somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" ফিফা (কাতার) বিশ্বকাপ - ২০২২ " - আর বাকী ২০ দিন। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার সাথে সাথে দর্শকদের কাতারে দেখার জন্য দর্শনীয় স্থান সমুহ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি - travelandleisure.com


ছবি - aljazeera.com

পূর্ববতী পোস্ট -" ক্ষণ গণনা " - আর বাকী ১০০ দিন ফিফা (কাতার) বিশ্বকাপ - ২০২২, লিংক - Click This Link

আজ থেকে ঠিক ২০ দিন পরে ২০ শে নভেম্বর ২০২২ রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা) কাতারের আল আল বাই্য়্যেত স্টেডিয়ামে কিক আউটের মাধ্যমে শুরু হবে ফিফা (কাতার ) বিশ্বকাপ -২০২২, যাতে মুখোমুখি হবে কাতার বনাম ইকুয়েডর। আর এর ফলেই শুরু হয়ে যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রদর্শনী (greatest show on the earth), যা চলবে ২৮ দিন ব্যাপী। ১লা নভেম্বর ২০২২ থেকেই এশিয়া থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী খেলা দেখার জন্য আসা শুরু করবে কাতারে। এই প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যের একটি মুসলিম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাতার ৷ছোট এ দেশটির ৮টি সুসজ্জিত-শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফুটবল স্টেডিয়ামে সরাসরি খেলা দেখতে যারা দেশটিতে আসতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অভাবনীয় চমক। ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তার সঙ্গে চমতকার শীতকালীন আবহাওয়া দেশটিতে দর্শকদের খেলা দেখার স্বাদকে এনে দেবে ভিন্নমাত্রার এক পরিপূর্ণতা। যে কোন উৎসব-অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য পর্যটক-দর্শক যখন ভিন্ন দেশে যায় তখন সেই উৎসব-অনুষ্ঠান উপভোগ করা ছাড়াও স্বাগতিক দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে জানতে চায় ও সেই দেশের দর্শনীয় স্থান গুলোও ঘুরে ঘুরে দেখতে চায় মূল উৎসব-অনুষ্ঠান উপভোগ করার ফাকে ফাকে। আর তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কাতার বিশ্বকাপের ফুটবল দর্শকরাও খেলা দেখার পাশাপাশি দেখতে চাইবে কাতারের দর্শনীয় স্থান সমুহও। আর তাদের জন্যই ক্ষুদ্র এ প্রয়াস। আসুন, এক নজরে দেখে নেই কাতারের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে।


ছবি - iloveqatar.net

কাতারের শীর্ষস্থানীয় ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে ভ্রমণের মাধ্যমে যে কেউ ইসলামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত বা নতুন করে চোখের সামনে দেখতে পাবেন। প্রাচীন কালের প্রতিটি লুকানো রহস্য অনুভব করতে পারবেন এবং শিল্প, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালবাসা উপলব্ধি করতে পারবেন। কাতার বরাবরই ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিশ্বাসী এবং সময়ের সাথে সাথে, কাতার তার শিল্প ও রীতিনীতিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রেরণ করেছে, তার শিকড়কে বাঁচিয়ে রেখেছে। যদিও আজ দেশটি উন্নত দেশগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং এখনও পর্যটকদের আর্কষন করতে এবং কাতারে অবস্থান কালীন একটি নিখুঁত অবকাশের জন্য জীবনধারাকে আরও বিলাসবহুল এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে বিকশিত হচ্ছে।


