উৎসর্গ এবং যে মন্তব্যের সূত্রে এই পোস্ট - হাসান মাহবুব ভাইকে এবং উনার মন্তব্য - আচ্ছা, আপনি তো অনেক বিদ্বান মানুষ। অনেক পড়াশোনা আপনার। তো আপনার কাছে একটা বিষয়ের ফয়সালা জানতে চাই। বৃটেনের মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসা এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। - এ বিষয়ে ব্লগে পোস্ট দেখার পর এর ব্যাপারে আমারও কৌতুহল ছিল আরও বিশদ জানার । আর সেই কৌতুহল এবং হাসান মাহবুব ভাইয়ের মন্তব্য থেকেই -
ছবি - flickr.com
শুরু হলো লন্ডনের ভূগর্ভস্থ মাদ্রাসার সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ স্থাপনার ব্যাপারে জানার চেষ্টা -
ভূগর্ভস্থ স্থাপনা সাধারনতঃ কল্পকাহিনী অ্যাডভেঞ্চার ফিকশন মুভিতে বেশী দেখা যায়। সায়েন্স ফিকশন ঘরানার বা ফ্যান্টাসি ছবির এক অন্যতম অনুষংগ থাকে ভূগর্ভস্থ স্থাপনা যেখানে প্রায়শই নানা রকম জটিল ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক কাজ-কর্ম চলে। তবে সভ্যতার উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশে মানুষ ভূমি থেকে আকাশে যেমন পাড়ি জমিয়েছে ঠিক তেমনি পাতালেও (ভূগর্ভে) যাওয়ার চেষ্টা করেছে এবং যাচছে । আর পরিণতিতেই ভূগর্ভের নীচে মানুষ নানান রকম স্থাপনা গড়ে তুলেছে তা আমাদের দেশে কিংবা বিদেশ সব জায়গায়তেই। ভূগর্ভস্থ স্থাপনা সারা পৃ্থিবীতে নতুন কিছু নয় এবং কম বেশী আমরা সবাই তা দেখে থাকি আমাদের আশে-পাশেও যেগুলো মাটির উপরে ও নীচে বিদ্যমান । যেমন - আমাদের দেশে গুলিস্তানে পাতাল মার্কেট কিংবা ষ্কয়ার হাসপাতাল-পান্থপথ যার সমতল ভূমি থেকে মাটির নীচে মনে হয় কমপক্ষে ৩ স্তর (তলা) আছে । আবার গ্রামীণ ফোনের হেড অফিসেও তাই দেখেছি এর নির্মাণকালে। আমরা সাধারণতঃ এসব স্থাপনা দেখি যা ভূমির উপর-নীচে বিদ্যমান এবং এসব নির্মান হয় জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার কিংবা ভবন নির্মানের নিয়ম নীতির কারনেই এবং এসব তৈরী করা হয় আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।
বিশ্বজুড়ে কিছু ভূগর্ভস্থ স্থাপনা -
আবার, বিশ্বজুড়েই ভূগর্ভস্থ কিছু স্থাপনা গড়ে উঠেছে সম্পূর্ণরূপে মাটির নীচে সেগুলি হয় নানা রকম বিজ্ঞানের গবেষণার কাজে কিংবা রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর-নিরাপত্তার বিষয়ের সাথে জড়িত অথবা জটিল-গোপনীয় কোন কাজে ব্যবহারের জন্য বা যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে । যেমন - ইরান পাহাড় ঘেরা একটি পারমাণবিক স্থাপনা / গবেষনাগার গড়ে তুলেছে ভূগর্ভস্থে যার প্রধান কারন হয়ত ইসরাইলের বোমার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য ।
সার্ন,সুইজারল্যান্ড।
ছবি - pixels.com
আবার , সার্ন ( CERN - European Council for Nuclear Research) হল বিশ্বের বৃহত্তম পদার্থবিদ্যা গবেষণাগার যা ১৯৫৪ সালে ইউরোপের ১২ টি দেশ কর্তৃক স্থাপিত জেনেভা শহরের পশ্চিমে ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড-এর মধ্যকার সীমান্তে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভূগর্ভস্থ স্থাপনাও বটে (এটি প্রায় ২৭ কিলোমিটার ) । এই টানেল বিখ্যাত খুব বেশী বাজেটের LHC লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (বৃহৎ হ্যাড্রন সংঘর্ষক পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী কণা ত্বরক এবং মানবনির্মিত বৃহত্তম যন্ত্র।একে ইংরেজিতে Large Hadron Collider সংক্ষেপে LHC নামে ডাকা হয়) এবং হিগস বোসন (ঈশ্বরকণা) র অস্তিত্ব প্রমাণে । ঈশ্বরকণার খোঁজে সেখানে প্রতিনিয়ত তোলপাড় চলছে এবং জেনেভায় সার্নের গবেষণাগারে এ নিয়ে গবেষণা চলছে প্রায় দেড় দশক ধরে ও এর পেছনে খরচ করা হয়েছে শত শত কোটি ডলার।
