শেষ দিন বরাবরের মতোই ঝামেলাবিহীন। কোনো চাপ নাই, প্যারা নাই। শুধু প্রবল এক পিছুটান নিয়ে যাযাবরের জীবন থেকে খোলস বদলানোর চেস্টা
সকালে #তিন্দুর ভোর মনকে ভরিয়ে দেয় :-* । এমন ভোর দেখার জন্য প্রতিদিন ৫টায় ঘুম থেকে উঠা যায়। আমি যখন ঘুম থেকে উঠি তখন শুধুমাত্র মুনতাসির ভাই বাদে সবাই বিভোর ঘুমে।
ঘুম থেকে উঠে হোটেলের বারান্দা দিয়ে দেখা ভোর ঘুমের ঘোরের ভিতরে থাকা আমাকে একেবারে জাগিয়ে দেয়। প্রায় ঘন্টা খানেক পর ২/১ জন করে সবাই উঠলে সকাল ৮.৩০ এ আমরা রেডি হয়ে তিন্দুর ভিতরেই একটা ছোট ঝর্ণা দেখতে যাই।
প্রায় ৪০/৫০ মিনিট হাটলে অনায়াসে এখানে যাওয়া যায়।
এখানেও মাঝে আছে এক স্বচ্ছ ক্যাসকেড।
ঝর্ণাটায় মানুষ একেবারে যায়না বললেই চলে। রাস্তার দূর্গমতা, আর ঝর্ণার অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। আসলে এই দিন আমাদের #লিলুক যাবার কথা ছিলো, তবে কোনো এক কারণে যাওয়া হয়নাই ।
এই সামান্য পথ গত ৪দিন প্রচুর হাটার পর পানি-ভাত মনে হচ্ছিলো। তবুও এই সামান্য রাস্তায় কি নেই! পাহাড়ী আম বাগান, পেয়ারা বাগান, জাম্বুরা বাগানের যেনো ছড়াছড়ি
তো ফিরে এসে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে নৌকায় উঠে বসি। প্রথমে ফিরে আসি #থানচি। এখানে দুপুরের ভাত খেয়ে বাসে করে সন্ধ্যা ৭.৩০ এ পৌছাই #বান্দরবান। এখানে রাত্রে #কলাপাতা রেস্টুরেন্টে ভরপুর খেয়ে #শ্যামলী তে করে জ্যামের নগরীরে পুনরাবর্তন।
এর মাধ্যমে শেষ হলো আমার ০৫ পর্বের ধারাবাহিক নাফাকুম,আমিয়াকুম, তিন্দু ভ্রমণের কাহিনী।
আগের পর্ব পাবেন এইখানেঃ Click This Link
ক্রমান্বয়ে পড়তে ১ম পর্ব থেকে পড়ুন এখানেঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২