যাদুঘরের বাহিরের ছবি


যাদুঘরের ভিতরের ছবি
ছবি - franks-travelbox.com

১। ইসলামী শিল্প জাদুঘর

দোহার ইসলামিক আর্ট জাদুঘরের প্রদর্শনীগুলি তার দর্শকদের সময়,দেশ এবং সংস্কৃতির উপস্থাপনের মাধ্যমে একটি সময় ভ্রমণ (time travel) বা অতীতকে ফিরে দেখার যাত্রা হিসাবে কল্পনা করতে বাধ্য হবে। চাইনিজ স্থপতি আইএম পেইয়ের নকশা করা ইসলামী শিল্প জাদুঘর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০০৮ সালে। কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত এ ভবনটিকে দূর থেকে একটির উপরে আরেকটি করে রাখা বাক্সের স্তুপের মতো দেখায় ৷এর ক্রিম কালারের চুনাপাথরের বাহ্যিক অংশটি ইউরোপীয়ান স্থাপত্যের আমেজ দেয়। পরিচ্ছন্ন জ্যামিতিক প্রান্তগুলো জানান দেয় এর মজবুত কাঠামোর কথা। সূর্যের আলোতে প্রান্তগুলো ঝলমল করতে থাকে। ভবনের উপরে চোখের মতো স্লিটটি বানানো হয়েছে ১৩ শতকের ওজুর ফোয়ারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। যাদুঘরের কাছাকাছি হওয়ার জন্য লেকের উপর দিয়ে একটি সেতু অতিক্রম করতে হয়। বাইরের অবকাঠামোটি যতটাই সরল, এর অভ্যন্তর ভাগ ঠিক ততটাই জটিল। এই বৈপরীত্য প্রতিটি দর্শনার্থীকেই হতবাক করে দেয়।




ছবি - trip.com

২। আল কুত সামরিক দূর্গ -

আল কুত ফোর্ট যা সাধারণত দোহা দুর্গ নামে পরিচিত, কাতারের রাজধানী শহর দোহার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক সামরিক দুর্গ। দোহার এই ঐতিহাসিক দুর্গটি নির্মিত হয়েছে ১৯২৭ সালে, যাকে এক বাক্যে বলা যায় 'ভয়ঙ্কর সুন্দর'। কয়েক যুগ ধরেই দুর্গটি জাদুঘর হিসেবে পর্যটকদের বিস্ময়ের খোরাক যোগাচ্ছে। এখনে রয়েছে পুরনো কাঠের সাজসজ্জা, প্রাচীন মাছ ধরার উপকরণ, তৈলচিত্র এবং পুরনো ফটোগ্রাফ। কাতারের ইতিহাস ও এর বাসিন্দাদের জীবনধারা বোঝার জন্য এই দুর্গের এক দিনের আতিথ্য গ্রহণ করাই যথেষ্ট। দূর্গের বাইরের শক্তিশালী কাঠামো মধ্যযুগীয় যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে করিয়ে দেয়। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো মনোনীত এই দুর্গে অনেক পর্যটক উটের পিঠে চড়ে আসেন,কেউবা জিপ ব্যবহার করেন। প্রধান প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে দুর্গের দিকে তাকাতেই দুর্গটি নিজের গল্প বলার জন্য যেন এক অমোঘ আকর্ষণে পর্যটকদের কাছে টানতে থাকে।




ছবি - iloveqatar.net

৩। খোর আল আদাইদ -

খোর আল আদাইদ সৌদি আরবের সীমান্তে দক্ষিণ-পূর্ব কাতারের আল ওয়াকরাহ পৌরসভায় অবস্থিত পারস্য উপসাগরের একটি বসতি এবং প্রবেশপথ। এটি স্থানীয় ইংরেজি ভাষাভাষীদের কাছে "অভ্যন্তরীণ সমুদ্র" নামে পরিচিত। কাতারের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত খোর আল আদাইদ মুলত চতুর্দিকে দ্বীপঘেরা বিশাল এক জলাধার। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২ কিলোমিটার চওড়া এই জলাশয়টি ১০ কিলোমিটার চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যুক্ত হয়েছে পারস্য উপসাগরের সঙ্গে। এখানে ঘোরার জন্য সাধারণত কোনো গণপরিবহন থাকে না। তাই জায়গাটি ঘুরে দেখতে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা থাকতে হবে। খোর আল আদাইদ কচ্ছপ, গাজেল, অরিক্স, ডলফিন এবং বিপন্ন ডুগংসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল। এছাড়া অস্প্রেস, টার্ন্স, সিগালসহ ফ্ল্যামিঙ্গো এবং হেরনের মত পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে এখানে। পর্যটকদের জন্য এখানে ব্যবস্থা আছে স্যান্ড স্কিইং, কোয়াড বাইকিং এবং উটের পিঠে চড়ার।