ভূগর্ভস্থ ট্রেন স্টেশন , বেইজিং ।
ছবি - roar.media
এছাড়া চীনে রয়েছে বিশ্বের গভীরতম ও বৃহত্তম দ্রুতগতির পাতাল ট্রেনের ভূগর্ভস্থ স্টেশন যা বেইজিং ও ঝাংজিয়াকউ শহরের মধ্যে।স্টেশনটির নির্মাণকাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। ভূগর্ভস্থ এই স্টেশন ভূসমতল থেকে ৩৩৫ ফুট মাটির নিচে ও ৩৬ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং মাটির নিচে এর তিনতলা কাঠামো রয়েছে। প্রকৌশলীরা দক্ষতা ও বিশেষ যত্নের সঙ্গে চীনের মহাপ্রাচীরের নিচে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল খনন করেছেন যাতে চীনের মহাপ্রাচীরের কোন ক্ষতি না হয়।
বিশ্ব বীজ সংরক্ষণাগার, নরওয়ে।
ছবি - istockphoto.com
আবার, নরওয়ের পাহাড়ের ভেতরে সারা বিশ্বের মূল্যবান সব বীজ সংরক্ষণ করে রাখার জন্যে ১০ বছর আগে নরওয়েতে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল সীড ভল্ট। এসব বীজ রাখা আছে আর্কটিক অঞ্চলের স্ভালবার্ডে একটি পাহাড়ের ভেতরে ভূগর্ভস্থ বীজ সংরক্ষনাগারে।সারা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শস্যের বৈচিত্র্য ধরে রাখা খুবই জরুরী। খরা, বন্যা কিম্বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যশস্য যাতে কখনো হুমকির মুখে না পড়ে সেকারণেই এই উদ্যোগ।এই গুদাম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই এটি অক্ষত থাকে। গুদামের ভেতরের তাপমাত্রা মায়নাস আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সেখানে কোনো কোনো বীজ চার হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারবে।
ইউরো টানেল,যুক্তরাজ্য।
ছবি - dreamstime.com
এদিকে ইউরো টানেল একটি ৫০.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল সুড়ঙ্গ যা সাগরের তলদেশ দিয়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের ফোকস্টোন শহরকে ফ্রান্সের কোকুয়েলস শহরের সাথে যুক্ত করেছে। ইংলিশ চ্যানেলের উপসাগরের মধ্যে দিয়ে চ্যানেল টানেলটি নির্মিত হয়েছে। এর সর্বনিম্ন পয়েন্টের দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার। ৩৭.৯ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে টানেলটির সমুদ্রতলে যে পরিমাণ দৈর্ঘ্য তা বিশ্বের দীর্ঘতম। টানেলে তিনটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যার দুটি দিয়ে ট্রেণ চলাচল করে এবং তৃতীয়টি মেরামত-সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর নির্মাণ কাজ ১৯৮৮ সালে শুরু হয় এবং ১৯৯৪ সালে এই টানেল রেল চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এই টানেল দিয়ে ইউরোস্টার নামীয় রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়া ইউরোটানেল শাটল রয়েছে যেটা দিয়ে মোটরগাড়ী ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। সমুদ্রতলে এধরনের সেবার দিক থেকে এটাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ। টানেলের দুই প্রান্তে দুটি রেলস্টেশান রয়েছে এবং টানেল পাড়ি দিয়ে এক স্টেশান থেকে অন্যটিতে পৌঁছাতে প্রায় ৩৫ মিনিট সময় লাগে।
কাজেই ভূগর্ভস্থ স্থাপনা বিশ্বে নতুন কিছু নয় এবং সারা দুনিয়ার সবাই কমবেশী এর সাথে পরিচিত। তারপরেও যেহেতু লন্ডনের পাতাল স্থাপনার সাথে ইসলামের একটি বিষয় (মাদ্রাসা) জড়িত এবং অনেকেরই ধারনা হলো মাদ্রাসা মানে জংগী তৈরীর কারখানা তাই এ নিয়ে মাতামাতি বা কৌতুহল সবারই বেশী । আর এই কৌতুহল নিবারনের জন্যই আমার যাত্রা শুরু লন্ডনের ভূগর্ভের (পাতালের) গোপন মাদ্রাসার খোজে।
