somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

আপনার শিশু সন্তানকে কিভাবে বাচাঁবেন নরপশুদের হাত থেকে !!!!!

২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বি:দ্র: সবার অনুরোধে অবশেষে ঘন্টাখানেক পরিশ্রম সঙ্গে একটা মিটিং ক্যান্সেল করে লিখাটা শেষ করলাম। ভালো হলো কিনা জানি না... তারপর ও চেস্টা...

শিশু যৌন নির্যাতনের উপর একটি সচেতনমূলক পোস্ট কয়দিন থেকে স্টিকি করা হয়েছে যা হয়তো অনেকে পড়েছেন আবার হয়তো এ বিষয়ে জেনে অবাক ও হয়েছেন কিভাবে নিজেদের মধ্যে ভালো মুখোশের আড়ালে হায়েনা বাস করে যে আপনার কোমল শিশুটিকে ধর্ষন করার জন্য উৎ পেতে থাকে।

কিন্তু এটাই বাস্তবতা যে পরিমলরা যেমন নামকরা স্কুলের ছাত্রীদের রেহাই দেয় না তেমনি গ্রামের অক্ষাত স্কুলের ছাত্র ও রেহাই পায় না এসব মুখোশধারী শয়তানদের হাত থেকে। আপনারই অগোচরে আপনার আদরের সন্তানটি যে আপনার খুব বিশ্বাসী বন্ধুর দ্বারা নিগৃহিত হচ্ছে না তার গ্যারান্টি কোথায়!!!!!

আর সে কারনে আমাকে আপনাকেই সাবধান হতে হবে। আমাদের সন্তানকেই আমাদেরই বাচাঁতে হবে। ফেইসবুকে পাওয়া চমৎকার এ লিখাটিতে "কিভাবে আপনার শিশু সন্তানকে সেক্সুয়াল এবিউজ থেকে বাচাঁবেন" তার কিছু টিপস্ দেয়া আছে যা সকল মা/বাবার অবশ্যই পাঠ্য ....... এ লিখাটি অরিজিনাল ভার্সান ইংরেজিতেই ... তবে মূল অর্থ একই রেখে আমাদের সমাজের আঙ্গিকে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা সহকারে আমি বাংলায় অনুবাদ করে শেয়ার করলাম।

১) আপনার সন্তানকে কখনই কারো কোলে বসতে দিবেন না বা তাকে জড়িয়ে ধরে কাউকে আদর করতে দিবেন না। বিশেষ করে বাচ্চা যখন একটু বড় হয়ে যায়। এমন কি সে আপনার যতই নিকট আত্বীয় হোক না কেন। শুনতে খারাপ লাগলেও মনে রাখবেন আপনার ভাইয়ের কাছে ও আপনার সন্তান নিরাপদ নয়। শিশুরা কিন্তু প্রথম নির্যাতিত হয় খুব কাছের কারো দ্বারা যেমন কাজের লোক, আপন মামা/চাচা/খালু/ফুফা।

আরেকটি বিষয়, আমরা মোটামুটি মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ। আমাদের বাসায় প্রায় আত্বীয় স্বজন বেড়াতে আসে আর আমরা জায়গার অভাবের কারনে আমাদের সন্তানকে তাদের সাথে রাতে থাকতে দেয়। আপনি কখনই তা করতে দেবেন না। আপনার অগোচরে সেই হয়তো আপনার সন্তানকে নির্যাতন করছে রাতের পর রাত। আপনার শিশু তার উপস্থিতিতে আপনাকে কিছুই শেয়ার করতে পারছে না।

২. আপনার শিশু সন্তানকে কখনই কারো সামনে কাপড় পাল্টাবেন না এমন কি নিজেও পাল্টাবেন না। ওদেরকে শিক্ষা দিন যে কাপড় পাল্টাতে হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে কখনই কারো সামনে নয়।

মার্জিত ড্রেস পরার শিক্ষা দিন.... হট/সেক্সি লাগছে তাকে এ ধরনের কথা কাউকে বলার সুযোগ দিবেন না বা উৎসাহ দিবেন না। বয়সের সাথে সাথে ড্রেসকোড তাকে শেখান বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চাদের।

৩. অনেকেই আপনার শিশু সন্তানকে আদর করে আমার বউ বা আমার ছেলের বউ বা আমার ডার্লিং বলে ডাকে। কখনই তা প্রশ্রই দিবেন না। আপনি হয়তো জানেন না এ ডাকের পিছনে ভিন্ন কোন উদ্যেশ্য থাকলে ও থাকতে পারে।

