৎকালীন চীনের রাজধানী নানচিং (১৯১২–৪৯) এর জনগণের উপর।

৬। আরাকান গণহত্যা (১৯৪২) - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী বাহিনী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে বার্মা আক্রমণ করে। এই আক্রমনে জাপানী বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমান ও ভারতীয় মুসলমানদের নির্যাতন, ধর্ষণ ও অত্যাচার করে।

আপনি-আমি কীভাবে ধর্মকে নেব সেটা আমাদের নৈতিকতার উপর নির্ভর করে। একই ফুল থেকে মৌমাছি নেয় মধু, আর মাকড়শা নেয় বিষ। একই চাকুতে কেউ আপেল কাটে, কেউ কাটে গলা। এটাই যদি না হয়, তাহলে কীভাবে একই কুরআন থেকে বিপরীত মেরুর ব্যাখ্যা দেয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো, আবার দেন একজন শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রচারক? একই ‘ধর্মগ্রন্থ’ থেকে কেউ পায় শান্তির ধর্ম আর কেউ পায় মানুষ হত্যার বৈধতা!


ছবি - banglatribune.com

ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে সন্ত্রাসী বলতে আর ইসলাম কে বর্বর বলতে আপত্তি করা হয় না মিডিয়াতে। কিন্তু সেই একই কাজ যদি অমুসলিম বা শ্বেতাঙ্গ কেউ করে থাকে, তবে গোড়াতেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়, নিদেনপক্ষে 'মাস শুটার'। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ১৫ মার্চ ২০১৯ তারিখের নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটো মসজিদের ঘটনা দেখা যাক। সেখানে আল-নূর মসজিদে মারা যান ৪১ জন আর লিনউড মসজিদে ৮ জন। হত্যাকারী একজন White Supremist অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গরাই সর্বসেরা এই নীতির প্রচারক, নাম ব্রেন্টন ট্যারান্ট। তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, তার বন্দুকের গায়ে লেখা হরেক রকমের লেখনি (যেমন MALTA 1565, VIENNA 1683, CHARLES MARTEL, TOURS 732 ইত্যাদি) সব নির্দেশ করে মুসলিমদের উপর খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক বিজয়গুলোর। অথচ তার পরিচয় হিসেবে দায়ী করা হয়নি খ্রিস্টধর্মকে আবার গোড়াতে তাকেও চেষ্টা করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করতে ।

ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগেরই অনেকে উত্তর দিতে চায়, কিন্তু হয়ত দেয় না। কারন কি ? কারণ সেক্ষেত্রে ইসলামবিরোধীদের কাছ থেকে গালি খেয়ে বসতে পারে, বা ‘Trolled’ হতে পারে। আবার ধর্মের সমালোচনা করতে গেলেও সংবেদনশীলদের কাছে গালি খেয়ে বসে না তা নয়। অথচ এমনটা না হয়ে যদি একটি সুস্থ, সুন্দর আলোচনা হতো, তবে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ইসলামভীতি দূর করা কোনো ব্যাপার নয় । দরকার শুধু একটু চেষ্টা, একটু পড়াশোনা ও মানবিকতা। যদি আমার-আপনার পড়াশোনা করবার সুযোগ থাকে, আপনি-আমি কেন বসে রইবো? নিজে পড়ুন আর অন্যকে জানান। যদিও পৃথিবীটা এখন খুব খারাপ হয়ে পড়ছে , তবে তারপরও মানুষ স্বপ্ন দেখে এখনও একটি সুন্দর শান্তিময় দুনিয়ার।মানুষ স্বপ্ন দেখে একটি ইসলামফোবিয়ামুক্ত সুন্দর পৃথিবীর । সকল ধর্মের মানুষেরই ধর্মবিদ্বেষ আর হানাহানি অরাজকতামুক্ত এক পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত ।

পরিশেষে," যা তোমার নিজের কাছে কষ্টদায়ক আর ঘৃণ্য, সেটা তোমার প্রতিবেশীর প্রতি করবে না কোনোদিন" - এটাই হলো সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মূল কথা।


আমরা যদি ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের এই একটিমাত্র বাণীকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবী হয়ে উঠবে আরো সুন্দর ও শান্তিময়। মহান স্রষ্টা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকলকে এক সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী বির্নিমানে সহযোগী হওয়ার তওফিক দান করুন।


তথ্যসূত্র - Encyclopædia Britannica,উইকিপিডিয়া, বিবিসি বাংলা ,প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২১
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×