এ বছর (২০০৮) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফ্রান্সের জ্যঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও।
তিনি এক বিরল আত্মার মানুষ। একেবারেই ভিন্ন মানুষ। পশ্চিমের মানুষ হলেও তাঁর আত্মাটির গড়ন প্রাচ্যের ন্যায় মরমী । কেননা, এক সাক্ষাৎকারে ক্লেজিও বলেছেন: পশ্চিমা সংস্কৃতি বড্ড দানবিক হয়ে উঠেছে। শাহরিক এবং প্রাযুক্তিক দিকগুলির প্রতি এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে যে এর মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় বা আনুভূতিক প্রকাশমাধ্যমের সম্ভাবনাকে দমিয়ে রাখছে এই সংস্কৃতি। যুক্তিবাদের নাম করে মানুষের অজ্ঞাত ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে। আর এ-সচেতনতাই আমাকে অন্যান্য সভ্যতার প্রতি আকৃষ্ট করেছে।
তাই বলছিলাম জয়তু ক্লেজিও।
আপনার মতন আর যারা যারা আছেন তারা এখন এসে কুষ্টিয়া রেলষ্টেশনে নামুন, তারপর লালনের মাজারে ভিড় করুন গিয়ে। লালন বড় মানবিক। আর আপনি তো বললেন যে-পশ্চিমা সংস্কৃতি বড্ড দানবিক হয়ে উঠেছে।
লালনের কাছে এলে মানুষের অজ্ঞাত ব্যাপ্তির স্ফুরণ ঘটে।
উনিশ শতকের শেষের দিকে রবীন্দ্রনাথেরও তাই হয়েছিল।
আমাদেরও কারও কারও।
ভেবে অন্ত নাহি দেখি,
কার বা খাঁচায় কে-বা পাখি।
আপনি বলেছেন- শাহরিক এবং প্রাযুক্তিক দিকগুলির প্রতি এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে যে এর মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় বা আনুভূতিক প্রকাশমাধ্যমের সম্ভাবনাকে দমিয়ে রাখছে এই সংস্কৃতি।
হায়, আমরা আজ সেদিকেই যাচ্ছি। জেনেশুনে বিষ পান করছি আমরা।
আপনি বলেছেন-আর এ-সচেতনতাই আমাকে অন্যান্য সভ্যতার প্রতি আকৃষ্ট করেছে।
এই সরল স্বীকারোক্তির জন্য আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
জয়তু ক্লেজিও। আপনি দীর্ঘজীবি হোন। আমরা জানি, আপনি বাঙালি!
সাক্ষাৎকারের উৎস: অবনি অনার্য; আটর্স। বি ডি নিউজ টোইন্টিফোর .কম
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