রাজ পরিবারের বিরেুদ্ধে ম্যাগান হ্যারির ইর্ন্টাভিউ নিয়ে রীতিমত মিডিয়া তোলপাড় চলছে। অনলাইনে ঢুঁকলেই দেখি সবাই হাজার হাজার গবেষনাপত্র, প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলছে!
রাজ পরিবারে কি এর আগে এমন কিছু ছিল না? এটাই কি প্রথম অভিযোগ?
রাজপরিবার কি সত্যিই রেসিস্ট?
কেন এমন করে রাজ পরিবারের বিরেুদ্ধে মুখ খুলেছে তারা?
কেন এমন অভিযোগ ম্যাগান হ্যারির?
সবার হাজারো গবেষনা দেখে আমিও কিঞ্চিত উৎসাহিত হয়ে গবেষনায় হাত দিলাম.... ।
প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলিয়া
পুরো রাজপরিবারের বর্তমান অবস্খানের পিছনের মূল হোতা কে? হাঁ, আমার মতে প্রিন্স চার্লস এর বর্তমান স্ত্রী ক্যামিলিয়া বলতে গেলে মূল হোতা! কিভাবে? আসেন উত্তরটা জানার জন্য কিছু বিশ্লেষন করি।
১) মা ডায়ানার জীবনের এমন পরিনতি তরুন হ্যারির মনে মারাত্বক প্রভাব ফেলে। পুরো বিষয়টি সে মেনে নিতে পারেনি। সে প্রতিশোধ নিতেই হয়তো এ্যাক্টর, ডিভোর্সী ও সম্পূর্ন ভিন্ন কালচারের কালো পরিবারের মেয়ে ম্যাাগানকে বিয়ে করে। তার মনের সে ক্ষোভে হয়তো ঘি ঢালে ম্যাগান।
২) রাজ পরিবারের সব বধু বা বর সবাই আসে কোন না কোনভাবে বৃটিশ বনেদি পরিবার থেকে। আর বনেদি পরিবার বা রাজ পরিবার সব সময়ই পরিবারের ক্যাচাল সুন্দরভাবে ঢাকনা দিয়ে রাখে। তাই সম্পূর্ণ ভিন্ন কালচার ও সাধারন পরিবার থেকে আসা ম্যাগান তা সহজে মেনে নিতে পারেনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে বেশী সময় নেই নাই। যা সে ইর্ন্টাভিউতে বলেছে।
৩) ম্যাগান হ্যারির রাজ পরিবার থেকে বের হয়ে যাবার ঘোষনায় রাজ পরিবারের সদস্যরা ভেবেছে ওরে এমন শায়েস্তা করতে হবে যাতে বাকি কেউ রাজ পরিবারে থেকে বের হবার সাহস না করে। যার কারনে রাজ পরিবারের সকল কার্যক্রম থেকে তাদেরকে বহিস্কার করা হয এক প্রকার। আর শাস্তি হিসাবে হ্যারির সকল ভাতা বন্ধ করে দেয়। একমাত্র মা ডায়নার সম্পত্তির কিছু অংশের ভাগ শুধু হ্যারি পেতো। তার উপর সবাই বলতে গেলে তাকে এক ঘরে করে ফেলে। বাবা প্রিন্স চার্লস, ভাই উইলিয়াম কেউই তার ফোন ধরা ধরতো না যা তাকে আরো ফ্রাস্টেটেড করে তোলে।
৪) রানী এলিজাবেথের বোন প্রিন্সেস মার্গারেট এর জীবনটা এক সময় দুর্বিসহ হয়ে উঠে কিন্তু সে মুখ খুলতে পারেনি বোনের নির্দেশে। ড্রাগ আর মাদকে ডুবে হতাশায় মারা যায় সে। রানীর দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স এন্ড্রু এর বিরুদ্ধে আন্ডার এইজ চাইল্ড সেক্সের অভিযোগের পরও কোনরকম ইনভেস্টিগেশানে যায়নি রানী। পুত্রের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা তাকে তা বাধ্য করেনি তা। অথচ প্রাসাদের কাজের মেয়ে ম্যাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর ইনভেস্টিগেশানের নির্দেশ দেন তিনি।
সেই প্রিন্স এন্ড্রু এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক থাকার পরও চার্লস এর সাথে সম্পর্ক গড়ে ক্যামিলিয়া। সব জেনে শুনেও চুপ থাকেন রানী। নিজের ছেলেকে এ পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে ডায়নার জীবনটা বিষিয়ে তোলেন আর তার পরিনতিতে ডায়নাকে মরতে হয়।
আজ যদি রানী তখন প্রিন্স চার্লস এর ঘাঁড় থেকে ক্যামেলিয়ার ভুত নামাতো তাহলে আজকে সবচেয়ে সুন্দর পরিবার হতো তার পরিবার। আর এরকম দা ক্রাউন নামের ডকুমেন্টারী বা ম্যাগান হ্যারির ইর্ন্টাভিউ নিয়ে অপ্রস্তুত হতে হতো না রাজ পরিবারকে।
গবেষনা শেষ! সবাই ভালো থাকেন।
রানী এলিজাবেথের বোন প্রিন্সেস মার্গারেট
রানী এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স এন্ড্রু
সতর্ককরণ বিজ্ঞপ্তি: যারা ভাবছেন দেশের কুটি কুটি সমস্যা মাথায় নিয়া আমি আসছি কুথাকার কোন ম্যাগান হ্যারির আর ক্যামেলিয়া নিয়া বকর বকর করতে.......। তাগোরে কই, লিখুম কেন মর্তে, ভালোইতো আছি গর্তে!!
ছবি: গুগুল মামা
ডায়ালগ : রাজিব নুর
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩০