নিম্নোক্ত লেখাটি প্রকাশিত - দৈনিক ডেসটিনি
ঢাকা, রোববার ১৩ জুন ২০১০ ,ওয়েবলিঙ্কঃ
Click This Link
ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে কতো বড় মীরজাফরের জন্ম দিয়েছে এ দেশ!!!!!!!!!!!!
**************************************************
হামাস, গাজা ও ইসরায়েল
সালাহউদ্দিন চৌধুরী
কিছুদিন আগে ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে গিয়ে ত্রাণবাহী জাহাজে প্রাণহানির যে উন্মত্ততা দেখায় সে সময় দুঃখজনকভাবে বিশেষ কয়েকটি মৌলিক তথ্যের প্রতি নজর দেয়া হয়নি। বরং উপেক্ষাই করা হয়েছে। রাজনৈতিক জঞ্জালের নিচে চিরাচরিত প্রথামতো এ তথ্য চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এর ফলে শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সৃষ্ট হওয়া ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে কিছু করা দরকার এবং কিছু বিষয় বুঝতেও হবে। গাজা এলাকা হলো একটি সশস্ত্র জায়গা। জঙ্গিবাদী সংগঠন হামাস এ জায়গা শাসন করে। এ সংগঠন ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা দিতে শুধু বারবার চেষ্টাই করেনি বরং গত কয়েক বছরে ইসরায়েলের বেসামরিক লোকদের দিকে প্রায় ১০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপেও ক্লান্তিবোধ করেনি। শুধু ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল না। হত্যা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যে স্বীকারও করেছে যে, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এমন সশস্ত্র শত্রুর সম্মুখীন হলে ইসরায়েলকে দুটি কাজ করতে হবে। তাহলো ইসরায়েলের বেসামরিক লোকদের হামলা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা অথবা সাদামাটাভাবে কাঁধ ঝাঁকিয়ে এ আশা করা যে, হামলা বন্ধ হয়ে যাবে। মনে হয়, পৃথিবীর কোনো দেশই দ্বিতীয় পথটি বেছে নেবে না। কোনো যুক্তিবাদী ও ভালো মনের লোকও দ্বিতীয় কাজটি সমর্থন করবে না। ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ ও ব্যবহার বন্ধ করার প্রচেষ্টায় ওই অস্ত্র গাজা এলাকায় নিষিদ্ধ করতে হবে। হামাস ও ইসরায়েলের উভয়পক্ষের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। গত ২০০৮ সালের যুদ্ধে যে ধ্বংস হয় সে ধরনের যুদ্ধ যাতে আর না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া অত্যাবশ্যক। ২০০৮ সালের যুদ্ধে হামাস ও হামাসের মিত্ররা ইসরায়েলের বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা বাড়ালে ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করার জন্য (তাদের যুক্তি অনুযায়ী) বাধ্য হয়েই পাল্টা হামলা চালাতে হয়েছিল। যারা নিষেধাজ্ঞা না মানার চেষ্টা করছে ইসরায়েল বারবার তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের নৌযানে যেসব মানবিক সাহায্য আছে তা ইসরায়েল স্বীয় উদ্যোগে কালবিলম্ব না করে গাজায় পাঠিয়ে দেবে। ইসরায়েলি ভাষ্য অনুযায়ী, তারা নিশ্চিত হতে চাচ্ছে যে, নৌযানের সামগ্রী সত্যিই মানবিক সাহায্য। ইসরায়েল আরো নিশ্চিত হতে চেয়েছিল হামাসকে ইরান ও অন্যদের সরবরাহকৃত সামগ্রী ওই নৌযানে ছিল না। কারণ ইতিমধ্যে একাধিকবার এ ধরনের অস্ত্র হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইসরায়েল নিয়মিত গাজায় সাহায্য পাঠায় এবং জাহাজ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ইসরায়েলিরা মালামাল খালাস করে থাকে। সব সময় ইসরায়েল এ নীতি অনুসুরণ করছে। তবে ঘটনার কয়েকদিন পর দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু কমপক্ষে একটি নৌযান ইসরায়েলিদের হামলার পরিকল্পনা করেছিল। নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় একবার বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছিল। নৌবহরে হামলার ছবি গ্রহণ করে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, ইসরায়েলিদের নৌযানে লোকজন প্রচ- নির্যাতিত হচ্ছে। ইসরায়েলিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, সম্ভব হলে তারা যেন বল প্রয়োগে বিরত থাকে। নৌযান থেকে হামলাকারীদের মোকাবিলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত না থাকার জন্য ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
************************************************

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