ছবি- essenceofqatar.com

৪। সৌক ওয়াকিফ

সৌক ওয়াকিফ হল কাতারের দোহায় একটি বাজার। সৌকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক, মশলা, হস্তশিল্প এবং স্যুভেনির বিক্রি করে। এটি রেস্তোরাঁ এবং শিশা লাউঞ্জেরও বাড়ি। মূল ভবনটি অন্তত বিংশ শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী কাতারি স্থাপত্য শৈলীর। সর্বশেষ ২০০৬ সালে এটি সংস্কার করা হয়েছিল। দোহার সামাজিক কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত সৌক ওয়াকিফ কর্নিশ থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি এখানে কেনাকাটা করা, সুস্বাদু খাবার খাওয়া ও আকর্ষণীয় স্থানীয় ক্যাফেগুলোতে অলস সময় পার করার সুযোগ আছে। এখানকার স্থাপত্য ও সূচিকর্ম, মশলা, সুগন্ধি, বাহারি ফল এবং আগারউড দিয়ে তৈরি চমৎকার ধূপ ওউদ দেখার জন্য জড়ো হন ভ্রমণপিপাসুরা।




ছবি - pinterest.com

৫। ফ্যালকন সৌক

ফ্যালকন সৌক মূলতঃ বাজপাখির জন্য নির্দিষ্টকৃত বাজার, যেখানে প্রশিক্ষিত বাজ পাখি এবং এ সম্পর্কিত সরঞ্জাম পাওয়া যায়। যেমন হুড এবং জেসিস। সৌক ওয়াকিফের ঠিক পাশেই অবস্থিত এই সংগ্রহশালাটি কেবল বাজপাখি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো। এর বহিরাঙ্গনে বাজপাখিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি দেখা যায়। প্রশিক্ষিত হওয়ায় এই পাখিগুলোর একেকটির দাম একেকটি বিলাসবহুল গাড়ির চেয়েও বেশি। বাজপাখি পালন ও এর প্রশিক্ষণ স্থানীয়দের একটি ঐতিহ্যবাহী ক্রিয়াকলাপ। বাজপাখির হাসপাতালগুলো যে কোনো পাঁচ তারকা মানের হাসপাতালকে টেক্কা দিতে সক্ষম। জগদ্বিখ্যাত ফ্যালকন ফেস্টিভ্যালের সময় দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শকরা হাতে বাজপাখি নিয়ে ছবিতে ফ্রেমবন্দি হন।




ছবি - tripadvisor.com

৬। ফুওয়াইরিত সৈকত

ফুওয়াইরিত সমুদ্র সৈকত কাতারের উত্তর-পূর্বে আল ঘরিয়া শহরে অবস্থিত। সমুদ্র সৈকতটি প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এখানে ডিম পাড়ে আরব উপসাগরীয় হক্সবিল কচ্ছপের জন্য বিখ্যাত এবং এই সময়ে সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। কয়েক বছর আগ থেকে সামুদ্রিক কচ্ছপ রক্ষার জন্য কাতারের পরিবেশ মন্ত্রনালয় সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষণ অভিযান শুরু করে এবং এই সময়ের মধ্যে পুরো সৈকতটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সৈকতে ডিম ফুটে থাকা এই প্রাণীরা ৩০ বছর বা তার পরেও ডিম দিতে সৈকতে ফিরে আসবে। দোহা ফুওয়াইরিত সমুদ্র সৈকত হল আকাশী নীল জল সহ একটি পরিষ্কার সাদা বালুকাময় সৈকত।অত্যাশ্চর্য ও নির্জন এই সমুদ্র সৈকত একটি আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য আদর্শ জায়গা। দোহা থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই সাদা বালির প্রশস্ত সৈকতে দর্শনার্থীরা কাঁচের নীল পানি এবং হাজারো রঙিন ঝিনুকের উপকূলরেখা উপভোগ করতে পারেন। তবে আশপাশে কোন খাবারের দোকান না থাকায় এখানে আসার সময় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই আসতে হবে।



ছবি - commons.wikimedia.org

৭। কর্নিশ,দোহা

কর্নিশ কাতারের রাজধানী দোহাতে দোহা উপসাগর বরাবর সাত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি জলপ্রান্তর ভ্রমণ পথ। কাতার জাতীয় দিবস এবং জাতীয় ক্রীড়া দিবসের মতো জাতীয় ছুটির বার্ষিক উদযাপনগুলি দোহা কর্নিশকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। এটি কাতারের মধ্যে একটি জনপ্রিয় পর্যটন এবং অবসর যাপনের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। দৌড়বিদ অথবা সাইক্লিস্টদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় জায়গা এই সমুদ্র তীরবর্তী স্থানটি। কর্নিশ ১৯৭০ দশকের শেষ এবং ১৯৮০ দশকের শুরুতে দোহার উপকূলকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। এখান থেকে দিনের বেলায় দোহা উপসাগরের স্বর্গীয় রঙ ও সন্ধ্যায় চমৎকার সূর্যাস্ত আর রাতে শান্ত পানিতে আলোকিত শহরের প্রতিফলন থেকে চোখ ফেরানো যায় না।




