আমাদের দেশে যখন কিছু শুরু হয় তা চলতেই থাকে। যখন বিল্ডিং হেলে পড়ে, তখন শুধু বিল্ডিংই হেলে পড়ে। যখন আগুন লাগে, তখন শুধু আগুনই লাগে, যখন ধর্ষনের ঘটনা ঘটে, তখন শুধু ধর্ষনই হয়! এর কারণ মিডিয়া। মিডিয়া নিজস্ব ব্যবসার স্বার্থে তা করে। কিন্তু, এটাকে খারাপ কোন অর্থে বলা যাবে না। কেননা, এতে জনমত তৈরীতে ভূমিকা রাখে তারা।ধর্ষণ একটি গর্হিত কাজ। কিন্তু,ধর্ষণ সারা পৃথিবীতে যুগে যুগে হয়ে এসেছে। নারীর বিরুদ্ধে পুরুষ তন্ত্রের অন্যতম অস্ত্র ধর্ষন।যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, শান্তিতে ব্যবহার হয়, জেদে ব্যবহার হয়। মোট কথা সর্বক্ষেত্রেই পুরুষতন্ত্রের অন্যতম হাতিয়ার এই ধর্ষন। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে না।আমাদের এই অঞ্চলে এটি তুলনামূলক বেশী অর্থ সামাজিক কারণে।আমাদের দেশে আগেও এখন যেমন প্রচার পাচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশী ধর্ষনের ঘটনা ঘটত। কিন্তু, সেই খবর পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দেওয়ার মতো ছিল না! কিন্তু, টিএসসির ঘটনার পর, মানুষের আগ্রহ দেখে পত্রিকা গুলো প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো সামনে তুলে আনছে।এখনও যতো ধর্ষন মামলা হয়, তার চেয়ে কয়েক হাজার গুন বেশী ধর্ষনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু, লোক লজ্জ্বার ভয়ে প্রকাশ হচ্ছে না। আর কর্পোরেট অফিস এবং যেই টিভি চ্যানেল গুলো ধর্ষনের ঘটনা দেখাচ্ছে, সেখানে আরো বেশী এমন ঘটনা ঘটছে। যারা আজ হা হু করছে তারাও অনেকে এর সাথে যুক্ত।আমাদের সমাজকে ধর্ষিতার পাশে দাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে ধর্ষিতা কোন অপরাধ করে নেই।তবেই শুধু মাত্র সকল ধর্ষণ প্রকাশ্য হবে।
কিন্তু, আজ ফেইসবুকে কিছু পোষ্ট দেখে প্রতিবাদ না করে পারছি না।এই ধর্ষনের জন্য অনেকে ইসলামকে দায়ী করছে। কিন্তু, মায়ানমারে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে,রহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ট বোদ্ধদের দ্বারা ধর্ষিতা হচ্ছে।ভারতের গুজরাটে মুসলমান হওয়ার কারণে অসংখ্য মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে।এমন উদাহরণ অনেক দেওয়া যাবে। ধর্ষনের সাথে আসলে ধর্মের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। ধর্মকে এখানে শুধুমাত্র পুজি করা হয়।
আবার অনেকে বাংলাদেশীদের গালী দিচ্ছে। একজন তথাকথিত সুশিক্ষিত নারী দাবী করছে এমেরিকায় ধর্ষনের ঘটনা ঘটে না!বাঙ্গালী জাত খারাপ তাই ধর্ষণ হচ্ছে এবং তিনি কুকুরের জাতও বলতে দ্বিধা করেনি! তিনি বাংলাদেশ থেকে পড়া-শুনা করতে এমেরিকা গেছে।এখনও মনে হয় পিআর পায়নি। এখনই দেশের প্রতি এতো ঘৃণা যার, তার কথা আর নাই বা বললাম।
কিন্তু, আমি নিশ্চিত এখন যারা ধর্ষিতার জন্য নাকী কান্না কাদছে, তারা কেউ কখনও কোন ধর্ষিতার পক্ষে দাড়ায়নি। কিন্তু, আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে এক ধর্ষককে ধরিয়ে দিয়েছি।নিজে সেই ছেলে খারাপ, ভবিষ্যতে আমার ক্ষতি করতে পারে জেনেও তার বিরুদ্ধে সাক্ষি হয়েছি।ঘটনাটি এই লিংকে পাবেন।তখন দেশে ধর্ষনের এই যুগ শুরু হয়নি।আরো বিস্তারিত জানতে তেজগাও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এসআই ফরিদার কাছ থেকে জানতে পারেন। তিনি মামলাটির আইও।
ফেইসবুকে গালাবাজী মুসলমানদের গালী দেওয়া বন্ধ করে নিজেরা কিছু করুণ।তারপর গলাবাজী করুণ।