somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

আমার বুয়া কাহানী.. পর্ব-৪

১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাজনৈতিক ঢামাঢোলে কিছু লিখার চেয়ে পড়তে ভাল লাগে ........ তারপরও আবার বুয়া পর্ব নিয়ে বসলাম......

পত্রিকার পাতা খুললেই কাজের মেয়েদের নির্যাতনের নানা কাহিনী দেখি যা অবশ্যই ঘৃন্য কিন্তু তারা ও যে আমার মত আবুলদের পেলে দেখিয়ে দিতে পারে কত ধানে কত চাল তার বর্ননায় আমার এ পর্ব..... আশা করি ভবিষ্যতে সাবধানতার জন্য এ পর্বগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।

পর্ব-৩

বুয়া শাশুড়ি আর বুয়া ননদ পর্ব সমাপ্তির পর আমার জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হলো......আমার ছেলের জন্ম। এবার মা আর শাশুড়ি মা মহা টেনশানে পড়ে গেলেন.. কিভাবে বাচ্চা সামাল দিয়ে আমি অফিস করবো। নতুন বুয়া খোজার কাজে দুজনে লেগে পড়লেন আর এ বুয়া কাজে যেমন ভালো হবে তেমনি বাচ্চাকেও দেখাশুনা ঠিকভাবে করতে পারবে।

মা অনেক খুজে স্কুলের এক মধ্যবয়স্ক আয়াকে বের করলেন যে ঢাকায় চাকরী খুজছে..... যাহোক মাসিক ৩০০০ টাকার বিনিময়ে সে আমার বাসায় যোগদান পত্র দিল। কিন্তু আমার মনে একটু সন্দেহ উকি দিল.... তার নিজের বাসা ছেলে মেয়ে ফেলে মাত্র ৩০০০ টাকা বেতনে ঢাকায় কেন যাবে? জিঙ্গাসা করতে বললো, তার ঢাকায় চাকরী করার অনেক দিনের শখ তাই। যাহোক আমার এতো ঘাটার কি দরকার.... কাজ হলেই হলো। আমিও তাকে যথারীতি কাজে এপয়েন্ট করলাম।

নতুন বুয়া ভালই কাজে কর্মে আমার ছেলের ও ভালই যত্ন নিচ্ছে কিন্তু সমস্যা হলো বাসায় যেহেতু টি এন্ড টি নাই আমি বাসায় আসা মাত্রই বুয়া আমার মোবাইল দখল নেয় এবং মোটামুটি সারারাতই কথা বলে। কার সাথে এতো কথা বলো জিঙ্গাসা করতেই খুব রেগে গেল....বললো , ছেলে মেয়ে স্বামী সবাইকে রেখে আসছি একটু কি খোজ ও নিতে পাবো না...!!!! আমি বললাম, তাই বলে প্রায় সারারাত কথা বল??? যাইহোক বেশী কথা বাড়ালাম না পাছে আবার বলে কাজ করবো না।

কয়দিন পর আমার কাছে মোবাইল নিয়ে এসে বললো, আমার এক ভাই আমার সাথে দেখা করতে আসবে আপনি তাকে মোবাইলে বাসার ঠিকানা বুঝিয়ে দেন। আমিও যথারীতি বাসার বিষদ বর্ননা সহকারে ঠিকানা দিলাম। একদিন বাসায় ফিরে দেখি বাসায় বিশাল আয়োজন.. রোস্ট.. পোলাউ.. .ফিরনি.... কি ব্যাপার বুয়া এতো আয়োজন কেন? আফা আমার ভাইটা অনেকদিন পরে আসলো তাই একটু ভালো মন্দ রাধলাম..। ঠিক আছে বলে এড়িয়ে গেলাম... কিন্তু না আমার সকল ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে তার সেই কথিত ভাইটি প্রতিদিন আসা শুরু করলো। এভাবেই চলছিল কয়দিন... আমি ও সহ্য করছি, এ দূর্মুল্যে বাজারে নতুন কাজের লোক কোথায় পাব??

এভাবে মাসখানেক যাওয়ার পর আমার হাজব্যান্ড অফিসের কাজে বাইরে গেছে এমন এক বৃহস্পতি বারে বুয়া এসে বললো ..... আফা, আমার ভাই রওনা দিছে সেই আইজ রাতে এখানে থাকবে। মানে!!!! আমি আতকে উঠলাম.... আমার হাজব্যান্ড বাসায় নেই এখন সম্পূর্ন অপরিচিত লোককে কিভাবে থাকতে দেই বলতেই বুয়াকে মারাত্বক ক্রেজি হয়ে গেল।বুয়া তার যুক্তির ভান্ডার খুলে ধরলো..... তাতে আপনার অসুবিধা কই প্রতি বিস্বতবার রাতে আইবো আর শনিবার চইলা যাইবো। একয়দিন দিনে আইসা তার কামের মেলা খেতি হইছে, ভাইজান তো এখন নাই...আফনের সমস্যা কি... হেই আমি গেস্ট রুমে থাকুম...ইত্যাদি.... ইত্যাদি.... । হেই আমি গেস্ট রুমে থাকুম মানে !!!!!! ডালমে কুছ কালা হায়......... আস্তে আস্তে বুয়াকে মধুর আলাপে মুগ্ধ করে...কিছুটা জেরা করে ঘটনাটা জানতে চাইলাম.. লোকটি তার কেমন ভাই.. কি এমন দরদ বোনের প্রতি ...কেন প্রতিদিন দেখা চাই..... কেন এখন রাতেও থাকা চাই.....???

আস্তে আস্তে রহস্যের জট খুলতে লাগলো ..... আগে বুয়ার প্রতিবেশী ছিল এবং এখন বুয়ার এটি দ্বিতীয় স্বামী কিনতু কারও ফেমিলি জানে না। তাই বুয়া দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বুদ্ধি করে ঢাকায় এসেছে কারন সে লোক ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে....। আমি খুব ক্ষুদ্ধ হলাম.. ছি: বুয়া, তোমার ছেলে মেয়ে স্বামীর সাথে এভাবে প্রতারনা? আমার বাসায় এ অন্যায় করে যাচ্ছো দিনের পর দিন? বুয়া আমার সাথে তেড়ে আসলো... ইস্ কি এমন অন্যায় রে... আমরা কিছু করলেই দোষ..... আফনাগো কাহানি কি জানি না.. এই বলে তার অভিঙ্গতার ঝাপি খুলা শুরু করলো যাবতীয় নোংরা কাহিনী দিয়ে... ইত্যাদি.. ..ইত্যাদি.... .। আমি বুঝলাম এর বেশি কিছু বললে পরে না দুই প্রেম দেওয়ানা আমাকে কিছু করে বসে... বাসায় একা বাচ্চা নিয়ে আছি.....। তাই পত্রপাঠ বিদায় দিলাম আর ৪র্থ পর্বের শেষে আমার ৫ম পর্বের দিকে পা বাড়ালাম আর কি.....

আমার আগের পর্ব ৪র্থ ......

http://www.somewhereinblog.net/blog/belablog/29819241

পরের বর্ননার অপেক্ষায় থাকুন...যদি ধৈর্য্য থাকে আরকি....

(বি:দ্র: পুরান ছবিটাই দিতে হলো কারন কেন যেন নতুন ছবি আপলোড করতে পারছিনা)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০০
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×