অব্যস্থাপনা আর যাত্রী দূর্ভোগের নাম বিনিময় পরিবহন। পরিবহনটিতে উঠলে আপনি অতি সহজেই বুঝতে পারবেন স্বেচ্চারিতা কাকে বলে? সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় নামে কোন মন্ত্রনালয় আছে বলে আপনার মনেই হবে না।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টায় বিনিময় পরিবহন কাউন্টার। ঠিক ভোর ৫ টায় একটা গাড়ী ছেড়ে যায়। এক জন যাত্রী গাড়ীর সুপারভাইজারকে প্রশ্ন করলে উত্তর- পরেরটা ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। কাউন্টারে অতিরিক্ত যাত্রী দেখে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে ২০০ টাকার নির্ধারিত ভাড়ার স্থলে সেটা বাড়িয়ে ২৫০ করা হলো। যাত্রী সেটা মেনে নিল, সমস্যটা এখন অন্য যায়গায়। ৫ টা ২০ অতিক্রম কিন্তু গাড়ী ছাড়ছে না, কয়েক জন যাত্রী গাড়ী না ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজারের উত্তর গাড়ী ৬:৩০ এর আগে ছাড়বে না, মন চাইলে যান না চাইলে নাইমা যান। এক যাত্রীর সাথে তুমুল ঝগড়া, এক পর্যায়ে ড্রাইভার বলল মালিকরা টাকা দিয়া গাড়ী কিনছে কোন আইন বুঝি না, মালিক সমিতি যেভাবে মনে করব সেভাবেই গাড়ী চলব মন চাইলে যান না চাইলে নাইমা যান। ঠিক এই সময় মালিক সমিতির সেক্রেটারী কাজল সাহেব এসে যাত্রীদের বললেন এটা কি মঘের মল্লুক? (অর্থাৎ তাদের সিন্ধান্তই মেনে নিতে হবে, আইন বা নিয়ম বলে কোন কথা নেই তাদের কাছে ) অথচ গাড়ীর অধিকাংশ যাত্রী সকালের অফিস ধরবে। এই পয়রিবহনটি কোন উৎসব বা লম্বা ছুটি বা যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলেই ঠিক একম রকম কায়দায় গাড়ীর কৃৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে। আবার সাধারণ সময় গাড়ী সিটিংয়ের পরিবর্তে দাড়িয়ে যাত্রী বহন করে, যা দূর পাল্লা আইনে দন্ডনীয়। তাদের উত্তর একটাই মালিক সমিতির সিন্ধান্ত।
টাঙ্গাইল-১ আসনের সংসদীয় এলাকা ধনবাড়ী-মধুপুর। একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম চাবি-কাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ও বিদুৎ। অথচ এই দুটির অবস্থা এতই খারাপ তা বলার মত নয়। যদিও এখানে বিদুতের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভাল, তবে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রে এটাকে ভাল বলা যাবে না। পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর অনেক এগিয়ে। এই অঞ্চলের ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সড়ক পরিবহন। আর প্রভাবশালীরা এটাকেই জিম্মি করে রেখেছে। আমাদের দেশে অনেক ভাল ভাল পরিবহন সংস্খা রয়েছে, কিন্তু এই সিন্ডিকেটের কারণে অন্য কোন পরিবহন এই রোডে প্রবেশ করতে পারে না এমনকি সরকারি পরিবহন সংস্থা বি. আর. টি. সি. ও পারে নাই। এই পরিবহনটির মালিক কারা? সহজ উত্তর স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। জনগণের সেবকেরা। দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক এই মূর্হুতে এই অঞ্চলের নেতাদের এত অধপতন কেন? আমরা কি ১৯৭১ সালে এই জন্য স্বাধীন হয়েছিলাম? আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কেন এত দূরে? মুজিব কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, আর এই অঞ্চলের নেতারা!!! উল্লেখ্য নতুন করে ছাড়া হয়েছে বিনমিয় এসি যাহার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা অথচ দূরত্ব মাত্র ১৪৪ কিমি (খাঁজা সূপার মার্কেট, কল্যানপূর থেকে -ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল পর্যন্ত)।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