আমাদের আলোচ্য বিষয় লন্ডনের ভূগর্ভস্থ (মাটির নীচে) গোপন মাদ্রাসা -
আমাদের আলোচ্য বিষয়, "লন্ডনের মাটির নীচের গোপন মাদ্রাসা"র খোজে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে (সংবাদপত্র-গুগল-উইকিপিডিয়া-নিবন্ধ-প্রবন্ধ-বই) চালালাম চিরুনী অভিযান। এত সব আমার এত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থই বলা যায় কারন, এ জাতীয় কোন মাদ্রাসা/মসজিদ/শিক্ষালয়ের সন্ধান পেলামনা যুক্তরাজ্যে (ইংল্যান্ডে) যদিও সেখানে প্রায় ২০০০ মসজিদ এবং ইসলামিক প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। তবে, এ ব্যাপারে মোট তিনটি লেখা পাই । যেগুলো -
১। একটি লেখা পাই " সিলেট রিপোর্ট" নামের একটি অনলাইন পোর্টালে, যা প্রকাশ হয়েছে ২২ শে আগস্ট ২০১৭ সালে।
২। আরেকটি লেখা পাই "সবার জন্য ইসলাম" নামের আরেকটি অনলাইন পোর্টালে, যা প্রকাশ হয়েছে ৬ ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে ।
৩। তৃতীয় লেখাটি পাই প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান (Gen & Lap Surgeon- Prof of Surgery - ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / চেয়ারম্যান , কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ) এর লিখা "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" বইয়ে। ।
লিংক - Click This Link
১। সিলেট রিপোর্ট তাদের লেখায় এ লেখার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বা বলা হয়েছে, " প্রতিবেদনটি ভারতের উর্দু পাক্ষিক সাময়িকী ‘তামির-ই-হায়াত’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ"।
প্রতিবেদনটির মূল বিষয়বস্তু হলো, " ভারতের নওয়াব ছাতারীর দেখা এক স্থাপনা এবং তার কার্যক্রম"। প্রতিবেদনটি মূল বক্তব্য গুছিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক ইনকিলাবে ২ রা এপ্রিল ১৯৯৮ ইং তারিখে " বৃটেনের মাটির তলায় খৃস্টানদের গোপন মাদ্রাসা" শিরোনামে প্রকাশ হয়। আর সেই আলোচ্য ঘটনাটি আজ থেকে শত বর্ষ আগের।
এবার শুরু হলো ভারতের 'নওয়াব ছাতারী'র সম্পর্কে তথ্য জানার প্রচেষ্টা। তবে তাতেও খুব সফল হয়েছি বলা যায়না তবে এতটুকু জেনেছি (তাও প্রথম সারির কোন সংবাদ মাধ্যমে উনার ব্যাপারে কোন তথ্য পাইনি), নওয়াব ছাতারী আলিগড়ের জমিদার ছিলেন।
২। " সবার জন্য ইসলাম" নামের পোর্টালে লেখার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হ্যামফের (Hampher) নামক এক বৃটিশ গোয়েন্দার লেখা একটি ডায়েরী যা বিখ্যাত জার্মান পত্রিকা ইসপিগল পরবর্তীতে ডায়েরীটির লেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে এবং ডায়েরী থেকে জানা যায় খৃস্টানরা এক মহা পরিকল্পনা গ্রহন করেছে ইসলামের বিরুদ্ধে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমারা এ ধরনের মিশনে নেমে পড়েছেন ।
৩। তৃতীয় লেখাটি পাই প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান তার লেখা "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" বইয়ে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যথারীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হ্যামফের (Hampher) নামক এক বৃটিশ গোয়েন্দার লেখা একটি ডায়েরীকে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশে বই হিসাবে, " ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরী" নামে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী ২০০৬ সালে প্রকাশ করেন মোঃ এ আর খান ও এ জে আব্দুল মোমেন নামে দুইজন।