ছবি - desertsafariindoha.com

৮। দোহা মরুভূমি

দোহা মরুভূমি, কাতার ভ্রমণ করবে আর মরুভূমি দেখা হবে না তা হতেই পারে না। মনোরম মরুভূমির সৌন্দর্যে বিমোহিত হওয়ার জন্য এই অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপের বিশালতাই যথেষ্ট। অসাধারণ মরুভূমির দৃশ্য দেখার সাথে সাথে পেশাদার 4WD ড্রাইভারদের সাথে বালির টিলা জুড়ে রোমাঞ্চকর রাইড উপভোগ এক ভিন্ন মাত্রার অনুভূতি এনে দেয় এর ভ্রমণকারীদের। তবে রোমাঞ্চকর মরুভূমি সাফারি উপভোগের সময় গাড়ীর সিটবেল্ট বেধে নিতে ভুলে গেলে চলবে না। পাশাপাশি মানিয়ে নিতে হবে উটের ঝাঁকুনির সঙ্গে। মরুভূমির আবহাওয়া সাধারণত প্রতিকূল থাকে। এর ভেতর দিয়ে মাইলের পর মাইল আদিম ও চকচকে বালির সাগরকে উপভোগ করতে হলে সাথে রাখতে হবে উপযোগী কাপড়। সেই সঙ্গে অধিক উত্তেজনায় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় নেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন থাকা যাবে না।

অভ্যন্তরীণ সমুদ্র পরিদর্শন ছাড়া কাতার ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয় না। যার যাত্রা শুরু হয় কাতারের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত খোর আল উদাইদে যাওয়ার মাধ্যমে। কাতারের একটি ব্যক্তিগত মরুভূমি সাফারিতে প্রকৃতিতে ফিরে যান। টিলাগুলির রোমাঞ্চকর রাইডের অভিজ্ঞতা এবং মরুভূমিতে সাফারি জানানো,ঐতিহ্যবাহী আরবীয় কার্পেট, কম টেবিল এবং আরামদায়ক বসার এবং বিশ্রামের জন্য কুশন সহ এই সাধারণ ভাল মানের বেদুইন ক্যাম্পসাইটে সত্যিকারের আরবীয় পরিবেশ উপভোগ করার এক অসাধারন অনুভূতি মিলবে এই ভ্রমণে।




ছবি - essenceofqatar.com

৯। পার্ল দ্বীপ

পার্ল দ্বীপ কাতারের দোহায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম দ্বীপ যা প্রায় চার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। এটি কাতারের প্রথম ভূমি যেখানে বিদেশী নাগরিকদের মালিকানার সুযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের হিসাবে এখানে ২৭,০০০ বাসিন্দা রয়েছে। প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ জায়গাটি মূলত বিলিয়ন ডলারের এক কৃত্রিম দ্বীপ। এটি পশ্চিম দোহার উপসাগরের উপহ্রদ থেকে ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত, যার অবয়বটি মুক্তার রজ্জুসদৃশ।

পার্ল দ্বীপে রয়েছে ১২টি এলাকা, যার প্রতিটি স্বতন্ত্র ভূমধ্যসাগরীয় বায়ুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এখানে পাওয়া যাবে উপকূলবর্তী ভিলা, পথচারী-বান্ধব বাগান এবং আলফ্রেস্কো ক্যাফে। দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকাটি হলো মেডিনা সেন্ট্রাল। এর বর্গাকার নৈসর্গে আছে পাম গাছের বুলেভার্ড এবং ঝর্ণা ভবন। মনোরম কানাত কোয়ার্টিয়ার দ্বীপের আরেকটি বিখ্যাত অংশ, যা ভেনিসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এর আঁকাবাকা খাল, রঙিন ভিলা এবং খিলানযুক্ত সেতু দারুণ কিছু সময়ের জন্য পর্যটকদের লোভাতুর করে তোলে। দ্বীপের পোর্টো আরব জায়গাটির স্থানীয় নাম মুক্তার হৃদয়। কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার জন্য এটিই দ্বীপের সেরা জায়গা।




