somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

** নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার এবং পুরুষ নির্যাতন **
আমাদের দেশে নারীরাই নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করেন। সংবিধানে আছে আইনের চোখে সবাই সমান। বাংলাদেশ এভিডেন্স এক্ট ১৮৭২ -এর ধারা অনুযায়ী এক বেক্তি অন্য এক বেক্তিকে দোষি করে বিচার চাইলে বাদিকে প্রমান করতে হবে যে বিবাদি দোষি। এ ধারায় বলা হয়েছে শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করা যাবে না। আইনের চোখে বাদি বিবাদি সবাই সমান। থানায় নারী নির্যাতন কেস করলে যৌতুক চাওয়া হয়েছে বলে বাদিকে প্রমান করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় প্রমাণ করার আগেই পত্রিকা ও টিভিতে বিবাদীর (পুরুষ) নাম খারাপ প্রচারনার করে মামলার মর্মতাকে ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং তখন এ ধরনের মামলার বিচার পাবলিক সেন্টিমেন্টের মাধমে করা হয়। একজন পুরুষ খারাপ দেখে সকল পুরুষ খারাপ এবং আইন করে সকল পুরুষ নাগরিকের নাগরিক অধিকার হনন করা কী সংবিধান পরিপন্থী নয়। একে হিটলার পন্থী বলা হয়। আমরা সবাই জানি সাংসারিক ঝগড়া শুধুই ছেলের কারনে হয় না। স্ত্রী পুরুষ দুজনে মিলেই ঝগড়া করেন। কিন্তু থানায় কমপ্লেন করলে শুধুই পুরুষকে দোষি করা হয়। এধরনের মামলায় স্ত্রীর কোন প্রমানও দেওয়ার প্রয়োজন থাকে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। ।
টিভিতে নারী নির্যাতন বিষয়ে নাটক সিনেমা তৈরী করে কিন্তু পুরুষদের নিয়ে কোন অনুষ্ঠান দেখা যায় না। দেশের বহুল প্রচলিত পত্রিকা প্রথম আলো খুললেই দেখা যায় নারীদের নিয়ে পৃথক কলাম। এছাড়াও নারী নির্যাতন নিয়ে নানান কথাও শুনা যায়। কিন্তু পুরুষের দুঃখ বেদনা নিয়ে কেউ লেখা লেখি করেন না। পুরুষদের কি কোনই অনুভূতি নেই। এটা মিডিয়াতে লিঙ্গ বৈষম্যতা।
ই-তথ্যকোষ থেকে জানলাম ঢাকা সিটিতে নারীর দ্বারাই পনের হাজার তালাক দেওয়া হয়। তারপরেও নারীবাদী এবং মিডিয়া বলে বেড়ায় তালাক নাকি নারীর অপমান সরুপ। পুরুষের দ্বারা তালাক হয়েছে পাচ হাজার। এর মধ্যে বারোশ' বিবাহ মিমাংসার করে বজায় রাখা হয়েছে । দেশে নাকি তালাকের আইন নারীকে সাপোর্ট করে না। তাতেই পনের হাজার নারী তালাক নিলেন। নারীরা নাকি সংসার চান তাহলে নারীরা এতবেশি তালাক কেন দিলেন। নারী বাদীরা বলবেন নারীরাই নির্যাতনের শিকার কিন্তু প্রমান কি। পত্রিকায় এক ঘটনাকে বারবার লিখা এবং মিডিয়াতে এক ঘটনা বারবার দেখানোর মাধ্যমে আমাদের সমাজের মানুষের মগজ দলাই করে রাখা হচ্ছে | সেদিন বাংলা ভিশনে ‘আমি এখন কি করবো’ অনষ্ঠানে এক পুরুষকে কল করে বলতে শুনলাম উনার স্ত্রী পরকিয়া করে সন্তান ফেলে পরপুরুষের সাথে পালিয়ে গেছেন। সাথে সাথে অনুষ্ঠানের সাইকোলজিস্ট কো-হোস্ট বললেন সবকিছুর পরেও উনি কিন্তু সন্তানের মা কিন্তু সেই নারীকে ধিক্কার দিলেন না। কো‍-হোস্ট কী করে নারীর অন্যায্যের সাপোর্ট নিলেন এবং মহিলাটি খারাপ করেছেন বলে উনাকে দোষীও করলেন না। এর মাধমে কি নারীর পরকিয়াকে উনারা টিভিতে অনুপ্রাণিত করলেন?
দেশে নানান ধরনের ঘটনা ঘটে তাদের মধ্যে নারী দ্বারা অনেক ক্রাইম হয় যা টিভিতে প্রচার করা হয় না। নারীরা সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে উনাদের অবশ্যই সব ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার ক্ষেত্রেও সমঅধিকার থাকা উচিত। ইউএন এবং মানবাধিকার সংস্থাও তাদের সংবিধানেও সমান অধিকারের কথা স্বীকার করেন।
সাংসারিক ঝগড়া হলেই নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখানো বাঙ্গালি মেয়েদের একটি অভ‍্যাসে পরিনত হয়েছে।এমন অনেক স্বামি আছেন যারা নিরবে জেলে বসে সব নির্যাতন সইছেন। দেশে অনেক নারী নির্যাতনের ঘটনা শুনি কিন্তু ফলস মামলার কথা কেউ প্রচার করেন না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আঞ্চলিক পত্রিকায় ফলস নারী নির্যাতন মামালার খবর শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের বহুল প্রচলিত পত্রিকাগুলোতে এর কোন খবর ছাপা হয় না। সমাজের পুরুষদের দুঃখ, ভালবাসা এবং দুর্দশার কথা বললে হয়তো এ ধরনের একতরফা আইন হতো না। এ ধরনের কলম করলে কিছু সাংবাদিক এই কলামে লিখার জন্য নতুন কর্ম সংস্থান পাবে এবং নারী ও শিশুদের পাশে পুরুষদের কথাও উঠে আসবে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×