৪. আপনার শিশু সন্তান যখন কোথাও খেলতে যায় তখন অবশ্যই নজরেও রাখবেন, সে কি ধরনের খেলা খেলছে বা কাদের সাথে খেলছে কারন দেখা যায় খেলার ছলে ইয়ং ছেলেদের দ্বারাই বেশী যৌন হয়রানির শিকার হয় বাচ্চারা অথবা সে বাসার বড় কারো দ্বারা সে নির্যাতিত হচ্ছে আপনার অজান্তে।

এছাড়া ও নিরব সময় যেমন দুপুর বেলা যখন আপনি ঘুমে থাকেন তখন অবশ্যই বাচ্চাদের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দিবেন না।

৫. এমন কোন আত্বীয় বা বন্ধুদের বাসায় আপনার শিশু সন্তানকে জোর করে পাঠাবেন না যেখানে সে কমফোর্ট ফিল করে না বা সে সেখানে যেতে চায় না অথবা এমন কোন আত্বীয়র কাছে পাঠাবেন না যেখানে সে আগে খুব পছন্দ করতো যেতে এখন সেখানে যেতে চায় না। এক্ষেত্রে খতিয়ে দেখুন কোন সমস্যা নিশ্চয় আছে!!!!

অথবা কোথায় সে খুব উৎসাহ নিয়ে এখন যেতে চায় যা সে আগে চাইতো না তা ও দেখবেন খতিয়ে।

৬. আপনি হঠাৎ খেয়াল করলে আপনার উছ্ছল প্রানবন্ত শিশু সন্তানটি খুব চুপচাপ হয়ে গেছে.... আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে কেন সে এমন আচরন করছে। ওকে অবজার্ভ করুন। তারপর ধীরে ধীরে কৌশলে তা জানার চেস্টা করুন কারনটি। মনে রাখবেন শিশুটির আচরন বদলে যাওয়ার পিছনে অবশ্যই কিছু আছে..... আপনিই ওর সবচেয়ে আপন, আপনি যদি তার সমস্যার সমাধান না করেন তাহলে কেউই করতে পারবে না।

৭. যৌন শিক্ষা বিষয়ে আপনি হবেন ওর আসল শিক্ষক। যৌন শিক্ষা দিতে আপনাকেই সাবধানভাবে এগিয়ে আসতে হবে কারন আপনিই একমাত্র তাকে এ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে সঠিক পথে শিক্ষা দিতে পারবেন। আপনি তাকে যৌন বিষয়ে শিক্ষা না দিলে সমাজই তাকে শিখাবে তবে তা সম্পূন্য ভুল ভাবে।

৮. টিভি বা যেকোন শো/কার্টুন/সিনেমা বাচ্চাদের দেখানের অাগে নিজে দেখে নিবেন এতে আপত্তিকর কিছু আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তবে তাকে বুঝিয়ে তা দেখা থেকে বিরত রাখুন (অবশ্যই জোর করে নয়)।

আমার বাচ্চা ডিসকোভারী চ্যানেল খুব পছন্দ করে তবে আমিই তাকে বেছে দিয়েছি কোন কোন শো সে দেখবে ... এডাল্ট শোগুলো আমি তাকে দেখতে বারন করেছি, তাকে বুঝিয়েছি কেন তা দেখা উচিত নয়। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় কারন অনেক এ্যনিমেল শো তে ও পশুর সেক্স দেখায় যা তাকে বিব্রত করতে পারে। সুযোগ থাকলে নিজে পাশে থাকেন এ ধরনের টিভি শো দেখার সময়।

আর দয়া করে জি বাংলা বা স্টার প্লাসের মতো চ্যানেলগুলো থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখেন। আপনি জানেন না আপনার অজান্তে তাকে কতটা নিচে নামাচ্ছেন.... অসুস্থ পরিবেশ, প্রেম, পরকীয়া, কুটনামী, অতি সাজগোজ, সেিক্সি ড্রেস, ঝগড়া, কুটকৈাশলী বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন তাকে দিনের পর দিন।

৯. অনেক আপত্তিকর চ্যানেল আছে যা চালু থাকলে আপনার সন্তান কৌতুহলী হয়ে তা দেখতে চাইবে। অবশ্যই তা বন্ধ রাখুন। নিজেও দেখবেন না ওকে দেখাবেন না। কারন শিশুদের কৌতুহল অনেক বেশী আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবারই কৌতুহল আরো বেশী থাকে।