ছবি - iloveqatar.net

১০। অ্যাসপায়ার পার্ক

অ্যাসপায়ার পার্ক কাতারের দোহায় বায়া শহরের দক্ষিণ জেলায় অ্যাসপায়ার জোনে অবস্থিত। এটি ৮৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে এবং এটি দোহার বৃহত্তম পার্ক। বিশেষ করে রাতে এর সৌন্দর্য দর্শকদের বিমোহীত করে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর জন্য একটি চমতকার জায়গা। অ্যাসপায়ার জোনে অবস্থিত এই পার্কটি ২১৭ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। রাজধানীর সবচেয়ে বড় এই সবুজ স্থানে ম্যানিকিউর করা লন, অপূর্ব পায়ে হাটা পথ, অ্যাসপায়ার ডোম, ব্যায়ামের সরঞ্জাম, শপিং মল, শিশুদের খেলার মাঠ, সুন্দর ফোয়ারা, ক্যাফে এবং খাবারের জায়গা রয়েছে।

এখানে দেখা মিলবে বিখ্যাত বাওবাব গাছের। পার্কের কেন্দ্রস্থলে দোহার একমাত্র হ্রদে প্রচণ্ড গরম থেকে আশ্রয় নিতে আসে বিভিন্ন ধরনের পাখি। পার্কের বাইরে ৫ কিলোমিটার রানিং ট্র্যাকটিতে সারা বছর ধরে দৌড়সহ শরীর চর্চার বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পৃক্ত অসংখ্য ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। ৩০০ মিটার উচু আইকনিক অ্যাসপায়ার টাওয়ারটি রাতের আলোয় রাজকীয় ও মোহনীয় হয়ে ওঠে।

বিশ্বকাপ চলাকালে এসব জায়গা দর্শনের জন্য তখনই যাওয়া যাবে যখন একজন দর্শকের কাছে কাতার বিশ্বকাপের যে কোন ম্যাচের টিকেটের সাথে সাথে হায়া কার্ড থাকবে । কাজেই যারাই খেলা দেখার জন্য কাতারে আসছে তাদের সবারই হায়া কার্ড থাকতে হবে এবং তাড়াতাড়ি হায়া কার্ডের জন্য আবেদন করা উচিত। ১ নভেম্বর ২০২২ এর পর থেকে কাতারে প্রবেশ করার জন্য সবাইকে একটি হায়া কার্ড রাখতে হবে, এমনকি কেউ যদি বিশ্বকাপের কোন খেলা না দেখতে চান তাকেও। তবে ম্যাচের টিকিটধারীরা হায়া পোর্টালের মাধ্যমে তাদের সাথে টিকিট ছাড়াই অতিরিক্ত ৩ জনকে কাতারে আনতে আবেদন করতে পারেন।


ছবি - thepeninsulaqatar.com

হায়া কার্ড কি ?

"হায়া কার্ড"টি কাতার সরকার দ্বারা পরিচালিত যার মাধ্যমে দর্শকদের কাতার প্রবেশের অনুমতি এবং স্টেডিয়াম অ্যাক্সেস (প্রত্যেক খেলার টিকিটের সাথে) ও। আন্তর্জাতিক ভক্তদেরও তাদের ডিজিটাল হায়া কার্ডে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে তাদের বাসস্থানের ঠিকানা নিশ্চিত করতে হবে। হায়া-এর জন্য আবেদন করতে এবং বাসস্থান বুক করতে,please visit Qatar2022.qa or download the Hayya to Qatar 2022 app ( অনুগ্রহ করে Qatar2022.qa-এ যান বা Hayya to Qatar 2022 অ্যাপ ডাউনলোড করুন )। লিংক - https://hayya.qatar2022.qa/web/hayya/faqs

হায়া কার্ড কেন দরকার-

হায়া সার্ভিসের অর্থ হল হায়া কার্ডের মাধ্যমে যে পরিষেবাগুলি অফার করা হবে, তা SC বা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা হোক, ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা ব্যতীত (একটি বৈধ ম্যাচ টিকিটের সংমিশ্রণে)। হায়া সার্ভিসের মধ্যে দোহা মেট্রো, পাবলিক বাস, টুর্নামেন্ট বাস এবং ট্রামে ভ্রমণ সহ পরিবহন পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


ছবি - stock.adobe.com

হায়া কার্ড থেকে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে ?

