চোখ বুঝে পাশ্চাত্য রীতির প্রচলন কিংবা নিজ দেশের সংস্কৃতির পরিচর্যার অভাব মানুষকে যেমন ব্যক্তিত্ত্বহীন করে তোলে,তেমনি তার দীর্ঘদিনের পরিচর্চায় জাতিকে পথভ্রষ্ট করে তোলে।এই থাবাটা বেশী পড়ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে উঠতি বয়সীরা তারুন্যের উচ্ছলতায় অতি-আধুনিক হতে চায়।
আমাদের দেশের আর,জে বা ডি,জেরা যা করে থাকে তা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।এই ভাষা-দূষণ,সংস্কৃতি-দূষণ অনেকটা নদী দূষণের মত।বলা যায়-বুড়িগংগায় একটি মাছও বেঁচে নেই শুধু দূষণের কারণে।এভাবে চলতে থাকলে, এই দূষণের মহাযাত্রায় হয়তো একদিন আমাদের শুদ্ধ বাংলাভাষা ও সংস্কৃতিও হারিয়ে যাবে সন্দেহ নেই।
সূত্রঃ Click This Link
আমাদের এই সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে আমাদের ধর্ম,ইতিহাস,সংগ্রাম(ভাষা আর স্বাধীনতা) কি ঘিরে অন্য সব সংস্কৃতির মত তবে প্রেক্ষাপট এবং কিছু ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো হয়ত ভিন্ন হতে পারে।
অপরাপর সংস্কৃতির মত আমাদের সংস্কৃতিতেও সাধুবাদ, বিদায় কিংবা আত্মতুষ্টির বিষয়গুলিতে সংখ্যাগুরু সংস্কৃতির প্রাধান্য রয়েছে।যেমন-জাতি-বর্ন নির্বিশেষে সালাম দিয়ে কোন টিভি শো ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বা শুভেচ্ছা বক্তব্য শুরু হয়,আবার বিদায় বেলায় ব্যবহার হয় আল্লাহ-হাফেজ বা খোদা-হাফেজ।ঠিক তেমনি, ইন্ডিয়াতে জাতি-বর্ন নির্বিশেষে নমস্কার দিয়ে যেমন প্রারম্ভিক সূচনা হয় তেমিন বিদায়-বেলায় জয়-শ্রীকৃষ্ণার প্রয়োগ হয়। অর্থাৎ যে যার সংস্কৃতিতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক আধিপত্য মেনে নিয়েছে।
এতে দোষের কিছু নেই,কারণ এতে কোন চাপ-প্রয়োগ নেই এবং ছোট ছোট গোষ্ঠী-উপগোষ্ঠীগুলো যে যার মত সাংস্কৃতিক আধিপত্য মেনে নিয়েছে কারণ সে দেশের সংস্কৃতিতে এই আধিপত্য অর্জনকারী গোষ্ঠীর অবদান এবং প্রভাবও রয়েছে ততোধিক।
হঠাত পেয়ে বসা ব্যক্তিস্বাধীনতায় কোন কোন ক্ষেত্রে একটি জাতিকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে।যেমন-আফগানিস্তান।
এতে যেমন পাশ্চাত্য ধারণার প্রেসক্রিপশন থাকে তেমনি দেশিয় সুবিধাভোগী সম্প্রদায়ের ইন্ধন থাকে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটার।উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়- তালেবান উত্তর আফগানিস্তানে মানুষের বিয়ের খরচ হয়েছে আকাশচুম্বী,বিয়েতে নাচ-গান-ব্যান্ড অত্যাবশ্যক হয়ে উঠছে। সংস্কৃতির সাথে অসংগতিপূর্ণ এবং আধুনিকতা প্রদর্শনের অনাবশ্যক বহুমাত্রিক মাধ্যম অত্যাবশ্যক মাত্রা পাচ্ছে।আর অধুনা-আধুনিক যুবকরা জীবনের শুরুতেই নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।ভালো চাকুরি করেও শুধু বিয়ে করতে হচ্ছে ব্যাংকলোন করে।আর মানুষের ব্যয়বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতাও বাড়ছে ব্যাপকহারে।সূত্রঃ
Click This Link
Click This Link
Click This Link
একটি দেশের আইন-কানুন হয় সাধারণতঃ ঐ দেশের সংস্কৃতি,মানুষের আচার-অনুষ্ঠান,সমসাময়িক প্রয়োজন আর মূল্যবোধের সাথে সংগতি রেখে। আর এটি ঠিক করেন নীতি-নির্ধারকেরা।কখনো কখনো উদার পাশ্চাত্যে কিংবা আমেরিকা মহাদেশেও মুল্যবোধের সাথে সমাঞ্জস্য রেখে আইন চলতে অনুপ্রানিত করা হয়।যেমনঃ কানাডার পুলিশ মহিলাদের অনুরোধ করেছে সংক্ষিপ্ত পোশাক না পরে থাকতে, কারণ এতে ধর্ষণের মাত্রা অনেক কমে যায়।সূত্রঃ
Click This Link
কিন্তু কোন দেশের সাংস্কৃতিক দূষণ প্রতিরোধে সে দেশের আইনকে শ্রদ্ধা জানানো সবারই নৈতিক দায়িত্ত্ব যদিওবা সে দেশে তার নামমাত্র বিরুদ্ধাচারী থাকে।আর সংবাদ পরিবেশনে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ারে লক্ষ্যে স্বচ্ছতা বা নিরপেক্ষতায় বজায় না রেখে(যেমনঃ-‘?’ চিহ্ন বা ‘!’ চিহ্ন জুড়ে দিয়ে )যদি সংবাদ পরিবেশন করা হয় তবে তা স্বৈরাচারী এবং পক্ষপাতদুষ্টতার পরিচায়ক।আর এটি প্রথম আলোর সংবাদ পরিবেশনায় স্ববিরোধিতারই শামিল।
সূত্রঃ Click This Link
Click This Link
বিচারের রায় পাঠকই দিবেন ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