তবে অনেক বেশী সাবধান হবেন ইন্টারনেট এর পর্ন সাইটগুলোর ব্যাপারে। ব্লগার জিসান এর পর্ন সাইট ব্লক করার পরামর্শ আমার ভালো লেগেছে। আপনার সন্তান কি ধরনের সাইট ভিজিট করে নজরে রাখুন। ওকে নৈতিক শিক্ষা দিতে চেস্টা করুন। একদিনে তা সম্ভব নয় তা ধীরে ধীরে করুন।

১০. আপনার শিশুকে বলুন কখনই কাউকে যেন এলাউ না করে যৌনাঙ্গ হাত দিতে। আর এমন কিছু ঘটলে অবশ্যই আপনাকে যেন জানায়।
তার যৌনাঙ্গ কিভাবে পরিস্কার রাখতে হবে আপনি নিজেই তা শিখান। তাকে যৌনাঙ্গ নিজে পরিস্কার রাখার প্রয়োজনীয়তা শিক্ষা দিন। তবে মনে রাখবেন ৩ বছরের পর থেকে আপনিও তার অঙ্গে হাত দিবেন না।

১১. আপনার শিশুকে সব ধরনের পর্ণ উপাদান থেকে দূরে রাখবেন, তাকে বোঝান এর খারাপ দিক। মিউজিক, ভিডিও, ছবি, মুভি এমন কি কোন নিকট আত্বীয় যাকে আপনার কোন কারনে সন্দেহ হয়, তার থেকে দূরে রাখেন। খেলার ছলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে কারো হাতেই শিশুকে দিবেন না।

শিশু লুকিয়ে কিছু করছে কিনা ডিটেকটিভ হিসেবে নয় মা/বাবা হিসেবে জানতে চান। ওর বন্ধু হোন শত্রু নয় কিছুতেই। আপনার অতি খবরদারী কিন্তু শিশুকে ওই খারাপ পথেই ঠেলে দিবে তাই বেশী শাসন নয, পরিমিত বিহেব করুন এ বিষয়ে। কেয়ারফুল্লি কেয়ারলেস হোন সবসময়।

১২. অনেক ভিড়ের মাঝে অস্বস্তিকর স্পর্শকে চিনতে সাহায্য করনি। এ ধরনের স্পর্শ থেকে ওরা কিভাবে রক্ষা করবে নিজেকে তা বলুন। অযথা বকা বা পাহারা নয় ... ওদের বুঝিয়ে বলুন। ওদেরকে নিজেকেই বাচাঁর কৈাশল শেখান।

১৩. যদি আপনার শিশু কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বা কম্লেইন করে অবশ্যই তা গুরুত্ব সহকারে নিবেন, কোনভাবেই অবহেলা করবেন না হোক না আপনার খুব কাছের মানুষ। সে আত্বীয়কে হয়তো আপনি কিছু বলতে পারবেন না তবে নিজের সন্তানকে তো অন্তত বাচাঁতে পারবেন।

আমি চাইল্ড এবিউজ এর উপর কিছু কাজ করেছিলাম এক সময় এবং এক ট্রেনিং এ বিশ্বের নাম করা জেন্ডার স্পেশিয়ালিস্ট কামলা ভাসিন বলেছিলেন, "তুমি তোমার সন্তানের ব্যপারে কাউকেই বিশ্বাস করবে না"।

আমরা সে ট্রেনিং এ এমন কিছু সহকর্মীকে পেয়েছি যারা কিনা তার চাচা/কাজিন/দুলাভাই/কাজের লোক দ্বারা দিনের পর দিন এবিউজ হয়েছিল কিন্তু কাউকে বলতে পারেনি। কারন কেউ তাকে বিশ্বাস করেনি বা গুরুত্ব দেয়নি। অনেকদিন পর আমাদের মাঝে মানসিক আর শারিরিক নির্যাতনে কথা বলতে পেরে অঝরে কেঁদেছিল।

আপনি কি বুঝতে পারেন এ ধরনের ঘটনার ভিতর দিয়ে গেলে শিশুটির স্বাভাবিক ভাবে বড় হতে কতটা বাধাঁর সৃষ্টি হয় তার মনযোগতে।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

অরিজিনাল লিখাটা...
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
৪৩টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×