১। হায়া কার্ড, একটি বৈধ ম্যাচের টিকিট সহ, স্টেডিয়ামে প্রবেশ, আন্তর্জাতিক ভক্তদের কাতারে প্রবেশ, ম্যাচের দিনগুলিতে বিনামূল্যে গণপরিবহনে অ্যাক্সেস (শাটল বাস এবং মেট্রো উভয়), এবং হায়া মোবাইলের মাধ্যমে স্মার্ট ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়তা প্রদান করবে।

২। হায়া কার্ডধারীরা বিনামূল্যে সৌদি ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ই-ভিসা, যা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দশ দিন আগে থেকে বৈধ হবে, ভক্তরা ৬০ দিন পর্যন্ত সৌদি আরবে থাকতে পারবেন ও ওমরাহ হজ পালন করতে পারবেন। দর্শক চাইলে সড়ক কিংবা বিমান যে কোন পথ ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। হায়া কার্ডধারী সংযুক্ত আরব আমিরাত ৯০ দিনের জন্য মাল্টি-এন্ট্রি ভিসা হিসাবেও ব্যবহার করতে পারবে,যার মূল্য ১০০ Dhs (QR99/US$27)।

৪। একজন দর্শক এক রিয়ালও খরচ না করে হায়া কার্ড ব্যবহার করে ৬০ দিন পর্যন্ত ওমানে যেতে পারেন।

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী - বাংলাদেশ স্থানীয় সময়

এবার দেখি, ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী -

গ্রুপ পর্বের সময়সূচী

নভেম্বর ২০ - কাতার বনাম ইকুইডর, রাত ১০টা
নভেম্বর ২১ - ইংল্যান্ড বনাম ইরান, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২১ - সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস, রাত ১০টা
নভেম্বর ২২ - ইউএসএ বনাম ওয়েলস, রাত ১টা
নভেম্বর ২২ - আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরব, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২২ - ডেনমার্ক বনাম তিউনিশিয়া, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২২ - মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৩ - ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া, রাত ১টা
নভেম্বর ২৩ - মরক্কো বনাম ক্রোয়েশিয়া, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৩ - জার্মানি বনাম জাপান, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৩ - স্পেন বনাম কোস্টারিকা, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৪ - বেলজিয়াম বনাম কানাডা, রাত ১টা
নভেম্বর ২৪ - সুইজারল্যান্ড বনাম ক্যামেরুন, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৪ - উরুগুয়ে বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৪ - পর্তুগাল বনাম ঘানা, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৫ - ব্রাজিল বনাম সার্বিয়া, রাত ১টা
নভেম্বর ২৫ - ওয়েলস বনাম ইরান, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৫ - কাতার বনাম সেনেগাল, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৫ - নেদারল্যান্ডস বনাম ইকুইডর, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৬ - ইংল্যান্ড বনাম ইএসএ, রাত ১টা
নভেম্বর ২৬ - তিউনিশিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৬ - পোল্যান্ড বনাম সৌদি আরব, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৬ - ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৭ - আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো, রাত ১টা
নভেম্বর ২৭ - জাপান বনাম কোস্টারিকা, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৭ - বেলজিয়াম অনাম মরোক্কো, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৭ - ক্রোয়েশিয়া বনাম কানাডা, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৮ - স্পেন বনাম জার্মানি, রাত ১টা
নভেম্বর ২৮ - ক্যামেরুন বনাম সার্বিয়া, বিকাল ৪টা
নভেম্বর ২৮ - দক্ষিণ কোরিয়া বনাম ঘানা, সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৮ - ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড, রাত ১০টা
নভেম্বর ২৯ - পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে, রাত ১টা
নভেম্বর ২৯ - ইকুইডর বনাম সেনেগাল, রাত ৯টা
নভেম্বর ২৯ - নেদারল্যান্ডস বনাম কাতার, রাত ৯টা
নভেম্বর ৩০ - ইরান বনাম ইউএসএ, রাত ১টা
নভেম্বর ৩০ - ওয়েলস বনাম ইংল্যান্ড, রাত ১টা
নভেম্বর ৩০ - তিউনিশিয়া বনাম ফ্রান্স, রাত ৯টা
নভেম্বর ৩০ - অস্ট্রেলিয়া বনাম ডেনমার্ক, রাত ৯টা
ডিসেম্বর ১ - পোল্যান্ড বনাম আর্জেন্টিনা, রাত ১টা
ডিসেম্বর ১ - সৌদি আরব বনাম মেক্সিকো, রাত ১টা
ডিসেম্বর ১ - ক্রোয়েশিয়া বনাম বেলজিয়াম, রাত ৯টা
ডিসেম্বর ১ - কানাডা বনাম মরক্কো, রাত ৯টা
ডিসেম্বর ২ - জাপান বনাম স্পেন, রাত ১টা
ডিসেম্বর ২ - কোস্টারিকা বনাম জার্মানি, রাত ১টা
ডিসেম্বর ২ - দক্ষিণ কোরিয়া বনাম পর্তুগাল, রাত ৯টা
ডিসেম্বর ২ - ঘানা বনাম উরুগুয়ে, রাত ৯টা
ডিসেম্বর ৩ - সার্বিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড, রাত ১টা
ডিসেম্বর ৩ - ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল, রাত ১টা

