রাজধানীর রিকশাচালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া মেটানো থেকে শুরু করে রিকশা চালনায় তারা বেপরোয়া। যাত্রীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক ভাড়া আদায় করায় অফিসগামী সাধারণ চাকরিজীবী, স্কুলগামী শিশুসহ পরিবারের লোকজন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, রিকশা এবং যন্ত্রযান চলে' এমন সড়কগুলোতে বেপরোয়া রিকশা চালনায় প্রতিদিনই অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এবং রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বেপরোয়া রিকশা চালনায় রাজধানীর রিকশা চলাচলের জন্য অনুমোদিত মোড়গুলোতে লেগে থাকছে অস্বাভাবিক যানজট। ভুক্তোভোগীরা বলছে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকার সুযোগে ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকার রাজপথে ক্রমেই বেড়ে চলছে অবৈধ রিকশা। এসব বেপরোয়া চালকদের কারণে সাধারণ লোকজন দুর্ভোগের শিকার হলেও প্রসাশনের রিকশা ভাড়া এবং বেপরোয়া চালনার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছ, রামপুরা থেকে মৌচাক মোড়ে যেতে গতকাল সোমবার যাত্রীদের রিকশা ভাড়া গুনতে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা। মৌচাক মোড় কমলাপুর হয়ে মতিঝিল ৫০-৬০ টাকা। মগবাজার থেকে শান্তিনগর মোড়ে ২৫ টাকা। শান্তিনগর থেকে সেগুন বাগিচায় ২৫ টাকা।
গতকাল কয়েকজন রিকশাচালক জানিয়েছে, ১০ টাকার নিচে কোনো ভাড়া থাকতে দেব না। অর্থাত্ রিকশায় উঠলেই যাত্রীদের গুনতে হবে ১০ টাকা।
অন্যদিকে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক দিনভর পার্কিং হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। সড়কগুলোর উভয় পাশে গড়ে তোলা হয়েছে বেআইনি পার্কিং লেন। যে লেনে একটি ভারী যানবাহন চলার কথা, সেখানে দেখা যায় রিকশার দীর্ঘ লাইন। রাস্তার ডান লেনে বড় গাড়িগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে প্রাইভেট কার, রিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ সবই। ওইসব সড়কে রিকশা চলাচল করায় অন্য যানবাহনগুলো রিকশাকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে।