somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"সংকোচ নয়, সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক"

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একজন সুস্থ নারীর ক্ষেত্রে পিরিয়ড খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
এটি বয়স্কপ্রাপ্ত মেয়ের প্রাকৃতিক ও জৈবিক বিষয়।
আমাদের সমাজে একটা ট্যাবু চলতেছে মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে নানা ধরণের কটুক্তিমূলক কথা।
যে কারণে মেয়েরা আরো ভীত ও সংকোচ হতে থাকে।

ফার্মেসীতে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গেলে এমনভাবে ব্রাউন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয় আর মেয়েটাও ব্যাগে এমন করে গুজে আনে যেন সে অভিশপ্ত, মহাপাপ করে ফেলেছে, এখন পাপের বোঝা ব্যাগে লুকিয়ে আনছে।
এ ধরণের সংকোচতার পিছনে পুরুষরা অধিকাংশ দায়ী!

অতি স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে জোকস এ পার্ট বানিয়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে মেয়েরা যতটাই সংকোচিত, ছেলেরা ততটাই উৎফুল্ল।
এমন অনেক মেয়ে এই সাধারণ ব্যাপারটি নিয়ে ইভটিজিং ও হয়রানী মুলক বাজে কথার স্বীকার হয়।
... আর কোন মেয়ে যদি সাহস করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে খোলামেলা আলোচনা করে তবে তার চৌদ্দগুষ্ঠি কে খারাপ, বেহায়াপনা, অশ্লীল বলে মন্তব্য করা হয়।

কেন ভাই? কেন???
এই পিরিয়ড কোন রোগ না, এটা মেয়েদের একটা বায়োলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য- সেটা প্রত্যেকটা সুস্থ মেয়ের হয়ে থাকে । আপনার আমার পরিবারের প্রতিটা মেয়েরই হয়ে থাকে।

জ্বরের ঔষধ কিনে নিয়ে গেলে তো কেউ কিছু বলে না, তবে প্যাড কিনে নিয়ে গেলে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে কটাক্ষ করা কতটুকু যুক্তিগত!
যেখানে দুটোই স্বাভাবিক ব্যাপার।
... আমাদের বিকৃত মানসিকতাই স্বাভাবিককে অস্বাভাবিক করে তুলেছে।

বন্ধু তুমি কি জানো?
পবিত্র রমযান মাসে একটা মেয়ে কেন রোযা রাখে নি সেটা বুঝেও এটা নিয়ে যখন দ্বিতীয়বার প্রশ্ন ছুড়ে দেও সেটা একটা মেয়েকে কতটুকু সংকোচে ফেলে?

... সংকোচ কাটিয়ে বলার পরেও তুমি যখন হাসি ঠাট্টা করো সেটা একটা মেয়েকে কতটা ব্যথিত করে?
তোমার জানার কথাও না কারণ তোমাকে প্রতিমাসে তীব্র ব্যথা সহ্য কর‍তে হয় না, তোমাকে সমাজে লুকিয়ে জৈবিক ব্যাপার নিয়ে ভাবতে হয় না।
মেয়েদের পোশাকে লাল দাগ দেখে মুচকি হাসা মারা ছেলেটা! তোমাকে বলছি শুনো।

বন্ধু তুমি কি জানো?
মেয়েদের নিয়মিত পিরিয়ড না হলে তোমার আমার এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ হতো না।
যেখানে আমাদের একজন মেয়েকে অভিনন্দন জানানো উচিত একটা প্রাণ সৃষ্টির ক্ষমতা অর্জনের জন্যে, সেখানে আমরা তার জন্যে সৃষ্টি করে রেখেছি অমানবিক মানসিক চাপ।

যে সমাজ নারীর মনুষ্যত্ব অপেক্ষা নারীর নারীত্বকে বড় করিয়া দেখিয়াছে সে সমাজ সভ্য সমাজ হতে পারে না…
অতএব বন্ধুগণ দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমাদের সমাজ বদলে যাবে।
শহুরে নারীরা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাবহার সম্পর্কে সচেতন হলেও গ্রামের মেয়েরা বেশিরভাগই অসচেতন এবং প্যাডের ব্যাবহার সম্পর্কে অজ্ঞ।

তাই এবার প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্পে নীলফামারী জেলার শৌলমারী ও গোলমুন্ডায় ৫০০ জন এবং গাইবান্ধার এরেন্দাবাড়ী প্রায় ৩০০ জন বয়স্কপ্রাপ্ত নারীকে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে পাশাপাশি ব্যবহার সম্পর্কেও শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এটা খুবই গর্বের বিষয় আমাদের বড় বোনরা সমাজের ট্যাবু ভেংগে নারীদের সচেতন করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
ঐ সকল সাহসী বোনদের অভিনন্দন যারা সংকোচ কাটিয়ে স্পর্শকাতর জৈবিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে প্রতিক্রিয়াশীল সমাজে থেকেও মনটাকে মুক্ত রাখতে পারার জন্য।

Bear in mind that Always this system used to make her feel unclean and ashamed without no fault of them!
So stop harassing them.
Break the tabbo, change the system.
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×