জীবন যেখানে যেমন.....সামারের সময় কানাডা আম্রিকা মানেই ঘুরাঘুরি। হাফ প্যান্ট, গেন্জি আর পায়ে স্যান্ডেল পরে বেরিয়ে পড়ো। আমাদের মতো খাওয়া দাওয়া নিয়ে চিন্তা করে না কেউ। যা পায় তাই খায়। আর চেইনসপ টিমহর্টন আছে প্রতি কোনায় কোনায়, সস্তায় এর চেয়ে আর কোন খাবারের দোকান নেই কানাডায়। মনে পড়ে একবার সুইজারল্যান্ডের কান্ট্রি সাইড ইর্ন্টালকানে ঘুরতে গেছিলাম। আমার সাথে বাকি টিমমেটরা একটা ভাতের দোকান খোঁজে টানা ২ ঘন্টা ঘুরেছিল। অবশেষে তারা ২৭ সুইস ফ্রা মানে ২৭০০ টাকা দিয়া দুইখান ডিম পোজ সহ এক পিস ব্রেড খাইছে আর আমি মাত্র ৭ ফ্রা দিয়া বিশাল বার্গার খাইয়া সারাটা সময় দৈাড়াইছি...
যাকগা্.... আসেন এই বন্দী জীবনে একটু নায়াগ্রা ঘুইরা আসি। শুধু নায়াগ্রা না তার আশেপাশে যতটা দেখার মতো সাইট আছে সেখানেও একটু ঘুইরা আসি কি বলেন!!!!!!!!
বি:দ্র: ছবির সংখ্যা একটু বেশীই কারন কোনটা ছাইড়া কোনটা দেই সেটা মনস্থির করিতে না পারিয়া প্রায় সবই দিয়া দিলাম।
প্রথমেই বিশাল পানিরাশি। আমার শুধুই মনে হইছে আহ, একটু যদি ঝাঁপ দিতে পারতাম
এবার দেখি পাশের চমৎকার মাছ ধরার লেক, এটা নায়াগ্রার পাশেই। যে কেউ চাইলেই মাছ ধরতে পারে.... হাজারে হাজারে মাছ কিলবিল করছে। কানাডায় আপনি চাইলেই যেকোন লেক থেকে মাছ ধরতে পারবেন শুধু বছরে একটা লাইসেন্স নিবেন খুবই কম টাকা... তারপর ধরিবেন মৎস খাইবেন সুখে ........
ওইপাশে যা দেখতে পাইতাছেন ওইটা আম্রিকান এরিয়া। তবে কানাডার সাইডে বেশী পানি...
আচ্ছা যাক্ অনেক ঘুরছেন। একটু কিছু খাইয়া কিছু স্যুভেনির কিন্না নেই। বাট বহুত দাম, কিন্তু খাওয়া দাওয়া ঠিক আছে কারন টিমহর্টন আছে চারপাশে। আর ওটা দেশ না যে সুযোগ বুঝে দাম বাড়াবে
রেস্ট হইছে এবার আসেন ফ্লাওয়ারাল পার্কে ঘড়ি দেখি। আমােগো শাপলা ফুল ও আছে।
পার্ক দেখা শেষ। এবার আসেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখি। এরকম একটি আম্রিকায় ও আছে...
যদি পোলাপান নিয়া আসে ও তাদের আরো এ্যানার্জি থাকে নায়াগ্রা দেখার পর তাহলে এই চিল্ড্রেন পার্কে আসতে পারেন। অনেক গেইম ও এ্যাক্টিভিটিজ আছে সেখানে।
নায়াগ্রা তো দেখলেন তার শেষ বিন্দু দেখতে মন চাইলে এখানে আসতে পারেন..........
নায়াগ্রায় সাইট ভিজি ছাড়াও অনেক এ্যাক্টিভিটিজ আছে যেমন কেবল রাইড, রোপ রাইড বা বোট রাইড। চাইলে তাও করতে পারেন তবে কথা হলো নায়াগ্রা বিনা পয়সায় দেখলে ও এইগুলায় পয়সা দিতে হবে....
অনেক পানি দেখলেন এবার একটু পাখির রাজ্যে ঘুরে আসি... দা বার্ড কিংডম। সাথে আছে জাবানিস টি হাউস, পুরোনো দিনের জাপানী বাড়ি, অসাধারন। পাখিগুলা একটুও ভয় পায় না, চারপাশে ঘুরতে থাকে, দেখেন ছোট্ট মেয়েটার হাতে বসে আছে পাখি।
এবার একটু আঙ্গুর বাগানে ঘুরে আসি। যদিও আঙ্গুরের সিজন না তারপরও ক্ষেত দেখতে ও মন্দ না।
অনেক দেখা হলো এবার যাই নায়াগ্রাফল সিটি। অসাধারন সে স্বচ্ছ নদী। নিজেকে হারাবেনই আপনি। আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকার মজাই আলাদা।
এইসবগুলাই আমার ক্যামেরায় তোলা..........
উৎসর্গ : আমার বাবাকে। যে প্রথমেই হাত ধরে ঘরের বাইরে বের করেছিল আর বলেছিল কিছু শিখতে হলে বাইরে পা রাখতেই হবে। আমাদেরকে পুরো বাংলাদেশ ঘুরে দেখিয়েছিল।
(এটা কিন্তু রিপোস্ট )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৫