বৃটিশ গোয়েন্দার ডায়েরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা বইয়ে বলা হয়েছে -
১। পৃষ্ঠা নং ১৭ - আমাকে মুসলমানদের মধ্যে উপদল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজন গোয়েন্দা হিসাবে মিশর,ইরাক,হেজাজ ও ইস্তাম্বুলে প্রেরণ করা হয় । আমাদেরকে তথ্য-অর্থ-ম্যাপ-রাষ্ট্রপ্রধান-ইসলামী বিশেষজ্ঞদের তালিকা দেয়া হয়। ইসলামী খেলাফের কেন্দ্র ইস্তাম্বুলে পৌছে আমি স্থানীয় মুসলমানদের মাতৃভাষা তুর্কি শিক্ষা শুরু করি এবং সাথে সাথে তুর্কি ভাষার খুটিনাটি । আমি সেখানে পরিচিত হই মুহাম্মদ নামে এবং মসজিদে যাওয়া শুরু করি।
২। পৃষ্ঠা নং ১৮ - ইস্তাম্বুলে আমি আহম্মদ ইফেন্দি নামক একজন ইসলামী বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করি যিনি সবসময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবন-যাপন প্রণালী অনুসরন করতেন।একদিন আমি তাকে বললাম , আমার মা-বাবা-ভাই-বোন কেহ নাই এবং আমি এখানে এসেছি কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ে ইহকালের সাথে সাথে পরকালেরও ব্যবস্থা করতে। তারপর আহম্মদ ইফেন্দির মাধ্যমে আমি দুই বছরে কোরআন অধ্যয়ন শেষ করি।
৩। পৃষ্ঠা নং ২০ - দিনের কাজ শেষে আমি আসরের নামায পড়তে মসজিদে যেতাম এবং সেখানে মাগরিব নামায পর্যন্ত থাকতাম। তারপর আহম্মদ ইফেন্দির বাসায় যেতাম, সেখানে তিনি আমাকে আরবী ও তুর্কি ভাষায় উত্তমভাবে দুই ঘন্টা কোরআন শিক্ষা দিতেন।
৪। পৃষ্ঠা নং ২২ - প্রথম মিশনে আমি আরবী ও তুর্কি ভাষায় কুরআন ও শরীয়ত শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিলাম, যার ফলে লন্ডনে ফেরার পর সফলতার দিক দিয়ে আমাকে ৩য় স্থান দেওয়া হয়।
- মন্ত্রণালয়ের সচিব আমাকে জানান পরবর্তী মিশনে আমার কাজ দুটি -
১। মুসলমানদের দুর্বল (বিশেষ করে জ্ঞানের) জায়গাগুলো খুঁজে বের করা।
২। ঐ পথে তাদের দেহে প্রবেশ করা ও তাদের জোড়াগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া কারন এটাই শত্রুকে পরাজিত করার মূল পথ।
৫। পৃষ্ঠা নং ৩২ - দ্বিতীয় মিশনে আমি বসরায় পৌছি এবং ইসলামের এক বিশিষ্ঠ ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে উভয়ে মিলে কোরআনের নতুন ব্যাখ্যা দিতে শুরু করি।আমার উদ্দেশ্যে ছিল তাকে ভুল পথে পরিচালিত করা।
৬। পৃষ্ঠা নং ৬০ - ইস্তাম্বুলে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। তারা দক্ষতার সাথে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। তারা মুসলমানদের সাথে মিলে-মিশে মাদ্রাসা খুলেছেন ------------
ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরীর তথ্যকে সত্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে যেসব কারনে -
১। গোয়েন্দাদের সাথে মিলেমিশে মাদ্রাসা খোলা যেখানে মাদ্রাসার গুরুত্বেপূর্ণ পদগুলো তাদের দখলে থাকাই তা প্রমাণ করে।ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর ১৮৫০ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ৭৭ বছরে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ২৬ জন অধ্যক্ষ ছিলেন খ্রিস্টান।
২। তাছাড়া সিলেবাসের পঠিত বিষয়ে ভুল ঢুকানোর বিষয়ে সাধারন জ্ঞানের প্রমাণ / মুসলিমরা নানা দল-উপদলে ভাগ হয়ে যাওয়া /ইসলামের প্রকৃত বিশেষজ্ঞদের রায় বদলে দেয়া ইত্যাদি।
