somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা বাবার প্রতি সন্তানের ঋণ!!!!!!!হয়ত ভাবনাগুলো ভুল। তারপরেও সবাইকে জানিয়ে গেলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সত্যি ছেলে হয়ে জন্মানোটা উপরওয়ালার বিশেষ কৃপা।বাবা হয়েছি প্রায় সাড়ে দশ মাস হয়ে গেল। তেমন কোন কষ্ট করা ছাড়াই জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্তটি অর্জন ও তৎপরবর্তী সময়টা উপভোগ করছি। কষ্ট বলতে যেটা করেছি সেটা বলতে গেলে পোষ্টের শিরোণামে ১৮+ ব্যবহার করতে হব। তাই আর ডিটেইলসে গেলাম না। চাকরির কারণে ওর গর্ভাবস্থায় বা ছেলেটি হওয়ার পর পর ওর পাশে থাকার পরিমাণ অতি সামান্য। যদিও দূরালপনীতে বারংবার, “এই তুমি সকালে নাস্তা করেছ তো? বাথরুমে কিন্তু সাবধান। বাসে বা ট্রেনে কিন্তু সাবধানে উঠানামা করবে, ঔষধগুলো খেয়েছিলে তো, বমি বমি লাগছেনা তো” বলে আত্মস্লাঘায় ভুগেছি, আমি কি অসাধারণ! কি কেয়ারিং! আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাজবেন্ডB-)B-)B-)B-)!

আর আমার হোম মিনিষ্টার চাকুরীজীবি আর চাকরির জায়গাতে যেতে হত ট্রেন, সি এন জি, ভ্যান এবং সর্বশেষ হন্টন এর সাহায্যে। খেতে হয়েছে রাস্তার পাশের হোটেলের খাবার। এত কষ্টের পর আবার অপারেশন টেবিল আর তার পরবর্তী হাসপাতালে অবস্থান। তারপরে হতে পেরেছে মা। নাহ! আসলেই আমি ভাগ্যবান, পুরুষ হয়ে জন্মেছি বলে। কত সহজে অল্প পরিশ্রমে বাবা হয়ে গেলাম।

এত কিছুর পরেও আজ সকালবেলায় যখন ও ছেলেটিকে খাওয়াতে খাওয়াতে বলছিল, “হুমম মায়ের এই ঋণ কিভাবে শোধ করবি?” তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা বলতো ও তোমার কাছে ঋণী কেন বা কি কারণে? তারপর দু’জনে আলোচনা করে দেখলাম এবং একমত হলাম (কি আশ্চর্য্য দুজনে একমত;););)) আসলে আমাদের ছেলে কোনভাবেই আমাদের কাছে ঋণী নয়।
- কেননা এই বাচ্চাটি পৃথিবীতে আসার জন্য আমাদের কাছে কোন অনুরোধ জানায়নি, আমাদের দু’জনেরই দরকার ছিল ওকে। তাই ঋণী যদি কেউ হয় আমরা দুজন।
- ও মায়ের গর্ভে থাকার সময় ওর মাকে যেই শারিরীক ও মানসিক কষ্ট আর বাবাকে মানসিক দুশ্চিন্তার (বিশাল কাজ কইরা ফালাইছি:D:D:D) মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেটা অপারেশন থিয়েটারেই ও দূর করে দিয়েছে যখন ওকে আমরা স্পর্শ করেছি।
- রাতের বেলা বারবার ঘুম থেকে উঠে ওকে খাওয়ানো আর কাপড় পালটে দেয়ার কষ্টের ঋণ এক নিমিষেই শোধ হয়ে যায় ওর একটি হাসিতে।
- কিছুদিন আগে ইউরোপ ভ্রমনের একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল, যাইনি, কারণ ছেলে আর তার মায়ের যাওয়ার সুযোগ ছিলনা। আমি কি এ কাজ করে ওকে ঋনী করে ফেললাম। না, ও এই বয়সে ইউরোপের কি ই বা বুঝবে। আমি যাইনি আমার ভাল লাগবেনা বলে। নিজের স্বার্থটাই বড় ছিল এক্ষেত্রে।
- ভবিষ্যতে ওকে একটু ভাল রাখার জন্যে কত কিছুই না করব, কিন্তু তাতেও কি নিজের স্বার্থ টাই বড় ভূমিকা রাখবেনা? “দেখ দেখ এই তুখোড় ছেলেটির বাবা মা এরা” এই কথাটি শোনার জন্যই কি আমরা খেয়ে বা না খেয়ে ওর পড়ার ব্যবস্থা করব না?

তাই যদি হয় এই ঋণ কথাটি কেন আসছে? তাই দু’জনে মিলে ঠিক করলাম ‘মা বাবার প্রতি সন্তানের ঋন’ এই মনোভাবটি কখনই নিজেদের মনে স্থান দেবনা। কারণ পাওনাদার প্রায়ই ঋন পরিশোধের জন্য দেনাদারের উপর অন্যায় চাপিয়ে দেয়।

সবাই দোয়া করবেন আমাদের ছেলেটি যেন ঋণী হয়ে বড় না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×