রাউন্ড অফ ১৬

গ্রুপ অফ ১৬ এর খেলা অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ স্টেজের শীর্ষ ১৬টি দল নিয়ে -

ডিসেম্বর ৩ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ৪ - রাত ১টা
ডিসেম্বর ৪ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ৫ - রাত ১টা
ডিসেম্বর ৫ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ৬ - রাত ১টা
ডিসেম্বর ৬ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ৭ - রাত ১টা

কোয়ার্টার ফাইনাল

ডিসেম্বর ৯ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ১০ - রাত ১টা
ডিসেম্বর ১০ - রাত ৯টা
ডিসেম্বর ১১ - রাত ১টা

সেমি ফাইনাল

ডিসেম্বর ১৪ - রাত ১টা
ডিসেম্বর ১৫ - রাত ১টা

তৃতীয় স্থান নির্ধারনী

ডিসেম্বর ১৭ - রাত ৯টা

ফাইনাল

ডিসেম্বর ১৮ - রাত ৯টা

কাতারে আরও অনেক আকর্ষনীয় ও দর্শনীয় স্থান আছে । সেগুলো থেকে বেঁছে বেঁছে দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে সবাই হতে পারেন মুসলিম কৃষ্টি-সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে নতুন করে পরিচিত। আর সেরা অভিজ্ঞতাটি সঞ্চয় করতে প্রয়োজন ভ্রমণের জন্য বছরের সঠিক সময়টি নির্বাচন করা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার তার উষ্ণ মরু আবহাওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাই ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য অভিজ্ঞতাগুলো উপভোগ করার জন্য কাতার ভ্রমণের সেরা সময় শীতকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে,কাতারের আবহাওয়া গরমে যেমন প্রচণ্ড গরম ঠিক তেমনি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারে বেশ ঠান্ডা পড়তে পারে। তাই এ সময়ে যারা কাতার ভ্রমণে করবে তখন গরম কাপড় সঙ্গে রাখা উচিত।

সবার নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণের পাশাপশি স্থানীয় আইন-কানুন-সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে ও সুন্দর-মনোরম-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে কাতার বিশ্বকাপ খেলা উপভোগের আশাবাদ রইলো।

তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় -

** উইকিপিডিয়া,আল জাজিরা,গালফ নিউজ ।

১। FIFA World Cup Qatar 2022 match schedule - লিংক - Click This Link
২। Discover Qatar With The 10 Most Historical Places To Take A Plunge Back In Time - লিংক - Click This Link
৩। Al Koot Fort - লিংক - Click This Link
৪। Khor Al Adaid: Five reasons to visit this extraordinary 'Inland Sea' - লিংক - Click This Link
৫।Transit Tours by Discover Qatar for the Tourists - লিংক - Click This Link
৬। Explore Fuwayrit - লিংক - Click This Link
৭। DESERT ADVENTURE ,Most popular Tours in the Desert! -লিংক - https://desertsafariindoha.com/
৮। Everything you need to know about the Hayya Card - লিংক - Click This Link
৯। বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ - লিংক - Click This Link

=====================================================================

কাতার বিষয়ক আরো দুটি পোস্ট -

২। " বিশ্ব সেরা বিমানবন্দর - ২০২১ " - বিশ্বের সেরা কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (স্কাইট্র্যাক্সের বার্ষিক র‍্যাংকিং অনুসারে) ও আমাদের অবস্থান।লিংক - Click This Link
১।ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২, কাউন্ট ডাউন (২০/১১/২০২০) দুই বছর বাকি।কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ প্রস্তুতির সর্বশেষ আপডেট। - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×