ভুয়া মফিজ ভাই বিরিটেন চালায় তয় আমি ক্যানাডা না চালাইলেও অন্টারিও চালানোর মতই কাম করি। তাই কঠিন দৈাড়ের উপ্রে থাকি। এরই মাঝে পাগলা বান্ধবী এ্যালিসার ফোন। এ্যালিসা.. ও হইলো গিয়া অনেকটা আমাগো পদ্মপুকুর ভাইয়ের ঘুরান্টি টিমের লিডার। প্রায় আমাদের কান ধরে কোথাও না কোথাও নিয়া যায়। খাটিঁ কানাডিয়ান হইলে যা হয় আর কি, হঠাৎ তার মাথায় কোথাও যাওয়ার ভুত চাপলে আমাদের কারো রক্ষা নাই। কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান চলতেই তাকে। সকাল থেইকা প্রায় বার দশের ফোন ধরছি তার।
তাইলে তুমি যাইবা না কইলা।
অবশ্যই যামু না, এ উইকে এক হাজার কাজ। তা রাইখা আমারে হাতি দিয়া টাইনাও কোথাও নিতে পারবা না।
দশ মিনিট না যাইতেই আবার ফোন এ্যালিসার।
আবার কি হইলো?
তুমি তো এ ইউকে বিজি? তো শনি রবি বারেতো অফিস নাই এবং সোমবার লেবার ডে সরকারী ছুটি। তারমানে তিনদিন তোমার কাজ নাই তাই সেই হিসাব কইরা আমি এ তিন দিনের জন্য থাইজেন্ড আইল্যান্ড এ কটেজ বুকিং দিয়েছি।
মাথায় পুরাই বাজ!! কেমনে কি?? তুমি আমারে জিগাইবা না বুকিং দেয়ার আগে!! তোমারে না কইলাম আমি ঝামেলায় আছি! এক ক্যাটক্যাটা বুইড়ার ফাইল নিয়া দৈাড়ের উপ্রে আছি!
তুমি সারা জীবনই দৈাড়ের উপ্রে থাকো, ওইটাই তোমার জীবন। তাই এইটা নিয়া প্যারা নেয়ার কিছু নাই। তাইলে রেডি হও কাল বাদে পরশু রওনা দিমু।
মানে কি?? সারাদিন কাজ কইরা ৩ ঘন্টা হাইওয়েতে ১৫০ কিমি স্পিডে আমি ড্রাইভ করতে পারুম না। যদি যাইতে চাও পুরা ড্রাইভিং এর দায়িত্ব তোমার।
ও সব দাঁত বের কইরা হাসি দিয়া কইলো তাইলে রেডি সেট গো.............
৩ দিনের কম করে ৩ হাজার ছবি তুলেছি। এতো ছবি দেয়া সম্ভব নয়। তাই দর্শনীয় স্থান হিসেবে ছবি ও পোস্ট ২ পর্বে দিলাম। আশা করি সবাই খুব বেশী বিরক্ত হবেন না এতো ছবি দেখে।
ডে ওয়ান:
Gananoque city, কানাডার ফ্রান্স কলোনির পুরোনো একটি শহর। লরেন্স নদী ও থাউজেন্ড আইল্যান্ডের কারনে জনপ্রিয় টুরিস্ট সিটি। সারা শহর জুড়ে পুরোনো ঐতিহ্যের ছোয়া, চমৎকার অভিজ্ঞতা।
Thousand islands, সেন্ট লরেন্স নদীতে প্রায় ১৮৬৪ টি ছোট বড় আইল্যান্ড নিয়েই Thousand islands। এর কিছু মালিকানা কানাডার কিছু আমেরিকার। অনেক যুদ্ধের ইতিহাস এ নদীকে ঘিরে, তাই নদীর নীচে আছে অনেক শিপরেক। আমি সিটি শিপ ক্রুজের আড়াই ঘন্টার প্যাকেজ নিয়েছিলাম যা পুরো দ্বীপগুলো ঘুরে ইউএস পর্যন্ত গিয়েছিল। প্যান্ডেমিকের কারনে আমরা বোল্ট প্রাসাদে নামতে পারিনি কারন ওটার মালিকানা ইউএস এর।
অপূর্ব প্রাকৃতিক সৈান্দয্যের এ ৬ স্কয়ার ফুটের দ্বীপের মালিকানা পেতে মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলার হলেই চলবে। তবে এটা পেন্ডামিকের আগের হিসেব, এবার যা বাড়ির দাম বেড়েছে তাতে তো মনে হয় ৩০ মিলিয়ন মাত্র!!!
আজ এ পর্যন্ত, পরের পর্বে বাকি ছবি.................
বি:দ্র: কিছু ছবি ঘাড় বাঁকা করিয়া দেখিতে হইবে। ছবি সোজা করিবার কোন মন্ত্র আমার জানা নাই। দেখি ভুয়া মফিজ ভাই যদি দয়াপরবশত: গতবারের মত ঠিক করিয়া দেয়
উৎসর্গ: সকল ঘুরান্টি পাবলিক............
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