সবার তথ্যসূত্র আলাদা আলাদা বা কিছু বিষয় এক হলেও মূল আলোচ্য বিষয় একই, যেখানে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলামের রীতি-নীতিতে অভিজ্ঞ করে তোলা হয়। পরবর্তীতে তাদের ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় যদিও তখন তাদের সমাজে-দেশে-বিশ্বে পরিচিতি হয় ইসলামী চিন্তাবিদ-আলেম হিসাবে এবং তারা তাদের অর্জিত এ জ্ঞান ব্যয় করেন ইসলামের ক্ষতির জন্য। তাদের ভাষ্যমতে, এ শিক্ষার সিলেবাসে এমন কিছু ভুল কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, যাতে সকল মাদ্রাসা ছাত্রগণই ভুল ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠে। এর ফলে তারা কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ইসলামে বিভিন্ন রকম কোন্দলের সৃষ্টি করে, যার পরিণতিতে ইসলামে বিভিন্ন দল ও উপদলের সৃষ্টি হতে শুরু করে ।
এ সকল কাজে প্রতিবেদনে তাদের দুইটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে । যথা -
১। মুসলমানদের দুর্বল (বিশেষ করে জ্ঞানের) জায়গাগুলো খুঁজে বের করা।
২। ঐ দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করা এবং তাদের ক্ষতি করা। এ অনেকটা মিশনারীদের কাজের মত এবং এ কাজের উদ্দেশ্যে তারা সারা দুনিয়ার মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
মূল বিষয়ে সবার প্রতিবেদনেরই বিস্তারিত বিবরণ এরকম -
ভারতের আলীগড়ের একসময়ের নওয়াব ছাতারী, যিনি ভারতে বৃটিশ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায় ইংরেজদের সার্বিক সহযোগী ছিলেন। আনুগত্যের পুরষ্কার হিসাবে পরবর্তীতে তিনি উত্তর প্রদেশের গভর্ণর নিযুক্ত হন। উত্তর প্রদেশে অনেক ইংরেজ, কালেক্টরেট পদে বদলী হয়ে আসেন। ইংরেজদের সহযোগী হিসাবে ছাতারীর সাথে ঐ সব কালেক্টরদের বিশেষ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। একবার বৃটিশ সরকার ভারতবর্ষের সকল গভর্ণরদের বৃটেনে ডেকে পাঠান। ঠিক ঐ সময়টিতে বৃটেনে অবস্থানরত ছাতারীর এক পুরাতন ইংরেজ বন্ধু, কালেক্টরেট ও কমিশনারের সাথে তার দেখা হয়ে গেলে তার কাছে "বৃটেনে বিশেষ কিছু কি আছে" যদি থেকে থাকে তবে তা পরিদর্শনের ইচ্ছা পোষন করেন। ঐ কমিশনার তখন ছাতারীকে বৃটিশ সরকারের লিখিত অনুমোদন স্বাপেক্ষে একটি বিশেষ স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যান। বন্ধুর সহযোগিতায় লোকালয় থেকে বহু দূরে, এক গভীর অরণ্যে, সেনা ছাওনীর অভ্যন্তরে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে গড়ে উঠা একটি বিশাল মাদ্রাসা পরিদর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করেন তিনি। সেখানে তিনি দেখতে পান, আরবী শিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানে বিশেষজ্ঞ তৈরী করার এক বিশাল কারখানা, যেখানে আধুনিক, উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন, হাদিস, আরবী সাহিত্য ও ইসলামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় সমূহ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুর বদান্যতায়, তিনি আরো একটি বিষয় জানতে পারেন যে, ঐ মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও ছাত্রগণই, বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও খৃস্টান পাদ্রী। ওখান থেকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে, গোয়েন্দাদেরকে বিশেষ মিশনে পাঠানো হতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে। সেখানে তারা নানা রকম ছলা-কলা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ছোট বাচ্চাদের কুরআনের গৃহশিক্ষক, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস বা মুফতি হিসাবে ঢুকে পড়ত। যেহেতু তারা আরবী সাহিত্যে ও ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী, তাই নিয়োগ পেতে তাদেরকে তেমন কোন সমস্যায়ই পড়তে হতো না।
কাফিররা অনেক আগে থেকে মুসলমানদের দ্বীন ধ্বংসের চক্রান্ত শুরু করে। আজকাল দেখবেন, হঠাৎ নতুন নতুন অনেক কথিত আলেম তথা ইসলামী স্কলার গজিয়ে যায়। তারা এমন সব কথা বলে, এমন সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা দেখায়, যা সাধারণ আলেমরা পারে না। তারা এমন সব নতুন নতুন তত্ত্ব দেয়, যা কুরআন-হাদীসের কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। তারা ইসলামী লেবাস পরে থাকে, কিন্তু কথায় কথায় নবীজিকে, নবীজির পরিবারকে, সাহাবীগণ ও আউলিয়াগণকে কটাক্ষ করে। ইনিয়ে-বিনিয়ে নতুন নতুন কথা বলে মানুষ নতুন পথে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু সে সকল মওলানা, আলেম কিংবা ইসলামী স্কলারগুলো কোথা থেকে আসলো ?
তারা কি সত্যিই মুসলমান ? নাকি ব্রিটেনের ঐ গোপন মাদ্রাসা থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত খ্রিস্টান।
পুনঃশ্চ / আমার অভিমত - আলোচ্য ঘটনাটি অনেক আগের এবং আসলেই এ জাতীয় মাদ্রাসার অস্তিত্ত্ব আছে কি নেই তা এক বিশাল প্রশ্ন । কারন, আধুনিক কালে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে এবং গুগল নামক দৈত্যের কল্যাণে এ বিষয় এত দিন কোন ভাবেই চাপা থাকত না বা সকল প্রকার প্রথম সারির গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য থাকত। আরও থাকত উইকিপিডিয়া নামক জ্ঞানের বইয়েও।
আবার, অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলাম সম্পর্কে পড়া-জানা না দোষের না এতে ইসলামের অবমাননা হয়। কারন,অন্য ধর্মের অনুসারীদের ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা ও আগ্রহের কারনেই আজও অনেকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে বা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। অন্যদিকে, যে কোন দুইটি বিষয়ের মাঝে যখন তুলনামূলক আলোচনা (compartive study বা তুলনামূলক আলোচনা বিশ্ব জুড়েই আছে) হয় তখনই উভয়ের মাঝের ভাল-খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানা যায় এবং খারাপ বর্জন করার ও ভালকে গ্রহণ করার সুযোগ আসে আমাদের সামনে। এখন যদি অন্য ধর্মের (হিন্দু-ইয়াহুদী বা খৃস্টান) অনুসারীরা তাদের ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করে বা ইসলাম সম্পর্কে জানে এবং পরবতীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাহলে এতে আপাতভাবে কোন দোষের কিছু দেখা যায়না বরং তা মানব ধর্ম ইসলামের ই জয়-জয়কার। তাইতো আমরা দেখি, আমাদের ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম বাংলার অনুবাদ একজন অন্য ধর্মের (হিন্দু) মানুষ করেছেন।
তবে, এসবই সম্ভব হবে যদি তারা সৎ ও জানার উদ্দেশ্যেই তা করেন। তবে এদের মাঝে কেউ কেউ যদি তাদের সেই জানাটাকে ইসলামের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করেন বা সেই উদ্দেশ্যে জানার চেষ্টা করেন তবে তা ভিন্ন। আর সকল ধর্মেই জ্ঞান আহরনের কথা বলা হয়েছে । বলা হয়েছে সেই আহরিত জ্ঞানকে মানব কল্যাণের জন্য ব্যয় করতে। সাথে সাথে সকল ধর্মেই কর্মফলের (ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার এবং খারাপ কাজের জন্য শাস্তি ) কথাও বলা হয়েছে ।
যারা মুখে এক আর অন্তরে আরেক ইসালমে তাদেরকে বলা হয়েছে তারা মুনাফিক। মুনাফিকের পরিচয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, " আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্র "। (সুরা বাকারা, আয়াত - ১৪) ।
তাদের ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, "তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে আপনি আপনার কাছ থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখবেন "। (সুরা নিসা, আয়াত - ৬১).
