গত কয়েক মাস যাবৎ একটি মেয়ে প্রায়ই আমাকে টেলিফোন করে। নিজের নাম বলে না, কোথা থেকে টেলিফোন করছে, কিংবা আমার কানাডার বাসার টেলিফোন নম্বরটা সে কি করে পেলো, সেটাও বলে না। তবে ওর কথা-বার্তায় এটা বুঝতে পারি, মেয়েটি আমাকে বেশ ভালো ভাবেই জানে। আমার খুঁটি-নাটি সব যেনো তার নখদর্পণে। সব থেকে অবাক করা ব্যাপারটি কি জানেন, মেয়েটি আমার সাথে খেলাধুলা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলে না। সে কথাও আবার এমন, যাকে বলে একেবারে অরুচিকর! কখনো তেতো, কখনো কড়া, মাঝে মাঝে অশ্লীল! আলাপকালে হঠাৎ করে সে এমন সব শব্দ উচ্চারণ করে বসে; যা মেয়েদের মুখে মানায় না। যা শুনে আমি নিজেই লজ্জায় পড়ে যাই।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেয়েটি আবার আমাকে টেলিফোন করেছিলো। আমি ‘হ্যালো’ বলতেই সে কুশলাদি বিনিময়ের তোয়াক্কা না করে সরাসরি বলে বসলো, ‘শুনেছেন নাকি ভারতের কমনওয়েলথ পল্লীতে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাথলেটদের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে একটি সাপ পাওয়া গেছে।’
সংবাদটা আমি দেখেছি ইন্ডিয়া টুডে’র ইন্টারনেট সংস্করণে। ওকে বললাম, ‘হ্যাঁ, দেখেছি।’
পত্রিকাটির উদ্ধৃতি দিয়ে আমি তাকে বললাম, ‘এ সম্পর্কে ভারতে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার তাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সব ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে আমরা সেখানে যেতে বা অবস্থান করতে পারি না। সাপ পাওয়ার ঘটনার পর আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট শঙ্কিত। যে কক্ষে আমাদের খেলোয়াড়রা থাকবে সেই কক্ষে সাপ পাওয়ার পরও নিশ্চয় আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের সেখানে যেতে বলতে পারি না....’
বিস্তারিত
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



