আজ একটা বই পড়লাম, হুমায়ুন আহমেদের-“নীল মানুষ”, সেখানে ফরহাদ সাহেব ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেন। পড়ে দেশে থাকতে বৃষ্টিতে ভেজার কথা মনে পড়ে গেল, সেই সাথে আরো কত স্মৃতি।।
মনে পড়ে, প্রতি বছর কীভাবে কীভাবে যেন বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা হতই। কিভাবে সেটা হত সেটা ভাবতে আশ্চর্যই লাগে এখন। আর এখন বৃষ্টিতে ভেজার আগে চিন্তা করতে হয় ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। শেষ কবে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছি সেটা ভুলেই গেছি।হায়রে সময়!!! কিন্তু যখন চিন্তা করি, কেন এমন হয় তখন নিজেকে প্রবোধ দেই এই বলে যে এখানে বৃষ্টির পানি বেশি ঠান্ডা…
ক্লাস নাইন/টেনে(সঠিক ক্লাসটা মনে নাই মন খারাপ
গত ডিসেম্বরে আমার স্ত্রী ওর শহর হতে আমার এখানে বেড়াতে আসে। দেশ থেকে আসার পর থেকে সমুদ্র দেখা হয় নাই। ওর ওখানে সমুদ্র কেন, একটা বড় নদী পর্যন্ত নেই। তো যাবো সমুদ্র দেখতে কিন্তু আমার শহরের কাছের সমুদ্র দেখে মনে হল এর চেয়ে পদ্মা পাঁড়ে গেলেও মনে হয় আরো বেশী দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি দেখা যেত। এখানে দুইপাশেই পাঁড় দেখা যায়, আর একে ওরা বলে সমুদ্র (এটা আসলে ইনলেট)। কেউ একজন বলেছিল যে ভিক্টোরিয়াতে খোলা সমুদ্র দেখা যায়, কারণ সেটা একটা দ্বীপ। গেলাম সেখানে কিন্তু কিসের কি।। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছিল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, দুই-তিনবার এইসব বড় নদীর মত সমুদ্রের কাছাকাছি গিয়েও পানিতে নামাতো দূরের থাক, পা-ও ভিজাইনি। অথচ যেবার কক্সবাজার গেলাম, টানা কয়েক ঘন্টা শুধু পানিতেই দাপাদাপি করেছিলাম। প্রতেকবার সী-বীচে গেলেই মনে হয় আমরা কত ভাগ্যবান যে আমাদের এরকম উত্তাল, জীবন্ত একটা সমুদ্রতীর আছে; যেখানে চাইলেই দেশের মানুষ কত সহজে যেতে পারে। অবশ্য যখন পত্রিকায় দেখি যে আমরা আমাদের সেই সমুদ্রসৈকতকে কি অবলীলায়ই না নষ্ট করছি, তখন ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য মনটা খারাপ হয়ে যায়
স্মৃতিগুলো বড্ড বেয়াড়া। একটা মনে পড়লে সাথে আরো কয়েকটাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসে। ইউনিভার্সিটিতে প্রথম টার্মের মাঝামাঝি রোজা পড়লো। তখন নতুন নতুন কলব্রীজ খেলা শিখেছি। প্রতিদিন সকাল ১১টার দিকে এক বন্ধুর বাসায় যেতাম কার্ড খেলতে। সারাদিন খেলে শুধু ইফতারীর সময় বাসায় আসতাম ইফতারী করতে। এরপর তারাবীহর নামাজের কথা বলে আবার গিয়ে মোনাজাতে বসে যেতাম
দেশ থেকে চলে আসার পরে প্রথম দিকে তেমন কিছু মনে হতো না, মাঝেমাঝে খারাপ লাগতো মা-বাবা-ভাইয়ের জন্য। কিন্ত এখন আর খারাপ লাগাটা শুধু ফ্যামিলির জন্য সীমাবদ্ধ নাই। এখন দেশের একটা খারাপ খবর পড়লেও খারাপ লাগে। এখন ফেলে আসা বন্ধুদের জন্য খারাপ লাগে, খারাপ লাগে ইউনিভার্সিটির জীবনটা শেষ হয়ে গেছে বলে। এমনকি মাঝে মাঝে স্যারদের ও মিস করি, মিস করি তাদের ক্লাসকেও।। জীবন বড়ই বিচিত্র...
(সচলায়তনে পূর্ব প্রকাশিত)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