ইসলামে মুনাফিকদের শাস্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে -
"নিশ্চয় মুনাফিকগণ জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে, আর আপনি তাদের সাহায্যকারী হিসেবে কখনও কাউকে পাবেন না"। (সুরা নিসা, আয়াত - ১৪৫)
এ ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, "মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক মহিলা সকলেই পরস্পর অনুরূপ ভাবাপন্ন, তারা অন্যায় কাজের প্ররোচনা দেয় এবং ভাল ও ন্যায় কাজ হতে বিরত রাখে এবং কল্যাণকর কাজ হতে নিজেদের হস্ত ফিরিয়ে রাখে। এরা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছে, ফলে আল্লাহও তাদের ভুলে গেছেন। এ মুনাফিকরাই হল ফাসেক"।(সুরা তওবা, আয়াত - ৬৭)
তাদের ব্যাপারে আরো বলা হয়েছে," আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও কাফেরদেরকে জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, এটা তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ করেছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি। "।(সুরা তওবা, আয়াত - ৬৮)।
মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সকল বিষয়ে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার তওফিক দান করুন এবং মুনাফেকী থেকে হেফাজত করুন। সাথে সাথে ক্ষমা-মাগফেরাত ও সঠিক পথ দেখান তাদের যারা এ জাতীয় ঘৃণ্য কাজে নিজের অর্জিত এলেম (জ্ঞান) ব্যয় করেন।
জবাবদিহীতা/স্বীকারোক্তি - পুরো লেখাটাই আমার নিরপেক্ষভাবে এ বিষয়ে জানার জন্য ও তারই ফল। এই প্রচেষ্টায় কোথাও না আমি এ মতবাদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কিছু বলেতে চেয়েছি। আমি নিজের চোখে কিছুই দেখিনি বা দেখা সম্ভবও নয় । আমার সামান্য কয়েক দিনের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র অনলাইনের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল , তাই এ বিষয়ে সব তথ্য জানা মোটেই সম্ভব নয়। আর তাই আমার লেখার বাইরে আরও অনেক তথ্য থাকতে পারে যা আমি জানিনা । এর বাইরে যদি কেউ কোন তথ্য (প্রমাণ সহ) জানেন তাহলে আমার জানার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো এবং মন্তব্যের সাথে শেয়ার করলে আমরা সবাই সঠিক জিনিষ জানতে পারব ।
তথ্যসূত্র - সিএনএন,বিবিসি, সবার জন্য ইসলাম - ৬ ই ডিসেম্বর২০১২, সিলেট রিপোর্ট, ২২ শে আগস্ট ,২০১৭ এবং বই "যে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতার মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকানো হয়েছে" - লেখক -প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান ।
==============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
" কৌতুহল - ৫ " Click This Link
" পৃথিবীর কসাইখানা শিকাগো " - শিকাগোকে কেন পৃথিবীর কশাইখানা বলা হয় ?
" কৌতুহল - ৪ " Click This Link
মিনিকেট নামে কোন ধান নেই ॥ খাদ্যমন্ত্রী ॥ তবে মিনিকেটের নামে আমরা কি খাচছি এবং বাজারে মিনিকেট চাল নামে আসলে কি বিক্রয় হচছে ?
"কৌতুহল - ২ / ২ " - " ডারউইনের বিবর্তনবাদ " - মানুষ কি এপ-প্রাইমেট (বানর) থেকে এসেছে বা পৃথিবীতে মানুষের শুরু কিভাবে হয়েছে? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি অভিমত ?
Click This Link
"কৌতুহল - ২ / ১ " - " ডারউইনের বিবর্তনবাদ " - মানুষ কি এপ-প্রাইমেট (বানর) থেকে এসেছে বা পৃথিবীতে মানুষের শুরু কিভাবে হয়েছে? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি অভিমত ?
Click This Link
"কৌতুহল -১"- আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা ২০ জানুয়ারি কেন শপথ নেন? Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০১