তুমি যখন কোথাও চাকরীর জন্য এপ্লাই করো তখন তারা যেমন তোমাকে চিনে না তেমনি তুমিও তাদের চিনোনা। তোমাদের পরিচয়ের মাধ্যম একমাত্র সিভি। তাই সিভি একটি অসম্ভব প্রয়োজনীয় অধ্যায় চাকরীর বাজারে। সিভির মাধ্যমেই ব্যাক্তি তুমিকে যেমন পরিচয় করাবে তেমনি একাডেমিক ছাত্র হিসেবেও তোমার পরিচয় তুলে ধরতে হবে। তাই সিভি তৈরীতে হতে হবে সতর্ক।
আগের পর্বে সিভি রাইটিং এর ক্ষেত্রে বেসিক কিছু দিকনির্দেশ ছিল এ পর্বে কিভাবে সিভি তৈরী করবা তার কিছু বেসিক টিপস্ নিয়ে আসলাম....
সিভি সবাই তৈরী করে কিন্তু তোমার সিভি কেন সবার থেকে আলাদা হবে?? সাদামাটা সিভি সবাই তৈরী করবে আর তোমার সিভি যদি সবার থেকে আলাদা বৈশিস্ট্যের হয় তাহলে অবশ্যই তা নিয়োগকারীর চোখে পড়বে। আর প্রথমেই যদি পজিটিভ ইম্প্রেশান তৈরী করতে পারো তাহলে ইন্টারভিউতে তার ভালো এফেক্ট পড়বে নিশ্চয়।
তাহলে কি করবে সিভি তৈরীতে :
মনে রেখ মাত্র দু'পাতাতে তোমার যাবতীয় বর্ননা তুলে ধরতে হবে তাই লিখা হতে হবে নির্ভুল, সংক্ষিপ্ত কিন্তু সঠিক বর্ননা সহকারে।
প্রথমেই প্যারাতে তোমার নাম, বর্তমান এড্রেস, টেলিফোন নাম্বার দিতে পারো বুলেট আকারে।
দ্বিতীয় প্যারাতে তুমি তোমার এডুকেশানাল ডিটেইলস্ দিবে। লাস্ট কোয়ালিফিকেশান থেকে পুরাতনগুলা দিবা। ইচ্ছা হলে বক্স আকারে দিতে পারো। তবে অবশ্যই ডিগ্রি, ইয়ার, ইন্সটিটিউশান নাম, ইউনিভার্সিটি বা কলেজের নাম, তুমি কোন এরিয়া তা উল্লেখ করবা। মোটামুটি রেজাল্ট হলে তা ও উল্লেখ করতে পারো কিন্তু রেজাল্ট এ থার্ড ক্লাস থাকলে উল্লেখ না করাটা ভালো এতে প্রথমে ইম্প্রেশান খারাপ হলেও হতে পারে।
তারপর প্যারাতে তোমার অবজেক্টিভ বা তোমার কি কম্পিটেন্সি লিখতে পারো। এতে তুমি তোমার সম্পর্কে ভালো ভালো কথা লিখবে। নিজের ঢোল নিজে না পিটালে অন্যের কাছে দিলে তা ফাটিয়ে ফেলতে পারে। তবে এতো বেশি ঢোল পিটাবে না যে নিজেই তা ফাটিয়ে ফেলবা.... এই প্যারাতে তুমি কত বছর ধরে কাজ করছো, কোন কোন অর্গানিজেশানে কাজ করছো ও কোন কোন এরিয়াতে তোমার কম্পিটেন্সি আছে তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারো। সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ শব্দ লিখবা। খুব ডিটেইলসে যাবে না।
তারপর প্যারাতে তোমার সাক্সেস হিস্ট্রি বর্ননা করবা। অর্থাৎ তোমার চাকরী জীবনের এচিভমেন্ট বর্ননা করবা। কি কি কাজে তুমি সাক্সেস হয়েছো তা বুলেট আকারে দিতে পারো। আর যারা চাকরীতে নতুন তারা এ প্যারা এভোয়েড করতে পারো। তবে বানিয়ে কিছু লিখতে যাবে না। অতি চাপাবাজির ফল ভালো হয় না। চাকরী জীবনের শুরুতে সাক্সেস হিস্ট্রি না থাকাই স্বাভাবিক। তবে ধীরে ধীরে তা হবে। তবে এ ধরনের কোন এচিভমেন্ট থাকলে তুমি প্রমান রেখে দিতে পারো।
তাহলে সাক্সেস হিস্ট্রি বলতে কি বুঝি??? যেমন, তুমি কোন ওয়ার্কশপ এ্যারেন্জ করেছো তোমার অর্গানিজেশানের হয়ে... তার বর্ননা বা তুমি কোন এ্যাপ্রিশিয়েশান পেয়েছো অথবা তোমার নতুন কোন আইডিয়া এ্যাক্সেপ্ট হয়েছে.... তার বর্ননা ও দিতে পারো।
তারপর প্যারাতে তুমি তোমার ট্রেনিং এর বর্ননা দিতে পারো অর্থাৎ তুমি তোমার চাকরী জীবনে বা তার বাইরে যত ট্রেনিং পেয়েছো তার বর্ননা দিবা। কি ট্রেনিং, কোথায় পেয়েছো, কতদিন, কে অর্গানাইজ করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি এতে তোমার কোন এচিভমেন্ট বা আইটস্টেন্ডিং রেজাল্ট থাকে তা ও বলতে পারো।
আজ থাক ... বাকী কথা পরের পর্বে বলি .. কি বলো...........
আর হাঁ ছবিগুলো বোনাস......
.. আগের পর্ব যাদি পড়তে চাও.........
http://www.somewhereinblog.net/blog/belablog/29933596