আপনারা যে কি!! এই যে ক্যাঁচাল ম্যাঁচাল লাগাইবেন, একটু আওয়াজ টাওয়াজ দিবেন না আগে থেইকা! তাইলেতো কোমরে গামছা বাইধাঁ নামতাম। মারাত্বক দৈাড়ের উপ্রে ছিলাম ক'দিন তারপরও সময় কইরা উকিঁ দিছিলাম ক্যাঁচালে। কিন্তু একটু শান্তিতে যে ক্যাঁচালে করুম তাও পারলাম না। উকিঁ ঝুকিঁ দিতে দিতেই দেখি পোস্ট গায়েব। এ উপলক্ষ্যে নাট ভাই যা একটু শার্লক হোমস হওয়ার চেস্টা দেখা গেল, ভুয়া ভাইও কম যায় না..... নিজের গাট্টি পাট্টি নিয়া ঝাঁপায়ে পড়লো। তবে সবচেয়ে বৈশাখীর মেঘ মনে হয় দেখা গেলো করুনাআপুর মাথার উপ্রে!!! ফোল্ডার টোল্ডার ট্রান্সফার হইছে মডুর দরবারে। তাও তো উনার ভাগ্য ভালো যে এইটা ব্লগের ক্যাচাল!! এর বাইরে হইলো তো হয়তো উনারেই ফোল্ডারে ঢুকাইতো। তারপর একবারেই কন্ট্রোল ডিলিট বাটন ।
তবে আমি বেশী শংকিত ছিলাম চাঁদগাজি ভাইয়ের আকুল আবেদন নিয়া। ব্লগের ম্যাঁও প্যাঁও লেখক প্রশ্নপত্র ফাঁস জেনারেশন কেউ নাকি নাস্তিক মাস্তিক ধ্যাড়া ম্যাড়া শয়তান ডাকছে উনারে!!! তবে আমি জানি এইসব ম্যাঁও প্যাঁও ডাক, নুরু ভাই ভাইয়ের ট্যাও ট্যাও উনার কানের পাশ দিয়া উইড়া যায়! উনি উনার মতোই ডান্ডা মারিয়া যাবেন ।
কিন্তু এ ক্যাচার ম্যাচালে আবারো আমার নানুর ডায়ালগ মনে পড়লো, "ব্যবহারই বংশের পরিচয়"। নানুর কাছে জানতে চাইছিলাম কেন এরকম ডায়ালগ লিখা থাকে বাস বা ট্রাকের পিছনে? নানু হাসতে হাসতে উত্তর দিয়েছিল, গাড়ির সীটে পাশের জনের উপর ঘুমাইলেও যেন না জাগানো হয়। ঘুমন্ত মানুষকে ডিস্টার্ব করা অত্যন্ত নিম্ন বংশের পরিচয় । কিন্তু এ পাচ্যাল ক্যাচালে আমরা কিছু উচ্চ শিক্ষিত সৈয়দ বংশের দেখা পেয়েছি যাহারা আবারো মনে করিয়ে দিলো কারো ঘাড়ে ঘুমালেও কোনভাবেই ডিস্টার্ব করা যাইবে না। উহা বংশ মর্যাদার বিশেষ হানিকর!! এমনকি ইউরিন বাবল বলিয়া আক্ষায়িত করিবার পরও!!!
কিন্তু এ ধামাকাতে জাতীয় ইস্যু "মানবিক স্বামী" একবারেই চাপা পড়িয়া গেল। শুধুমাত্র ব্লগের কিছু আকুল মামুনুল ভক্ত বিভিন্নভাবে ইনায়ে বিনায়ে তার ফূর্তিবাজীকে জায়েজ করিবার জন্য কোমড় বাধিঁয়া মাঠে নামিয়াছে। এতে আখেরে তাদেরই ভালো। ইহাতে সাপ ও মরিলো, লাঠি ও ভাঙ্গিলো না। ঘরের বউরে ঠান্ডা করা গেল, বান্ধবী নিয়া ফূর্তি করা গেল, চার বিবাহ জায়েজ করা গেল ।
অবশ্য ইনারা দিনের বেলা নারীর স্বভাব নিয়া, শরীরের ভাজ নিয়া, কাপড় নিয়া, পবিত্রতা নিয়া....... ইনায়ে বিনায়ে রস-সঙ্গীতের ওয়াজ নিয়া বসেন। আর অন্ধকার হইবা মাত্রই তাহারা লেবাস খুলিয়া পরিপূর্ণ পুরুষ হইয়া উঠেন। আর ঝরনা বেগমদেরকে নিয়া হাটে মাঠে ঘাটে বাগান বাড়িতে ছুটেন। কিন্তু আমার দুক্ষ ব্লগের মতো শিক্ষিত একটি প্লাটফর্মে কিভাবে ভদ্রবেশী এ শিক্ষিত/ মানবিক/ উদার/ প্রতিবাদী মানুষগুলো মামুনুলের মতো পার্ভাটরে সাপোর্ট করেন ইনায়ে বিনায়ে হাদিস কোরআন এর উদাহরন নিয়া আসেন। আসলে সত্যটা হলো ভীতরে ভীতরে আমরা চরম নারী বিদ্বেষী। উপরে ভদ্রতার মুখোশটা মাঝে মাঝে না চাইলেও ঠিকই খুলে যায়।
যাহোক, ক্যাচাল বলেন আর রঙ্গ তামশা বলেন! কোথাও কোন ঘাটটি নেই আমাগো। কারন দু'দিন না যাইতেই এক পুলিশ মামু ডাক্তার মুভমেন্ট পাস না থাকিবার কারনে আপারে সোজা বাড়িতে ঠেলে পাঠাইলেন। তো পুলিশ ভাই ব্যারাদেরকে বলি, এই যে ডাক্তার আপা আপনার বাবার বা চাচার বা বোনের চিকিৎসা করার জন্য ছুটছিলেন। আপনি যে উনারে পথে আইন ঘাট দেখাইলেন, হাসপাতাল যাইতে দিলেন না। এখন হাসপাতালে বেডে থাকা আপনার সে আপনজনের চিকিৎসাটা করবে কে? আপনি?
ধিক্ আপনাগোরে! যে কষ্টটা এ ডাক্তার নামক শ্রেনীটা করোনার সময়টাতে যুদ্ধ করছে তার খবর কি জানেন? সারা বিশ্বের ডাক্তার নার্সদেরকে সালাম দিয়ে চলে সবাই। আর আমরা তার মুভমেন্ট পাস খুজিঁ! ...."দশকোটি বাঙ্গালি রেখেছো, মানুষতো করোনি!!!"
সবাই ভালো থাকেন। আর পুরো লিখায় জীবিত বা মৃত কারো সাথে কোন মিল খোঁজার ব্যার্থ চেস্টা করিবেন না!
আসুন একজন কালজয়ী লেখকের সাথে পরিচিত হই
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৭